ক্যান্সার প্রতিরোধী কয়েকটি মসলা

লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১২ মার্চ, ২০১৪, ০৩:৩৭:২৮ দুপুর





ক্যান্সার একটি মরণব্যাধী বলেই পরিচিত সবার কাছে। এর সহজলভ্য বা সুচিকিৎসা এখনো পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি। কিন্তু আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে কিছু উপাদান, যেগুলো ব্যবহার করে খুব সহজেই আপনি ক্যান্সার থেকে বাঁচতে পারেন। প্রাকৃতিক এই উপাদানগুলো খুব দামি বা দুর্লভ কিছু নয়; হাত বাড়ালেই পেতে পারেন। এগুলো হচ্ছে সাতটি মসলা, যেগুলো ভারতীয় উপমহাদেশেই জন্মে থাকে। চলুন জেনে নেয়া যাক ক্যান্সার প্রতিরোধক এই মসলাগুলো কী-

এক. হলুদ: খুবই সহজলভ্য একটি মসলা। কিন্তু এর গুণাগুণ অবাক করার মতো। এটি কেবল তরকারির স্বাদই বাড়ায় না, দূরারোগ্য ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়েও এক অনন্য প্রাকৃতিক দান। হলুদ প্রোস্টেট ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার ,ব্রেন টিউমার, লিউকিমিয়া, গ্ল্যাডার ক্যান্সারের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এটি ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুবই কার্যকরী। হলুদ ক্যান্সার আক্রান্ত কোষগুলোকে বাড়তে দেয় না।

দুই. ফেনেল (হলুদ ফুলবিশিষ্ট এক ধরনের সবজি বা মসলা): ক্যান্সারের বিরুদ্ধে আরেক কার্যকরী সবজি বা মসলা। এটি সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হলেও তরকারির স্বাদ বাড়াতেও কাজে লাগে। এজন্য এটিকে মসলা হিসেবেই অন্তর্ভূক্ত করা হয়। টমেটো সালাদ ও রসুনের সাথে এটি খেলে চমৎকার কাজে দেয়।

তিন. জাফরান: ক্যান্সারের প্রাথমিক অবস্থায় লড়াই করে এরকম একটি উপাদান হচ্ছে ক্যারোটিনয়েড ডিকারবক্সিলিক এসিড যা ক্রোসেটিন নামে পরিচিত, এটি জাফরানে ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। এটি কেবল ক্যান্সারের বৃদ্ধি রোধেই কাজ করে না, বরং টিউমারের আয়তন অর্ধেকে নামিয়ে আনতে কার্যকর। এমনকি ক্যান্সারকে গুডবাই জানাতেও সক্ষম জাফরান।

চার. জিরা: জিরার মধ্যে এমন উপাদান রয়েছে, যা প্রোস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। রুটি, ভাজা শিমের বিচি, সস বা অন্যান্য তরকারির সাথে জিরা খাওয়া যেতে পারে। এটি খাবারকে সুস্বাদুও করে। নিয়মিত খেলে উপকারিতা পাবেন ব্যাপক।

পাঁচ. দারুচিনি: প্রতিদিন যদি অর্ধেক চা চামচ দারুচিনির পাউডার খাদ্যের সাথে গ্রহণ করতে পারেন তাহলে ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সক্ষম হবেন। এটি শরীরের আয়রন ও ক্যালসিয়ামের যোগান দেয়। টিউমারের বৃদ্ধিরোধে সহায়ক। এটি ক্যান্সারের জীবাণুকে শরীরে বাসা বাঁধতে দেয় না। কয়েকভাবে গ্রহণ করতে পারেন দারুচিনি। যেমন- দারুচিনির এক কাপ চা খেয়ে আপনার সকালটি শুরু করতে পারেন, সকালের নাশতার সঙ্গে খেতে পারেন দারুচিনি, ফলমূল বিশেষ করে আপেল বাদামের সঙ্গে দারুচিনির উপকারিতা ব্যাপক, ঘুমাতে যাওয়ার আগে দুধের সঙ্গে মধু ও দারুচিনি মিশিয়ে খেতে পারেন।

ছয়. মরিচ: ক্যান্সার প্রতিরোধে মরিচও বেশ কার্যকর। এটি ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করতে কাজে দেয়। এ ছাড়া, লিউকোমিয়া টিউমার ধ্বংস করতেও কার্যকর।

সাত. আদা: ক্যান্সারের কোষ দমনে আদা বেশ কার্যকরী। এটি কোলেস্টেরল কমাতেও সহায়তা করে। তরকারির সঙ্গে এটি খাওয়া যেতে পারে। মুখে পুরে এটি চিবোলে দুর্গন্ধ দূর হয়। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

- See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/6577#sthash.gf7R8KQ6.dpuf

বিষয়: বিবিধ

১৬৮৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

191184
১২ মার্চ ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
নূর আয়েশা সিদ্দিকা জেদ্দা লিখেছেন : বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। পড়ে উপকৃত হলাম। তবে ফেনেল জিনিসটা কি বুঝতে পারছিনা।
১২ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৪
142194
রাইয়ান লিখেছেন :
191194
১২ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:১১
হতভাগা লিখেছেন : হায়রে কপি-পেস্ট ! তাও ভাল উপকারী পোস্ট বলে ।
191199
১২ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:২৭
মেঘ ভাঙা রোদ লিখেছেন : সচেতন করার জন্য ধন্যবাদ
191204
১২ মার্চ ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৬
রাইয়ান লিখেছেন : এশিয়ানরা এই মশলাগুলো তো ব্যাপক হারেই খায় ....
191279
১২ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:১৪
সজল আহমেদ লিখেছেন : অনেক উপকৃত হলাম।
191415
১২ মার্চ ২০১৪ রাত ১১:০৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শুধু ক্যন্সার নয় আমরা যে মশলা খাই তা এলার্জি ও প্রতিরোধ করে। ইউরোপ বা আমেরিকাতে বিভিন্ন এলার্জি মানুষের মৃত্যুর কারন ও হয়। এমনকি অন্য কোন কিছূতে মিশান সামান্য কোন এলার্জিক উপাদান এর জন্য বড় ধরনের অসুস্থতা ঘটে। কিন্তু যারা নিয়মিত মশলা খায় তাদের ক্ষেত্রে চুলকানি বা কাশি জাতিয় সমস্যা হলেও এলার্জির কারনে মৃত্যুর হার অনেক কম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File