হুমকির মুখে ইরাকের ৪,৩৭০টি ঐতিহাসিক স্থান

লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১৮ জুন, ২০১৪, ০২:৪০:২৮ দুপুর



গত সপ্তাহ থেকে ইরাকের বিভন্ন শহরে সরকারি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে বিদ্রোহী সুন্নী দল ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক এন্ড দা লিভ্যান্ট (আইএসআইএল)। মসুল শহরে নিজেদের শক্ত অবস্থান থেকে সারাদেশে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে।

ইরাকের পর্যটন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সম্প্রতি সরকার ও বিদ্রোহীদের মাঝে সংঘাত শুরু হওয়ার পর সারা দেশের ৪,৩৭০টি ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান ধ্বংস হয়েছে।

এর আগে ২০০৩ সালে ইরাকে দখলদার মার্কিন সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করে। এসময় দেশটির স্বল্প সংখ্যক ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান তাদের ধ্বংসলীলা থেকে রেহাই পেয়েছিল। ইরাকি সরকারের হিসেব অনুসারে, মার্কিন হামলায় ৫,০০০ ঐতিহাসিক স্থান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।

পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মসুল, দিয়ালা, কিরকুক, আনবার এবং সালাউদ্দিন শহরের স্থাপনাগুলো ধ্বংস করেছে বিদ্রোহী স্টেট অফ ইরাক এন্ড দা লিভ্যান্ট (আইএসআইএল)।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, "মানবজাতির কাছে সভ্যতার যে অর্থ এবং গুরুত্ব রয়েছে, সন্ত্রাসবাদ সেটা স্বীকার করে না"।

আসিরিয়া ও নিমরোদ সাম্রাজ্য যুগের ঐতিহাসিক স্থানগুলো রক্ষার জন্য ইরাকের বিভিন্ন উপজাতি এবং ইউনেস্কোকে আহ্বান জানিয়েছে ইরাকের সরকার।

উল্লেখ্য, বিদ্রোহী সুন্নি দল আইএসআইএল ইরাকের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর মসুল নিয়ন্ত্রণ করছে। এছাড়া রাজধানী বাগদাদ থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে বাকুবা শহরে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মাঝে প্রচণ্ড সংঘাত হয়েছে। সূত্র: ওয়ার্ল্ডবুলেটিন।

- See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/15414.xhtml#.U6FPw5wcG_I

বিষয়: বিবিধ

১৮২৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

236210
১৮ জুন ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৯
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আফগান তালিবানদের মত যদি তারাও অদূরদর্শী এবং অপরিনামদর্শী পোড়ামীপূর্ণ হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তবে অচিরেই বিশ্ব দরবারে তাদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার প্রপাগান্ডা খুব ভালভাবেই মার্কেট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
236245
১৮ জুন ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
দ্য স্লেভ লিখেছেন : অবিলম্বে হুবল দেবতাসমূহকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ফিরিয়ে দেওয়া হোক !---জনৈক উপাসকের পক্ষ থেকে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File