দলিত ধর্ষিতারা বিচারের জন্য কাদেঁন
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১৫ মে, ২০১৪, ০৯:৫৬:৩৫ রাত
ভারতের দলিত সম্প্রদায়ের মানুষগুলো সব সময়ই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাতে নির্যাতিত হয়ে আসছে। তাদের নাগরিক অধিকারগুলো সুরক্ষিত নয়।
গণধর্ষণের শিকার দলিত সম্প্রদায়ের ৪ নারী কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে সম্প্রতি রাজধানী নয়া দিল্লিতে প্রতিবাদ করেছে। ধর্ষণের শিকার সবচেয়ে কম বয়সী মেয়েটির বয়স ১৩।
তাদের সাথে সংহতি জানিয়েছে অনেকে। রাজনীতিকদের উপর চাপ প্রদানের উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচী।
এক ধর্ষিতার পিতা গত সোমবার বিষ পান করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার দু:খগুলো কেউ শুনছে না। পরে অবশ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হলে এই পিতা শঙ্কামুক্ত হন।এক মাস আগে দলিত সম্প্রদায়ের কয়েকজন নারী গণধর্ষণের শিকার হলে সাম্প্রতিক আন্দোলনটি গড়ে ওঠে হরিয়ানা রাজ্যের হিজার জেলায়। অভিযোগের তীরটি প্রভাবশালী 'জাত' সম্প্রদায়ের প্রতি।
দলিতরা প্রতিদিন যেসব অবিচারের মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর জন্য সজাগ হয়েছে। তারা কথা বলেছে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে।
ভারতের বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সশীলকুমার সিন্ধ নিজেও একজন দলিত। তিনি বলেছেন, দলিতদের সমস্যাগুলো তিনি বুঝতে পেরেছেন। বিষয়গুলো সম্পর্কে হরিয়ানা রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী ভুপেনদের সিং হুদাকে লিখিতভাবে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, ভুপেনদের সিং হুদা নিজে জাত সম্প্রদায়ের সদস্য।
প্রতিবাদী দলিতদের আবাসস্থল বাগানা গ্রামে গিয়েছিলেন আল-জাজিরার প্রতিবেদক। তিনি দেখতে পান, দলিতদের তালাবদ্ধ বাড়িগুলোতে কোনো মানুষ নেই। জাত সম্প্রদায়ের হুমকির কারণেই তাদেরকে গ্রাম ছাড়তে হয়েছে। এর আগে ২০১২ সালে ৭০টি পরিবার গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছিল। তাদেরকে গ্রামের পুকুর ব্যবহার করতে দেওয়া হত না। মাঠে খেলতে দেওয়া হত না। দলিতদের দোকানগুলো বয়কট করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনা
সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে বাগানা গ্রামের ১০০ মিটারেরও কম দূরত্বে। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রোহিত বোকদা বলেন, ২৪ মার্চ একটি বড় গম ক্ষেতের সরু রাস্তা থেকে সাদা গাড়িতে নারীদেরকে তুলে নেওয়া হয়। এরপর তাদেরকে এমন কিছু খাওয়ানো হয় যার ফলে তারা অচেতন হয়ে পড়ে। এরপর গমক্ষেতে পালাক্রমে ধর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা।
গ্রামের মানুষদের অভিযোগ, সেদিন কী ঘটেছিল সেটা জানতেন গ্রামের প্রধান রাকেশ পাংগাল। তার এক আত্মীয়ও ঘটনার সাথে জড়িত।
সব কিছুই রাজনীতি
দলিতরা সব সময়ই নির্যাতিত হয়ে আসছে। 'জাত' সম্প্রদায়ের এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ করে আসছেন রোহিত। ৩ মাস আগে তার এক চাচাতো বোন জাতদের হাতে হয়রানির শিকার হলে তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন।
জাবাবে জাতরা রোহিতের দিকে ইট ছুড়ে মারে। ইটের আঘাতে তার মাথায় এখনো ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।
যাহোক, বিবাদের মীমাংসা করার জন্য শালিসের উদ্যোগ নেয় গ্রামের পঞ্চায়েত। বিচারে বলা হয়, উভয় পক্ষ একে অপরের কাছে ক্ষমা চাইবে। রোহিত বলেন, "আমরা দু:খিত বলেছি। কিন্তু তারা কখনো দু:খিত বলেনি।" সূত্র: আল-জিজিরা।
See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/12689#sthash.pGIXwcQK.dpuf
বিষয়: বিবিধ
১১৯৯ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাদের দূর্গা বানাতে তো বেশ্যার ঘরের মাটি লাগে । বেশ্যা না হলে দূর্গা পূঁজাও হবে না ।
এত কিছুর পরেও কেন যে ভারতবাসী এসব নিয়ে কাহিনী বানায় !
মন্তব্য করতে লগইন করুন