কর্তব্য ........

লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:১০:১৪ রাত



হুমায়ুন বাদশাহ শেরশাহের সাথে যুদ্ধে প্রথম জয়লাভে আত্মহারা হয়ে আনন্দে মেতে গেলেন। ফলে শেরশাহের দ্বিতীয় আক্রমণে সম্পূর্ণ পরাজিত হয়ে তাকে ভিস্তীর হাতে প্রাণ বাচাতে হয়েছিলো। সুখের দিনে যারা এমনি অনন্ত আত্মহারা হয়ে কর্তব্যচ্যুত হয়, তাদের জীবনে চরম বিপর্যয় দেখা দেয়। অপরদিকে যারা কেবল দু:খ করে, সর্বদা মুখ ভার করে থাকে, সদা সর্বদা এটা নেই, সেটা চাই- এই যাদের ভাব, তারা জীবনে কখনও সুখ-শান্তি, তৃপ্তি বা আনন্দ লাভ করতে পারে না, সত্যের সন্ধান পায় না এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারে না (হক, ১৯৮৭)।

আমরা যারা ইসলামী আন্দোলন করি,তারা সফলতার দেখা পাই। আবার ব্যর্থ্যতার দেখাও পাই। সফলতার সময় বলা উচিত আলহামদুলিল্লাহ। আর ব্যর্থ্যতার সময় কর্তব্য হলো ধৈর্য্য ধরা। তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা। বর্তমানে আমরা একটি পরীক্ষার ময়দানে আছি।

সরকার এবং তার অনুসারীরা আমাদের উপর ধারাবাহিকভাবে নির্যাতন করছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের কৌশল অবলম্বন করতে হবে। সংগঠনের ভাইদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। একজনের বিপদে সবাই এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

নিজেদের সকল অভাব অভিযোগ আল্লাহর কাছে নামাজের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। সব সময় আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে। বিপদে মন খারাপ করা চলবে না। প্রতি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করার পাশাপাশি ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলতে হবে আসতাগফিরুল্লাহ। এছাড়া কারো উপর জুলুম করা চলবে না।

তথ্যসূত্র: হক, শামসুল। (১৯৮৭)। বৈপ্লবিক দৃষ্টিতে ইসলাম। ঢাকা: ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

বিষয়: বিবিধ

১০৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File