নারীলিপ্সু যাজক: ১০ কুমারীকে প্রায় ১০ বছর ধরে নির্যাতন
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১৭ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:৩৬:১২ সন্ধ্যা
একজন ভিন্নমতালম্বী খ্রিস্টান যাজক ১০ জন কুমারী নারীকে প্রায় এক দশক যৌন নির্যাতন করেছেন। নির্যাতনের শিকার ১০ নারীর মধ্যে ২ জনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে ঐ যাজকের। বর্তমানে যাজক পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের মিনিসোটা রাজ্যের পাইন কাউন্টিতে বাস করেন ৫২ বছর বয়সী ভিন্নমতালম্বী খ্রিস্টান যাজক ভিক্টর এ. বার্নাড। তিনি নিজেকে বিশেষ ব্যক্তি মনে করেন। তার বেশ কিছু অনুসারী রয়েছেন।
নির্যাতিতা কুমারীদেরকে ঐ যাজক বলতেন, যিশু এবং রাজা সলোমনের অনেক নারী অনুসারী ছিল। সুতরাং, স্রষ্টার ইচ্ছা অনুসারে সে নিজেও অনেক নারীর সাথে যৌন মিলন করতে পারবে। এ কাজটা তার জন্য স্বাভাবিক ঘটনা।
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, অনুসারীদের মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি তাদের প্রথম কুমারী কন্যাদেরকে যাজকের সেবায় নিয়োজিত করেন। তাদের প্রত্যেকের বয়স ১২ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে।
এই কন্যাদের সাথে নিয়মিত যৌন মিলন করতেন যাজক ভিক্টর এ. বার্নাড।
যাজকের হাতে দীর্ঘ দিন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন লিন্ডসেই টরনাবি এবং জেস সুইস নামের দুই কন্যা।
জেস সুইস ১২ বছর বয়সে এবং লিন্ডসেই টরনাবি ১৩ বছর বয়সে তাদের পিতামাতার নির্দেশে যাককের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করে।
এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে তারা যাককের বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। এরপর সম্প্রতি নিজেদের দুর্দশার কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করে।
১১ এপ্রিল যাজকের বিরুদ্ধে সারাদেশে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ধারণা দোষী যাজকের অনুসারীরা তাকে ওয়াশিংটন রাজ্যে লুকিয়ে রেখেছে।
এক নির্যাতিতার জবানবন্দী
২০০০ সালে ১৩ বছর বয়সে লিন্ডসেই টরনাবি তার পিতা-মাতার সাথে যাজক ভিক্টর এ. বার্নাড-এর একটি সমাবেশে উপস্থিত হয়। যাজক তাকে দেখে নিজেরে কাছে ডাকেন ও 'সম্মানজনক অবস্থানের' কথা বলেন।
এরপর তাকে যাজকের আশ্রমে রেখে চলে যান পিতা-মাতা।
টরনাবি'র সাথে যৌনালাপ শুরু করেন যাজক। একপর্যায়ে যৌন মিলন করেন এবং কথাটি কাউকে বলতে নিষেধ করেন।
এভাবে যাজকের আশ্রমেই কাটতে থাকে কিশোরী টরনাবি'র দিন। তাকে সব সময় নরকের ভয় দেখানো হতো। এবিষয়ে তিনি বলেন "আমি সত্যিই আতঙ্কিত ছিলাম এবং আমি জানতাম না সৃষ্টিকর্তা আমাকে কী শাস্তি দিবেন"।
পিতা-মাতার কাছ থেকে মাত্র ৫ মাইল দূরে থাকত লিন্ডসেই টরনাবি। কিন্তু তাকে অনেকদিন পর পর দেখতে আসত পিতা-মাতা।
১৫ বছর বয়সে আশ্রম ত্যাগ করে সে বাড়িতে চলে আসে এবং দুর্দশার কথা তুলে ধরে। পিতা-মাতার পক্ষ থেকে তখন গালমন্দ করা হয়। তারপর তাকে ফিরে যেতে হয় আশ্রমে।
কিন্তু কয়েক বছর পর আশ্রম থেকে চিরদিনের জন্য চলে আসে টরনাবি। সেবিকা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ শুরু করে।
একদিন টরনাবি শুনতে পায়, তার চাচাতো ভাই-বোনেরা ২০১২ সালের নববর্ষের অনুষ্ঠানটি কীভাবে আনন্দের সাথে উদযাপন করেছে সে সম্পর্কে আলাপ করছে। তখন সে বুঝতে পারে, যাজক নামের পশুটি কীভাবে তার জীবন ডাকাতি করেছে।
এরপর পুলিশের কাছে নিজের দুখের অতীত তুলে ধরে নির্যাতিতা লিন্ডসেই টরনাবি। সূত্র: ডেইলি মেইল।
নিউটি শেয়ার করতে পারেন নিচের লিংক থেকে
- See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/9935#sthash.gxc9Gawg.dpuf
বিষয়: বিবিধ
১১৫১ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুননিয়াতো মাজা লেলো দুনিয়া তুমহারি হে..দুনিয়া তুমহারি হে.....
দুননিয়াতো মাজা লেলো দুনিয়া তুমহারি হে..দুনিয়া তুমহারি হে.....
মন্তব্য করতে লগইন করুন