যুদ্ধ ও বাস্তবতা.........
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:০৩:২২ রাত
দিনটা ছিল ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর। ঘড়িতে সময় সকাল ১০। চাপাইনবাবগঞ্জের মাটিতে মুক্তিযোদ্ধা এবং পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে। এমন সময় একজন মুক্তিযোদ্ধা খেয়াল করলেন, সামনেই একটি বাড়ির দোতলায় অবস্থানরত পাকিস্তানি মেশিনগান পোস্ট থেকে অনবরত গুলি আসছে। তাই মুক্তিযোদ্ধারা সুবিধা করতে পারছেন না। যত দ্রুত সম্ভব পোস্টটি ধ্বংস করতে হবে। অন্যথায় চাপাইনবাবগঞ্জ মুক্ত করা যাবে না। কিন্তু মেশিনগান পোস্ট ধ্বংস করার কাজটি ছিল বেশ কঠিন। জীবন হারানোর ঝুকি নিতে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে ঝুকি নিলেন মুক্তিযোদ্ধাটি। বা হাতে এসএমজি এবং ডান হাতে একটা গ্রেনেড নিয়ে ক্রলিং করে নিজেই এগিয়ে গেলেন মেশিনগান পোস্টের দিকে। এক পার্যায়ে হঠাৎ দাড়িয়ে পোস্টের দিকে গ্রেনেডটি ছুড়ে মারলেন। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের সাথে সাথে উড়ে গেল পোস্ট। কিন্তু ঠিক সেই সময়ই পাকিস্তানিদের গুপ্ত অবস্থান থেকে একটি গুলি এসে লাগে এই সাহসী যোদ্ধার কপালে (নজরুল'২০১৩)। আপনারা কি জানে এই সাহসী যোদ্ধার নাম? তার নাম বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর।
বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীরের মতো সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন একটি স্বাধীন, শান্তিপূর্ণ ও কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য। কিন্তু তাদের সেই প্রত্যাশা আজো পূরণ হয়নি। একদল মানুষ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে পুরো জাতিকে গোলাম বানাতে চায়। নিজেদের কায়েমী স্বার্থ হাসিলের জন্য দুর্বলের উপর অত্যাচার করে। আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদকারীকে দেশদ্রোহী হিসেবে চিহ্নিত করে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে এই গোষ্ঠীটি ইসলামকে অপমান করে। যারা আল্লাহ ও রাসূল সা: কে ভালবাসে তাদের বুকে গুলি চালায়।
সবশেষে বলতে চাই, জুলুমকারী কখনো টিকে থাকতে পারে না। নিজ অপকর্মের কারণেই তার পতন হয়। বর্তমান আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট একটি অত্যাচারী গোষ্ঠী। তাদের পতন খুবই নিকটে। এমন সময় আসবে যখন তারা ক্ষমা চাওয়ারও সুযোগ পাবে না।
তথ্যসূত্র
নজরুল, আরিফ। (২০১৩, ডিসেম্বর ১৪)। বীরশ্রেষ্ঠ মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর। দৈনিক নয়াদিগন্ত, পৃষ্ঠা ৬।
বিষয়: বিবিধ
৯২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন