যুদ্ধ ও কিছু কথা.......
লিখেছেন লিখেছেন অরুণোদয় ১১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১১:২১:০৪ রাত
মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী দামাল তরুণ-যুবকদের অধিকাংশই ছিল এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের সন্তান-সন্ততি। যুদ্ধের রক্তাক্ত ময়দানেও আমি মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেছি বাকায়দা নামাজ পড়তে, দরূদ পাঠ করতে। ...ইসলাম ধর্মের বিষয়টি আমি এখানে একারণে উল্লেখ করেছি যে, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বের ইসলাম এবং পরের ইসলাম, এর মধ্যে হঠাৎ করে এমন কি ঘটে গেল যাতে ইসলামের কথা শুনলেই কোন কোন মহল পাগলা কুকুরের মত খিচিয়ে ওঠেন। যে দেশের শতকরা নব্বইজনেরও অধিক পবিত্র ইসলাম ধর্মের অনুসারী, সেদেশের এ করুণ অন্ধ উন্মাদনার মধ্য দিয়ে ইসলাম ধর্মের নিকুচি করা কি অদৌ যুক্তিসম্মত?(জলিল, ২০১০: ৩৫)।
উপরের কথাগুলো বলেছেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মেজর এম এ জলিল। 'মেজর জলিল রচনাবলী' নামক বইয়ের ৩৫ নং পৃষ্ঠা খুললে পাঠক এই লেখাগুলো দেখতে পাবেন। মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে বর্তমান যুব সম্প্রদায়ের একটি অংশ ইসলামকে অবমাননা করে। তারা ইসলামকে হেয় করে মানুষের সামনে উপস্থাপন করে এক ধরনের সুখ পায়।
যারা এমন কাজ করে আমি তাদের বলতে চাই, ইসলাম এবং মুসলমানদের হেয় করবেন না। এতে আপনাদের লাভ হবে না। কারণ, মানুষ অনেক বেশি সচেতন।
আমরা যারা ইসলামী আন্দোলন করি তাদের উচিত, প্রজ্ঞা ও কৌশলের মাধ্যমে দেশবিরোধী ও ইসলামের শত্রুদের মোকাবেলা করা। আর আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসরদের বলছি, জনগণের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে কেউ কোন দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি। ইসলামের অবমাননা করে কেউ শান্তি পায়নি। আপনারা অন্যায়ের পথ পরিহার করুন। সবাই আপনাদের পাশে দাড়াবে।
তথ্যসূত্র
জলিল, এম.এ। (২০১০)। অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা। আতিক হেলাল সম্পাদিত, মেজর জলিল রচনাবলী (পৃষ্ঠা, ২৩-৮৬)। ঢাকা: কমল কুড়ি প্রকাশনী
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন