প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ঘোড়া ও খচ্চরগুলো
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ০৮ মে, ২০১৪, ১০:১১:৪৮ রাত
১৯১৪-১৯২০ সাল পর্যন্ত প্রথম বিশ্বযুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ যখন চলছিল, তখন সমরাস্ত্রের উন্নতি সাধিত হয়েছিল। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য যুদ্ধে লিপ্ত দেশগুলো প্রথমবারের মতো ব্যবহার করে জঙ্গীবিমান, ট্যাংক ও বিষাক্ত গ্যাস।
তবে, উভয় পক্ষের (অক্ষশক্তি,মিত্রশক্তি) সেনাবাহিনীগুলো আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের পাশাপাশি ঘোড়া ও খচ্চরের উপর বেশ নির্ভরশীল ছিল।
যেমন, বৃটিশ সেনাবাহিনী ১০ লাখেরও বেশি ঘোড়া, খচ্চর ব্যবহার করেছিল যুদ্ধের সময়। দেশটিতে প্রয়োজনের তুলনায় কম ঘোড়া, খচ্চর থাকায় উত্তর আমেরিকা থেকে প্রতি সপ্তাহে জাহাজ দিয়ে ১০০০ বেশি ঘোড়া নিয়ে আসা হতো।
কী কাজে ব্যবহৃত হয়েছিল ঘোড়া ও খচ্চর?
অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহের পাশাপাশি আহত যোদ্ধাদের স্থানান্তরের জন্য ঘোড়া ও খচ্চর ব্যবহৃত হত। এছাড়া যুদ্ধক্ষেত্রে যারা পেছনের সারিতে অবস্থান করতেন, তারা ঘোড়ায় চড়তেন। মাঝে মধ্যে সম্মুখভাগের যোদ্ধারা ঘোড়ায় চড়ে যুদ্ধ করেছেন।
ট্যাক্সির মতো বেশ ওজন রয়েছে, এমন অস্ত্রও টেনে নিয়ে যেতে পারত ঘোড়াগুলো।
কতখানি মূল্যবান ছিল পশুগুলো?
যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ঘোড়া ও খচ্চর সেনাবাহিনীর কাছে বেশ মূল্যবান ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহনকারী নিউজিল্যান্ডের যোদ্ধা বার্ট স্টক এ বিষয়ে বলেন " একটি ঘোড়া হারানো বেশি ক্ষতিকর ছিল একজন মানুষ হারানোর চেয়ে, কারণ... মানুষ প্রতিস্থাপন করা যেত, কিন্তু ঘোড়ার বিষয়টি ঐ পর্যায়ে ছিল না।"
সহজ কথায়, একজন সৈনিকের চেয়ে একটি ঘোড়া বেশি মূল্যবান ছিল।
ব্যবস্থাপনা বাবদ খরচ
বিপুল সংখ্যক ঘোড় ও গাধার যত্ন নিতে গিয়ে বৃটিশ সেনাবাহিনীকে বেশ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে গবাদি পশুগুলোর জন্য ২,৯৭৮,৩০১ টন যব এবং ২,৪৬০,৩০১ টন খড়ের প্রয়োজন হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পশুগুলোর চিকিৎসার জন্য নিয়োজিত ছিলেন ১,৩০০ বেশি পশু ডাক্তার। সব মিলিয়ে এগুলোর যত্ন নেওয়ার জন্য ২৭,০০০ বেশি লোক সেনাবাহিনীতে চাকুরি করতেন।সূত্র: বিবিসি।
- See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/12081#sthash.M2Kj7RbA.dpuf
বিষয়: বিবিধ
১১৪৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন