নির্দলীয়দের ঠাঁই নাই
লিখেছেন লিখেছেন Bhabsi ki Hote Pare ১৭ জুন, ২০১৩, ১২:৩৭:৩৬ রাত
বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় নির্দলীয়রা সবখানেই নিগৃহীত।নির্দলীয়দের যেটুকু আধিপত্য সেটা পত্রিকার সম্পাদকীয় আর টিভি টকশো তে।অবশ্য টিভি টকশো তে দলীয়দেরও আধিপত্য থাকে।বিএনপি,আওয়ামীলীগ ছাড়া টকশো জমে না তবে নুরুল কবির, আসিফ নজরুলরা থাকলে তারা ভিন্ন কথা তারা একাই একশো।একটু খেয়াল করলে দেখব দলীয়রাই মানুষের কাছে বেশী গ্রহনযোগ্য এবং অবিশ্বাসযোগ্য।দল যেহেতু দুইটা সেহেতু একদল অন্যদলকে বিশ্বাস করবে না এটাই স্বাভাবিক।এই কারনে নির্বাচন করতে কিছু নির্দলীয় নিরপেক্ষ লোকের প্রয়োজন হয়।এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট।যদিও মহাজোট এটা মানতে চাইছে না।আমি আপাতত দলীয় নির্দলীয় নিয়েই বলি।বাংলাদেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ লোকের খুব অভাব।এর কারন নির্দলীয়দের কোথাও ঠাঁই নাই।যেমন সিসিক নির্বাচন হল এই নির্বাচনের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বড় দুলের প্রার্থীরা।ভোট উঠানামা করেছে তাদের পক্ষে বিপক্ষে।যারা ছিল নির্দলীয় তাদের খোঁজ নাই।হাজারের বেশী ভোট তারা পাইনি।জাতীয় নির্বাচনেও একই অবস্থা।শুধু নির্বাচন নয় সব ক্ষেত্রেই দলীয়দের গ্রহনযোগ্যতা বেশী।ফেসবুকেও একই অবস্থা।নির্দলীয় কোন স্টাটাস দিলে সেটাতে যতটা লাইক কমেন্ট পড়ে তার চেয়ে বেশী লাইক কমেন্ট পড়ে কোন দলের পক্ষে স্টাটাস দিলে।দলীয় পেইজ সমূহের লাইক সর্বোচ্চ।দলীয় পেইজের মধ্যে এগিয়ে জামায়াত সমর্থিত পেইজ বাঁশের কেল্লা।নিরেপেক্ষ পেইজ হিসেবে প্রজন্ম চত্বর পেইজটা শীর্ষে ছিল।প্রথম তিনদিনেই তাদের লাইক সংখ্যা লক্ষাদিক ছাড়িয়ে যায়।তবে বর্তমান অবস্থা করুন।প্রজন্ম চত্বর সমর্থিত পেইজ অবাক পৃথিবী,বিশ্ব রেকর্ড পেইজ গুলো প্রচুর লাইক হারিয়েছে প্রজন্ম চত্বরের পোস্ট কপি করে এবং তাদের সমর্থনে পোস্ট দিয়ে।এখন তারা পুরোপুরি ভাবে এই প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলছে। আর প্রজন্ম চত্বরের লাইক হারানোর কারন ধর্মকে অবহেলা এবং বামগোষ্ঠি কে সমর্থন।বাংলাদেশের তরুন থেকে শুরুকে প্রায় সবাই ধর্মের ব্যাপারে সেন্সসিটিভ।যা বলছিলাম দলীয়রাই সব খানে গৃহীত হয়।মিডিয়া প্রমান করতে চাইছে আওয়ামীলীগ বিএনপি গত বাইশ বছরে দেশের জন্য কিচ্ছু করে নাই বরং ক্ষতি করেছে।তাই তাদের বর্জন করতে হবে।জনগন সেদিকে মনে হয়না খুব বেশী কর্নপাত করছে কিংবা তারা বিকল্প কিছু পাচ্ছে না।তবে আগামী ৫ থেকে ১0 বছর শিক্ষিতের সংখ্যা বাড়বে।তারা ৫বছর পর পর একই ভুল আর করবে না।তাই আগামী নির্বচনে যারাই জিতবে তাদেরকে জন গনের কথা খেয়াল রাখতে হবে।আগামী নির্বাচনে দলীয়রাই নির্বচিত হবে এটা অনেকটা নিশ্চিত।আর সিসিক নির্বাচন থেকে বুঝা যায় নির্বাচন সুষ্ঠ হলে বিএনপি আরেকটি সুযোগ পাবে।আমার মতে এটাই বিএনপির শেষ সুযোগ।এবার যদি তারা জনগনের আস্থা অর্জন করতে না পারে তবে প্রধান দুলের খেলা শেষ হবে।আওয়ামীলীগের খেলা এবার শেষ।তার ইসলাম ধর্ম এবং মুসলিমদের সাথে যা করেছে তার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।মুসলিমদের খুশি করতে আওয়ামীলীগ একটা নাটক সাজাবার পরিকল্পনা করছে বলে শোনা যায়।দেখা যাক কি হয়।
বিষয়: রাজনীতি
১২৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন