কবুতর বনাম টেলিগ্রাফ: যুদ্ধের ময়দানে কোনটি বেশি কাজে লেগেছে? -
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১৪ মে, ২০১৪, ০৯:৫২:২৫ রাত
যুদ্ধের ময়দানে সেনাবাহিনীর জয়-পরাজয় নির্ভর করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ আর্মিরা মনে করেছিল, রেডিও এবং টেলিফেোনের সাহায্যে তারা ভালোভাবে যোগাযোগ রাক্ষা করতে পারবে। কিন্তু গোলার ব্যবহার শুরু হলে টেলিফোন, টেলিগ্রাফ ও রেডিও'র তারগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হতে লাগল।
টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে টেলিফোন বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সেনা কর্মকর্তারা এটির সাহায্যে যুদ্ধরত সৈন্যদের দ্রুত নির্দেশ দিতে পারতেন।
সংবাদ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে টেলিগ্র্রাফও বেশ কার্যকর ছিল। এজন্য প্রথমে কোনো বার্তা লিখে সেটা একটি যন্ত্রের সাহায্যে প্রেরণ করা হতো। প্রেরিত বার্তা গ্রহণ করতো একটি গ্রাহক যন্ত্র। টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ উভয়টি সহজে বহনযোগ্য ছিল।
তবে, টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য ক্যাবলের প্রয়োজন ছিল। আর এই ক্যাবল বিভন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হতো। এক হিসেবে দেখা গেছে, প্রতিদিন ৪০টি ক্যাবল ভাঙত।
প্রশিক্ষিত কবুতর
সৈন্যদের কাছে তথ্য পাঠানোর জন্য বিশ্বযুদ্ধের শুরুতে ব্রিটিশ আর্মির কাছে ৬০টি প্রশিক্ষিত কবুতর ছিল। ১৫জন ব্যক্তি এগুলোর দেখাশোনা করতেন। কিন্তু ১৯১৮ সালের মধ্যে ব্রিটিশ আর্মির কাছে এ ধরনের কবুতর ছিল ২০,০০০ বেশি। এগুলোর পরিচালনার জন্য নিয়োজিত ছিলেন ৩১৫ ব্যক্তি।
কবুতরগুলো ৮০ কিলোমিটার বেগে ১০০ মাইলের বেশি উড়তে পারত। যখন একটি কবুতর বার্তা প্রেরণ শেষে তার প্রশিক্ষকের কাছে ফিরে আসত, তখন বাড়ির ছাদের একটি বিশেষ তারের উপর বসত। আর তারের উপর বসলেই বাজত একটি বেল। বেল বাজলে প্রশিক্ষক বুঝতেন, তার কবুতরটি ফিরে এসেছে।
রানার এবং কুকুর
তথ্য আদান-প্রদানের জন্য আলাদা ব্যক্তি বা রানার নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তাদের বাহুতে বাধা থাকতো লাল ফিতা। তারা ম্যাপ পড়তে পারত এবং চারপাশের পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলত।
তবে, রানারের সাহায্যে বার্তা প্রেরণের কাজটি ছিল সময় সাপেক্ষ। কখনো কখনো দেখা যেত, রানার একটি সংবাদ নিয়ে পৌছতে দেরি হওয়ায় সেই সংবাদটির সংবাদ-মূল্য বা গুরুত্ব শেষ হয়ে গেছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে প্রায় ২0,000 কুকুর তথ্য আদান-প্রদানের কাজ করেছে। এই কুকুরের অধিকাংশই ছিল পোষা কুকুর। বিভিন্ন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় আর্মিদেরকে এগুলো দিয়েছিল। বাকি কুকুরগুলো ছিল বেওয়ারিশ।
গোলাগুলি চলার সময় এই প্রশিক্ষিত কুকুর দ্রুত ও নিরাপদে যথাস্থানে তথ্য পৌছাতে পারত। একটি কুকুর এক-দুই ঘন্টায় ১০-১৫ মাইল দূরে যেতে সক্ষম ছিল। সূত্র: বিবিসি।
See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/12609#sthash.pUgQfMAR.dpuf
বিষয়: বিবিধ
১১১৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এখনও মার্কিন নৈীবাহিনি রেসিং পিজিয়ন প্রশিক্ষন দেয় এবং ব্যাকআপ হিসেবে জাহাজে রাখে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন