জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নিয়ে আবেগধারিদের প্রতি. . . . . . .
লিখেছেন লিখেছেন খামচি বাবা ২৯ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:০৭:৪৭ রাত
ইদানিং অনেকেই জিহাদের যুদ্ধ অংশ টুকু নিয়ে অনেক আবেগ দেখাচ্ছেন।জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জেএমবি এর কৃত কর্মকান্ড সমর্থন যোগ্য বলে আবার তাদের আগমন কামনা করছেন.
তাদের আবেগের প্রতি সম্মান রেখে বলছি এরা ইসলামের বড় ধরনের ক্ষতি করে গেছে।যখন দাওয়াতি কাজে বের হই তখন বুঝি।
ওমা লাকুম লা তুকা তিলূ না ফি সাবিলিল্লা . . . .আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাধারন কিছু অশিক্ষিত মানুষের আবেগ নিয়ে যা করেছে তা কোনো সমাধান নয়।
যেটাকে তারা ইসলামের জন্য মনে করছে সেটা যে বহির্বিশ্বের চাল ছিলো।মূলত জেএমবি তৈরি হয়েছিলো মায়ানমারের আরাকান আর কাশ্মীরের আসহায় মুসলমানদের জন্য।কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র' মোর ঘুরিয়ে দেয় এই সংগঠনের,
আচ্ছা সিনেমা দেখা কিংবা বটমূলে গান গাওয়ার শরীয়তে কি শাস্তি হতে পারে? নিশ্চয়ই মৃত্যুদন্ড হতে পারেনা।আপনি দেশের সব মূর্তি ভাঙতে পারেন কিন্তু মানুষের মনে যেই শিরক ঢুকে পরেছে তা কি বোমা দিয়ে কিংবা ভয় দেখিয়ে তারাতে পারবেন?
আপনি কি জানেন পাকিস্তান,আফগানিস্তান কিংবা ইরাকে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান যেমন ঈদে যে বোমা হামলা হয় তা সিআইএ কিংবা মোসাদের কারসাজি।এটা তালেবান কিংবা আল কায়েদার কাজ না,এই কথাটা সেখানকার লোকদের জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে।আমেরিকার দাবার সব চেয়ে বড় গুটি এই জঙ্গী হামলা।
আর বাংলাদেশে সিআইএর এই গুটির চাল দিয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা 'র'
যেখানে মিশরে ৭৫% মানুষের সমর্থন থাকার পরও শরীয়া আইন বাস্তবায়ন করা যায়নি সেখান বোমা হামলা কিংবা ভয় দেখিয়ে আপনি কি করতে পারবেন।হ্যা একটা কাজই পারবেন আর তা হলো শরীয়া আইন চায় এমন মানুষের সংখ্যা ৫০% থেকে ৫% এ নামিয়ে আনতে
বর্তমানে জালিমের এই সামান্য অত্যাচারে যদি এত তারাতারি ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন তাহলে আপনার ইসলামী আন্দোলন করার কোনো প্রয়জন নেই
দ্রুত বারতে থাকা একটি গাছের ঝরে যাওয়া পাতার মত আপনিও ঝরে যাবেন.যখন গাছটা পূর্নতা পাবে তখন আপনি মাটিতে পঁচে গেছেন
আরো অনেক কিছু বলার ছিলো,ছোট্ট জাভা সেট টা দিয়ে বেশি কিছু লেখতে পারছিনা
শুধু এই আবেগ প্রবন লোকদের জন্য জন্য দোয়া করছি যাতে আল্লাহ তাদের হেদায়াত দান করেন এবং ধৈর্য দান করেন
বিষয়: বিবিধ
১৩০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন