দুই কোরিয়ার পারিবারিক পুনর্মিলন শুরু

লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১২:৪৮:০৯ দুপুর

স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার শতাধিক নাগরিক উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।



এর আগে ২০১০ সালে উভয় দেশের নাগরিকরা তাদের স্বজনদের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিলেন।

১৯৫০-৫৩ সালে সংঘটিত কোরীয় যুদ্ধের কারণে কয়েক দশক ধরে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন দু'দেশের হাজারো পরিবার।

বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলো চলতি মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত তাদের আপনজনদের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।

সম্প্রতি দুই কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া। এই ঘোষণার পরই দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হল।

'একটি সত্য অলৌকিক ঘটনা'

সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার ৮২ জন বয়স্ক নাগরিক তাদের ৫৮ জন সঙ্গী নিয়ে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদের মধ্যে ১২ জনের বেশি ব্যক্তি হুইলচেয়ার ব্যবহার করেন। ২ জন রওনা হয়েছেন এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে।

দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা তাদের উত্তর কোরীয় স্বজনদের জন্য উপহার নিয়ে যাচ্ছেন। এসব উপহারের মধ্যে জামা-কাপড়, ঔষদ এবং নানা রকম খাবার রয়েছে।

তারা স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় উত্তর কোরিয়ার মাউন্ট কুমগেং রিসোর্টে আপনজনদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর সবাই একসাথে রাতে খাবার খাবেন।

পুনর্মিলন অনুষ্ঠানে উত্তর কোরিয়ার ১৮০ জন নাগরিক উপস্থিত বলে আশা করা হচ্ছে।

http://www.timenewsbd.com/contents/public/201402/1392876458.jpg

পুনর্মিলম প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক লি ডু ইয়ং। তার বয়স সত্তরের কোঠায়। বিবিসিকে তিনি বলেন, অনেক আগে বিচ্ছেদ হয়ে গেলে কেমন লাগে, সেটা অনুভব করা অন্যদের পক্ষে কঠিন।

ইয়ং আরো বলেন " কিন্তু এটা সত্যি একটা অলৌকিক ঘটনা। আমি বেশ অনুপ্রাণিত। আমি আমার জীবনে আমার ভাইয়ের অভাব অনুভব করেছি। এখন আমি তার সাথে আবার দেখা করতে যাচ্ছি। এরপর যদি আমি আগামীকাল মারাও যাই তবু আমার কোনো দু:খ থাকবে না"।

পুনর্মিলন অনুষ্ঠানগুলোতে খুবই আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উভয় দেশের নাগরিকরা তাদের স্বজনদের সাথে স্বল্প সময়ের জন্য মিলিত হওয়ার সুযোগ পান।

বিবিসি'র সাংবাদিক লুসি উইলিয়ামসন দক্ষিণ কোরিয়া থেকে জানিয়েছেন, পারিবারিক পুনর্মিলন প্রোগ্রামের অপেক্ষমান তালিকায় (ওয়েটিংলিস্ট) ৭২,০০০ কোরীয় নাগিরকের নাম রয়েছে। এদের প্রায় অর্ধেকের বয়স ৮০ বছরের বেশি। পুনর্মিলন প্রোগ্রাম হল একমাত্র বৈধ পন্থা, যার মাধ্যমে দেশ ভাগের কারণে বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলো একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ করতে পারে।

ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি (টাইমনিউজবিডি.কম)// টিআই

- See more at: http://www.timenewsbd.com/news/detail/4741#sthash.ipHN3vKk.dpuf

বিষয়: বিবিধ

১০৫৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

179776
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০১:৩৪
অজানা পথিক লিখেছেন : ভালইতো!
179795
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:২৮
হতভাগা লিখেছেন : দুই জার্মানির মত এক হয়ে গেলেই তো পারে !

নাকি মাঝখানে




দিয়ে প্রাচীর করা আছে ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File