মিয়ানমারে ঘৃণা ছড়ানোর হাতিয়ার ফেইসবুক
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১৬ জুন, ২০১৪, ০৪:৩৬:১৫ বিকাল
মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে হিংসা, ঘৃণা আর বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্য মিয়ানমারে ফেইসবুক ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশটির গ্রাম অঞ্চলে মুসলিম নিধনের জন্য দাঙ্গা হয়ে থাকে। এই গ্রামগুলোতে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ কম। তবে অনুমান করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এসব এলাকায় ইন্টারনেট পৌছে যাবে। তখন মুসলিমবিরোধী মনোভাব আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিদ্বেষ ছড়ানোর কয়েকটি নমুনা
খিনি থু রেইন মাইও নামের একজন ফেইসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন "আমাদের উচিত প্রত্যেক মুসলিমকে হত্যা করা। মিয়ানমারে কোনো মুসলিম থাকা উচিত নয়"। এই মন্তব্যের জবাবে অপর ফেইসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন "মুসলিম কুকুরগুলোকে কেন আমরা লাথি দিয়ে বের করে দিতে পারি না?"
মিয়ানমারের বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীরা মনে করেন, দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সংখ্যালঘু মুসলমানরা নিজেদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র তৈরীর চেষ্টা করছে। তারা আরো মনে করেন, ঐ অঞ্চলের মুসলমানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বৌদ্ধদের চেয়ে বেশি।
ব্যতিক্রমী প্রয়াস
২০১৩ সালে 'পানজাগার' নামে একটি সামাজিক সংগঠন গড়ে ওঠে, যারা মুসিলিম বিদ্বেষ ছাড়ানোর বিরদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের একটি ফেইসবুক পেজ আছে। 'পানজাগার' অর্থ হলো 'ফুল বাণী'।
নেই ফোন লাট নামের একজন ব্লগার সংগঠনটি গড়ে তুলেছেন। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, সামরিক শাসনের তুলনায় বর্তমানে আমাদের কিছুটা স্বাধীনতা আছে। কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি এবং ফেইসবুকে যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারি। কিন্তু অনেক মানুষ বাক স্বাধীনতার অপব্যবহার করে।
পেছনে ফিরে দেখা
গত দুই বছরে মিয়ানমারে জাতিগত দাঙ্গায় ২৫০ জন নিহত হয়েছে এবং ১৪০,০০০ লোক বাস্তুচ্যুত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে বাস করছে। এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা মুসলিম। তবে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কিছু লোকও আছে।
ওয়াই ওয়াই নু হলেন একজন একটিভিস্ট। তিনি তার অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, "রাখাইন রাজ্যে যখন সহিংসতা শুরু হয়েছিল তখন আমরা দেখতে পেলাম যে, অনলাইনে মারাত্মকভাবে ঘৃণার বাণী ছড়িয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ফেইসবুক বেশ কার্যকর পন্থা"। সূত্র: আল-জাজিরা।
- See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/15259#.U57IZ5wcG_I
বিষয়: বিবিধ
১০৩৩ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন