এক নগরীর ৬০ দরজা
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ০৮ মার্চ, ২০১৪, ০৮:১৮:১৩ রাত
তুরস্কের ঐতিহাসিক নগরী ইস্তাম্বুলের চারপাশে অতীতে ছিল বিশাল দেয়াল। আর এই নগরীতে প্রবেশের জন্য ছিল ৬০টি দরজা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে দরজাগুলোর অধিকাংশই ধ্বংস হয়ে গেছে।
নগরীর ২০ মিটার উচু দেয়াল কয়েক শতাব্দী শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধ করেছে।
বাইজেনটিয়াম যুগ এবং অটোমান শাসনামলের অধিকাংশ সময় ইস্তাম্বুলে প্রবেশ করতে হলে সরকারি অনুমতি নিতে হতো। অনুমতি না পেলে দর্শনার্থীরা ফিরে যেতেন নগরের দরজা থেকে। দরজাগুলো সারাদিন খোলা রাখা হলেও রাতের বেলা বন্ধ রাখত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
স্থানভেদে তিন ধরনের দরজা ছিল নগরীতে। এগুলো হল 'মারমারা', 'সোনালী শিং' এবং 'ভূমির উপরে দরজা'। দরজাগুলোর নাম অনুসারে বর্তমানে ইস্তাম্বুলে কয়েকটি জেলা রয়েছে।
প্রায় প্রতিটি দরজার নাম রাখা হয়েছিল কোন বিশেষ ঘটনা অথবা স্থানের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল রেখে। যেমন আধ্যাত্মিক বিদ্বান পুরুষ মাওলানা জালালুদ্দিন রুমি যে এলাকাটিতে বাস করতেন সে এলাকার দরজার নাম 'মাওলানা দরজা'।
'বেলগ্রেড দরজাটি' হলো ইস্তাম্বুলের দ্বিতীয় দরজা। অটোমান শাসনামলে কৌশলগত গুরুত্বের কারণে এটি বেশ পরিচিত ছিল।
মহান শাসক সুলাইমান (আ ইস্তাম্বুলের একটি এলাকা জয় করার পর বেলগ্রেড থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে নিয়ে আসেন। এরপর তাদেরকে ঐ এলাকায় বসবাস করার সুযোগ করে দেন। এলাকাটির পাশে যে দরজা রয়েছে, সেটাই 'বেলগ্রেড দরজা'।
কৌশলগত দিক থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দরজা হল 'এদিরনে দরজা'। দরজাটির সাথে সুলতান মেহমেত দ্বিতীয়-এর ইস্তাম্বুল বিজয়ের ঘটনা জড়িত।
বেলগ্রেড দরজা' এবং 'এদিরনে দরজা' যেখানে অবস্থিত, বর্তমানে সেখানে 'সুলতান মেহমেত দ্বিতীয়-এর ইস্তাম্বুল বিজয়' উদযাপন করা হয়।
সুলতান মেহমেত শেষবারের মতো ইস্তাম্বুল আক্রমণের আগে একটি জায়গায় সৈন্য শিবির স্থাপন করেন এবং সৈন্যদের কুচকাওয়াজের ব্যবস্থা করেন। ঐ স্থানে যে দরজা রয়েছে সেটার নাম 'টপকাপি দরজা'। এছাড়া 'ইয়েদিকুলি দরজাটি' পরিচিত ভূগর্ভস্থ অন্ধকার কারকক্ষ এবং প্রথম নগর দুর্গের জন্য।
- See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/6319#sthash.vcjJqSz1.dpuf
বিষয়: বিবিধ
১০৭৭ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
লেখাটি দুবার হয়ে গেছে, এডিট করে দিন।
অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন