মার্কিন নারীর নিষিদ্ধ জীবনের দুর্দশার গল্প
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১৫ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:৫৬:১৬ রাত
আমেরিকা একটি উন্নত রাষ্ট্র। কিন্তু এই রাষ্ট্রের নারীরাও ফাদেঁ পা দিয়ে পতিতা পল্লীতে নিজের জীবন কাটাতে বাধ্য হয়। আর চিরদিনের জন্য হারায় নিজের পরিবারকে।
এমনই একজন নারী জেসমাইন মারিনো ফিআনদাকা। ছেলেবন্ধুর ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি দীর্ঘ ৭ বছর কাটিয়েছেন পতিতা হিসেবে।
সাদা, কালো, মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্মবিত্ত যে কোনো নারীর জীবনেই ঘটতে পারে এই দুর্ঘটনা। জেসমাইনের ভাষায়, "আমি একজন সাদা চামড়ার আমেরিকান নারী এবং এই ঘটনা আমার ক্ষেত্রে ঘটেছে।"
নিজের ছেলে বন্ধুর প্রথমদিকের আচরণের বিষয়ে তিনি বলেন " সে আমাকে বেশ সুন্দর সুন্দর জামা, জুতা কিনে দিত। আমার পেছনে অর্থ ব্যয় করত। সে একটি মার্সিডিজ গাড়ি চালাত। আমি নিজেকে বিশেষ ব্যক্তি মনে করতাম।"
এরপর আস্তে আস্তে জেসমাইনের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। ১৮ বছর বয়সে কানেকটিকাট রাজ্যের একটি পতিতালয়ে কাজ শুরু করেন তিনি।
তার যে আয় হত সেটা জোর করে কেড়ে নিত কথিত ছেলেবন্ধুটি। টাকা না দিলে অত্যাচার শুরু করত।
নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে জেসমাইন বলেন, "সে খুবই হিংস্র হয়ে উঠত। আমার উপর চড়ে বসত কয়েক ঘন্টার জন্য। চিৎকার করত, আমাকে অপমান করত। আমাকে উদ্দেশ্য করে বলত, আমি আর ভালো নেই, অসুন্দর হয়ে গেছি। কেউ আমাকে ভালোবাসবে না।"
দুর্দশার এই জীবন থেকে পালাতে চেয়েছিলেন এই নারী। কিন্তু সহজে পালাতে পারেননি। এরই মধ্যে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। এছাড়া, একবার ছেলেবন্ধুর কথায় গর্ভপাতও করেন।
যাহোক, যখন তিনি অন্ধকার পথ থেকে ফিরে আসলেন স্বাভাবিক জীবনে, ততক্ষণে অনেক কিছুই পাল্টে গেছে। নিজের বাসা হারিয়েছেন। তাই রাত কাটিয়েছেন গাড়িতে, পার্কের বেঞ্চে।
আর পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার পর পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করেনি জেসমাইনকে। দাদা-দাদীকে খুব ভালোবাসতেন তিনি। কিন্তু তাদের সাথে দেখা করতে পারেননি। পিতা-মাতা তাকে বলেছিলেন "সব শেষ হয়ে গেছে"।
বর্তমানে জেসমাইন মারিনো ফিআনদাকা কাজ করছেন আউটওয়ার্ড বাউন্ড নামের একটি অলাভজনক শিক্ষামূলক সংগঠনের সাথে। সূত্র: ডেইলি মেইল।
শেয়ার করতে পারেন নিচের লিংক থেকে
http://www.timenewsbd.com/news/detail/9815
বিষয়: বিবিধ
১২৮৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন