নর্থ সাউথের পাঁচ ছাত্রের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবো- রাজাকারের নাতি ইমরান সরকার

লিখেছেন লিখেছেন দৈনিক হলুদ আলো ১২ মার্চ, ২০১৩, ০৭:৪৭:৫১ সন্ধ্যা



আজ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজীব হত্যাকারী সন্দেহে গ্রেফতারকৃত পাঁচ ছাত্রের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মহান কমান্ডার রাজাকারের নাতি ইমরান ওয়াই সরকার। এই ব্যাপারে তিনি একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এই ছাত্রদের অদূরদর্শী কাজের কারণেই আমাদের ‘গণজাগরণ মঞ্চ’ মাঠে মারা গেছে। এমনকী সরকারের সাজানো সুন্দর একটি ধারাবাহিক নাটক প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে গেছে!! আমাদের একান্তপ্রিয় নাস্তিক সরদার থাবাবাবার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত আমরা খুব নিশ্চিন্তে জনগনের সাথে স্বাধীনতার চেতনার দোকানদারি করছিলাম। মৃত্যুর পর থাবার ফেসবুকের লিংক ও ব্লগের লেখালেখির সূত্র ধরে এই আন্দোলনের গোপন রহস্য ফাঁস হয়ে গেছে এবং এর ফলে আমাদের বিশাল সম্পদের ক্ষতি ও ইজ্জতের বারোটা বেজে গেল। এমনকি মিডিয়া নির্লজ্জভাবে আমাদের পক্ষে সত্য-মিথ্যা লিখেও সুবিধা করতে পারছে না। এর ফলে ব্যক্তিগতভাবে আমরা কয়েকজন দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। নাহয় এতদিনে আমরা আরো কয়েকটা ফ্ল্যাটের মালিক হয়ে যেতে পারতাম। এই বিপদগামী তরুণদের কুকর্মের কারণে আমরা যে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি তা মানহানি মামলা দিয়ে আদায় করবো।’ একথা বলার সময় তিনি ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

পাশ থেকে বাংলাদেশ পাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল হালুম বলেন, ‘ইমরান ভাই তার আওয়ামী চরিত্র লুকিয়ে দারুণভাবে এই আন্দোলনকে গণমানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলতে পেরেছিলেন। থাবা বাবার মৃত্যুর পর সব ভজঘট পাকিয়ে গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম যুদ্ধাপরাধী মাহমুদুর রহমান তার পত্রিকায় আমাদের নাস্তিক ভাইদের লেখালেখি প্রকাশ করে চরিত্রের ফালুদা করে ফেলেছে। তারপর গতকাল আমার দেশ পত্রিকা আমাদের ইমরান ভাইয়ের আসল পরিচয় প্রকাশ করে তার রাজাকার দাদাকে যে মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করেছিল এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সেজে বাড়ি দখলের কেলেঙ্কারি প্রকাশ করে দিয়ে আমাদের ‘ফেরেশতার’ মতো ইমরান ভাইয়ের জাতীয় ভাবমূর্তিতে আলকাতরার ড্রাম ঢেলে দিয়েছে। এই সবকিছুর মূলে রয়েছে ঐ ছাত্রগুলো। এগুলো সব জামাত-শিবিরের ষড়যন্ত্র। ওদের একজনের চাচাতো ভাইয়ের খালুর ভায়রার তালতো ভাইয়ের আপন বন্ধু শিবিরের বিশাল নেতা। সুতরাং এটা যে জামাতের কাজ তা ফিলিপ্স বাত্তির আলোর মতোই পরিষ্কার। খুব শীঘ্রই আমরা তাদের বিরুদ্ধে একশো কোটি টাকার মানহানি মামলা করবো। আমাদের নেত্রী এ মামলার ব্যাপারে জজ সাহেবকে ফোন করে দেবেন বলেছেন। সুতরাং আমাদের জয় সুনিশ্চিত।’

এসময় উত্তেজিত লাকি আক্তার পাশ থেকে চেচিয়ে ওঠেন-

প-তে পাঁচ ছাত্র,

ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই।

এ ব্যাপারে আইন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঐ কুলাঙ্গারেরা আমাদের সরকারের এত সুন্দর একটা পরিকল্পনাকে ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছে। এতে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা আমাদের মাল সাহেব কেলকুলেটরে হিসাব করে দেখেছেন ক্ষয়ক্ষতি একশো কোটি টাকারও বেশি। এবং প্রয়োজনে আদালত যদি উল্টাপাল্টা রায় দেয় তাহলে আমরা আরেকটা প্রজন্ম চত্বর প্রসব করবো, এটা আমার পড়ে যাওয়া চুলের কসম।’ এসময় তিনি পরম মমতায় তার টাকে হাত বুলান।

বাংলাদেশের একমাত্র দপ্তর বিহীন মন্ত্রী চুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেন, ‘সেই টাকার বস্তার কথা আমি আজও ভুলি নাই। কিন্তু পরিস্থিতির জন্য কিছু বলতেও পারি নাই। আমি ইমরানকে অনুরোধ করব যাতে সে তার মামলায় আমার জন্য আরো ৭০ লাখ টাকা যোগ করে। তাইলে আমি নিজে নেত্রীর সাথে কথা কইয়া মামলা জিতনের ব্যবস্থা করুম।’ এসময় তার চোখ চকচক করে ওঠে।

বিষয়: রাজনীতি

৯৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File