মাতুআইলের ময়লার ভাগারে পাওয়া হাড়গোড় এনাটমি বিভাগের প্রমান করতে মরিয়া পুলিশ
লিখেছেন লিখেছেন খামচি বাবা ২৮ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:৫৯:১৯ রাত
হাড়গোড় অ্যানাটমি বিভাগের বলে প্রমাণ করতে মরিয়া
কঙ্কাল রহস্য
সোমবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৩, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক
কঙ্কালগুলো অ্যানাটমি বিভাগের বলে প্রমাণ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এর জন্য প্রচারে নামানো হয়েছে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তাকে। তারা মিডিয়াকেও ম্যানেজ করতে চাচ্ছে। কঙ্কাল ও হাড়গোড় উদ্ধারের পর থেকেই তা নিয়ে চলছে নানা লুকোচুরি। কখনো তা মহিলাদের হাড় কখনো কোনো মেডিক্যালের অ্যানাটমি বিভাগের হাড় ইত্যাদি বলে প্রচার করে বিষয়টিকে আরো রহস্যাবৃত করে ফেলা হচ্ছে। কঙ্কাল উদ্ধারের পর মাতুয়াইলে সিটি করপোরেশনের ময়লার ডাম্পিং এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। এখন আর কাউকে সেখানে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, রাতদিন সেখানে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা কি যেন খুঁজছে। গত শুক্রবার সকালে মাতুয়াইলে সিটি করপোরেশনের ভাগাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে দু’টি মাথার খুলি, সাতটি খণ্ডিত পা-সহ কিছু হাড়গোড়। বস্তায় ভরা ছিল এসব হাড়গোড়। হাড়গোড় উদ্ধারের পরই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। কেউ কেউ দাবি করেন, বিভিন্ন স্থান থেকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের হাড়গোড় হতে পারে ওগুলো। সূত্র জানায়,ঘটনার পরই একটি পক্ষ নানা প্রচারণায় নামে। যার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন। হাড়গোড় উদ্ধারের পরই পুলিশের একজন কর্মকর্তা প্রচার করেন ওর মধ্যে মহিলারহাড়গোড় রয়েছে। প্রমাণ হিসেবে তিনি নখে নেইল পলিশের কথা বলেন। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, হাড়গোড়ের কিছুই অক্ষত ছিল না। তাতে ওই পুলিশ কর্মকর্তা কিভাবে নখে নেইল পলিশ খুঁেজ পেলেন। হাড়গোড় যখন হাসপাতালে ফরেনসিক টেস্টের অপেক্ষায় তখনই আবারো নতুন করে প্রচারে নামা হয়। দাবি করা হয় ওগুলো কোনো হাসপাতালের অ্যানাটমি বিভাগের। ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ওগুলো ব্যবহার করা হতো। মেয়াদ শেষে তা ফেলে দেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার কার্যালয়ে কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে এই ব্রিফিং দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আরো বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন জেগেছে কোন মেডিক্যাল থেকে এভাবে হাড়গোড় বস্তায় ভরে ময়লার ডাম্পিংয়ে ফেলে দেয়া অপরাধ কি না? আর অপরাধ হলে এর সাথে যারা জড়িত তাদের পুলিশ কেন গ্রেফতার করছে না। সূত্র জানায়, ওই হাড়গোড়ের সাথে কিছু জামা-কাপড়ের খণ্ডিত অংশও ছিল। কিন্তু সেগুলো হাসপাতালে পাঠানোর সময় পুলিশ সাথে দেয়নি। ওগুলো ফেলে দেয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ঘিরে রাখা হয়েছে ময়লার ওই ভাগাড়। কাউকে সেখানে ঢুকতে দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এমনকি সংবাদকর্মীরাও ঢুকতে পারছেন না। তবেরাত-দিন সেখানে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই হাড়ের টুকরাগুলো কাদের তা উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনোই তৎপরতা নেই। তারা ব্যস্ত হাড়গুলো মহিলার এবং কোনো হাসপাতালের এনাটমি বিভাগের বলে প্রমাণ করতে। এক পুলিশ কর্মকর্তা কয়েকজন মিডিয়াকর্মীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার কার্যালয়ে নিয়ে ওই বিষয়ে ব্রিফ করেন বলে জানা গেছে। এ দিকে একটি সূত্র জানিয়েছে এখন পর্যন্ত ওই হাড়গোড়ের কোনো ফরেনসিক টেস্ট হয়নি। এমনকি নমুনাও সংগ্রহ করা হয়নি। এরই মধ্যে কিভাবে ওগুলো এনাটমি বিভাগের হাড়গোড় বলে প্রচার করা হলো তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে দাবি উঠেছে। এ দিকে অনেকেইসন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, হয়ত এই হাড় উদ্ধার রহস্যের কোনো কূলকিনারা হবে না। প্রথমেই যেভাবে বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি শুরু হয়েছে এবং ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে তাতে এই সন্দেহ অমূলক নয় বলেতাদের দাবি।
সূত্র নয়াদিগন্ত
লিঙ্ক http://www.dailynayadiganta.com/welcome/post/14620#.Uh4OV118uo9
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন