সজিব ওয়াজেদ জয়ের বাংলাদেশ সফর
লিখেছেন লিখেছেন Bhabsi ki Hote Pare ২৭ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:৪২:২০ রাত
আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়।তার আরেকটা পরিচয় তিনি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন।তার রাজনৈতিক পরিচয় তিনি আওয়ামীলীগের তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত আছেন।তবে রাজনীতিতে তিনি অনিয়মিত।তিনি বাংলাদেশেও অনিয়মিত।মাঝে মাঝে দেশে বেড়াতে আসেন।তবে সর্বশেষ এবার তিনি এক ধরনের রাজনৈতিক সফরেই আসলেন বলে ধরা যায়।আওয়ামীলীগের তেমন কোন কর্মকান্ডে তিনি জড়িত নন।তবে দলকে দিক নির্দেশনা কিংবা নিজের মাকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেন বলে জানা যায়।আর বেশীভাগ ক্ষেত্রেই তার পরামর্শই কার্যকরন করা হয়।বিলবোর্ডের বুদ্ধিও খুব সম্ভব তার মাথা থেকে আসে।কিন্তু তুমুল বিতর্কের মুখে বিলবোর্ড সরানো হয়।এখন বলা হচ্ছে এনিমেশন,বিজ্ঞাপন,মোবাইল এসএমএস এর মাধ্যমে প্রচারনা চালানো হবে।
বিলবোর্ড প্রসঙ্গে প্রবীন সাংবাদিক এবিএম মূসা এবং স্বনাম ধন্য সাংবাদিক মতিউর রহমান চৌধুরি(মানব জমিন)চ্যানেল আই এর আজকের সংবাদ পত্র অনুষ্ঠানে বলেছেন রাজনীতি কি এখন বিজ্ঞাপন হয়ে গেল?
এ প্রসঙ্গ অনেক লেখালেখি হয়েছে আমি আপাতত জয়ের সফর প্রসঙ্গে ফিরে আসি।জয়ের এই সফরে তিনি রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন।তবে তার সবটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক।যেটা দেশের রাজনীতির জন্য সুখকর নয়।
ফেসবুকে তথ্য অনুয়ারী জয় রংপুরের পীরগন্জের একটি আসন থেকে নির্বাচন করবেন।রংপুর সমাবেশে সেই ইঙ্গিতই প্রদান করে জয়।তবে রংপুরে তার ভাষণ শুনে আমি আশাহত।তিনি বাংলায় বক্তূতা দিচ্ছেন,কথা বলার ধরন পুরো বিদেশীদের মত।একজন বিদেশী ভালভাবে বাংলায় কথা বললেও বুঝা যায় তিনি বিদেশী।জয় এদেশের জাতির পিতার নাতী হয়ে কথা বলে বিদেশী স্টাইলে এর চেয়ে হতাশার কথা আর কি হতে পারে।বঙ্গবন্ধুর ভাষণের গুনেই এ দেশের লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ একত্রিত হয়ে যুদ্ধ করে আর তারই নাতীর এঅবস্থা !! একাত্তর টিভির টকশোতে তার জয়ের একটি সাক্ষাতকার প্রচারিত হয় সেখানে তিনি জানিয়েছেন এখন তিনি সরাসরি রাজনীতিতে আসছেন না,দলের দুঃসময়ে দলকে জিতাতে এসেছেন।একটু খেয়াল করলে দেখব জয়ের ঐ সাক্ষাতকার আর রংপুরের সমাবেশের বক্তব্য এবং প্রকৃতি এই দুয়ের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে।তবে সাক্ষাতকারটি রংপুর সমাবেশের পূর্বে ধারন করা হয়েছে।আবার সাক্ষাতকার আর বর্তমানের মিল রয়েছে।তিনি বলেছেন ডিজিটাল প্রচারনার ব্যবস্থা করবেন।সেক্ষেত্রে বিলবোর্ড,এনিমেশন,এসএমএস,বিজ্ঞাপন ইত্যাদি তার মাথা থেকে আগত বলে ধরা যায়।কিন্তু হুট করে বিদেশ চলে গেলেন কেন?
ঈদ কাটাতে?
প্রচারনার সুব্যবস্থা করতে?
নাকি ভয় পেয়ে?
ভয় পাওয়ার কারন দুটো হতে পারে
১।নিজেদের জনপ্রিয়তার হার নিম্ন গামী দেখে
২।বিদেশী মানবাধিকার কর্মী গোমেজের টুইটার বার্তায় ভীত হয়ে।
যেদিন বার্তার কথা প্রকাশ করেন সেদিনই তিনি বিদেশে পাড়ি জমান।
যদি ভীত হয়ে চলে যান তবে তিনি রাজনীতিতে উন্নতি করতে পারবেন না।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন