যে কারনে হেফাজতে ইসলামকে সমর্থন দিয়েছি এবং দিচ্ছি

লিখেছেন লিখেছেন Bhabsi ki Hote Pare ১০ জুন, ২০১৩, ০৮:০৫:৪০ রাত

প্রজন্ম চত্ত্বরে

.

.

প্রজন্ম চত্ত্বরে

মনের জ্বালা ব্যক্ত করে

তরুন তরুনীর ঢল,

এরা বাঙ্গালী

এরা নতুন যোদ্ধার দল।

কি চাস তোরা?

কি তোদের দাবী?

এক একশ হাজার নয়

লক্ষ্য তাঁরা বলে উঠে

রাজাকারের ফাঁসি ছাড়া,

ফিরব না,ফিরব না ঘরে।

কি প্রান শক্তি!

কি অভিব্যক্তি!

কি যে তাদের দেশ ভক্তি!

সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত্রী

বাড়ছে আর বাড়ছে,

বাড়ছে তাদের সহযাত্রী।

তরুন তরুনীর বল

শিক্ষক লেখকের দল

শিশু কিশোর

মা খালাদের ঢল......

উচ্ছাসে উল্লাসে

তারা উচ্ছল।

বয়-বৃদ্ধরাও করছে কলোরল।

পালাবি কোথায় ও রাজাকার,

এবার হবিই নির্মুল।

(০৮.২.১৩)

আমার এই ছোট্ট কবিতাটা পড়ে কেউ বিস্মিত আবার কেউ দ্বিধান্বিত।কারন অনেকেই এই কবিতা আর লেখার শিরোনামের সাথে মিল খুজে পাচ্ছেন না।যারা মিল খুজছেন তার হয় প্রজন্ম চত্বরের একপেশে সমর্থনকারী নতুবা হেফাজাতে ইসলামের একপেশে সমর্থনকারী।আশা করি পুরো লেখাটি পড়লে সবার দ্বিধার অবসানঘটবে।

প্রজন্ম চত্বরের যেদিন উদ্ভব সেদিন আমার মনে হয় আমিই বেশী খুশি।তরুন প্রজন্ম জেগেছে এর চেয়ে খুশির খবর আর কি হতে পারে।আমি প্রজন্মে পক্ষে।প্রথমে তারা যে দাবী তুলেছে এখনো তার পক্ষে।কিন্তু প্রজন্ম চত্বর প্রথম যে দাগটা দিল তাহল বঙ্গবীরকে কুটূক্তি।আমি প্রচন্ড ব্যথিত হই।এটাকে প্রজন্মের একটা ভুল হিসেবে ধরে নিলাম।খালেদা প্রজন্মকে নষ্ট বলল ইমরান বলল নষ্টরায় মুক্তিযুদ্ধ করে।আবার ভুল।মিডিয়া নিশ্চুপ।প্রজন্ম চত্বর জনসম্পৃক্ততা হারানোর জন্য আমি মিডিয়ার অতিউত্‍সাহকে বিশেষ ভাবে দায়ী করতে চায়।তারা প্রজন্ম চত্বরের ভুল গুলো শুধু চেপে যায়নি বরং সেগুলোকে সত্য বলে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছে।কি ছিল কি হল।রাজাকার থেকে শুরু করে সুশীল,বুদ্ধিজীবি,সাংবাদিক এমন কি মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানানো হয়ে গেল।এখন সব শেষ।রাজিবকে যেদিন হত্যা করা হলসবার মত আমি তাকে শহীদ হিসেবে মেনে নিই।রবি সার্কেলে একটা মেসেজ সাউট করি "২য় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ রাজিব"

যেদিন মেসেজটা সাউট করি ঐদিনই আমার দেশ এ রাজিবের কুকৃর্তী ফাঁস হয়।আমি ঐটা পড়ি রাতে।আসলে বিএনপিকে এক পেশে সমর্থন দেওয়ারকারনে আমার দেশ পড়তামনা।সার্কেলে মেসেজটা সাউটকরার পর এক বন্ধু পোক করে যে রাজিব শয়তান,ইসলামের শত্রু এবং আমার দেশ পড়তে বলে।কৌতূহল বসত ঐদিন রাতে লেখা গুলো পড়ি।পড়েতো আমি থ।এত খারাপ লাগছে।এরপর একেরপর এক কুকৃর্তী ফাঁস করে আমার দেশ।প্রজন্ম চত্বর এটা এড়িয়ে যেতে পারত কিন্তু সেটা না করে ধর্মদ্রোহীদের মুক্তির দাবী করে।প্রজন্ম চত্বরের খেলা শেষ।হেফাজতে ইসলাম,যার নেতা সর্বজন শ্রদ্ধেয় দেশ সেরা আলেম আহমদ শফী।যার সম্পর্কে অনেক কুত্‍সা রটানোর চেষ্টা করা হয়েছে।কিন্তু সব চেষ্টায় ব্যর্থ।তার কুত্‍সা গুলো যে মিথ্যে সেটা ডিনিউজে প্রকাশ করেন গোলাম মাওলা রনি।হেফাজতে জামায়াত যারা বলেছে সেটার কোন তথ্যগত ভিত্তি কেউ দেখাতে পারেনি।

যেহেতু আমি মুসলিম সেহেতু হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা নিদ্বির্ধায় সমর্থন করি।আর ইসলামে নিরপেক্ষতার স্থান নেই।ইসলামের সাথে ১৩ দফা সাংঘর্ষিক নয়।১৩ দফা নিয়ে অনেক আলোচনা সমালোচনা হয় সেটা ভিন্ন আলোচনা।আমার সমর্থন দেওয়ার কারন

১।ইসলামে যেহেতু বিশ্বাস করি সেহেতু হেফাজতে ইসলামের তের দফাসমর্থন করা ঈমানী দায়িত্ব।

২।আলেম তৈরির কারিগররা এই আন্দোলনের নেতা।

৩।আল্রাহ নবী (সঃ)কে ভালোবেসে এই আন্দোলন।

৪।ইসলাম প্রিয়দের আন্দোলন

৫।ধর্মদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন

৬।আমার ধর্মকে হেফাজত করার আন্দোলন

৭।ইসলামী জাগরনের আন্দোলন

সরকার যদি ৫বছরে কোন দূর্নীতি না করত তবে শুধুমাত্র হেফাজতে ইসলামের সাথে অন্যায়ে আচরনের কারনেই ভোটে হেরে যেত।সর্বত্র বলা হচ্ছে হাজার হাজার আলেম হত্যা করা হয়েছে।এর সত্যতা প্রকাশ পায় নি।তবে লোক মুখে এটার যে প্রচার ঘটেছে সেটা কোন কোন ক্ষেত্রে লক্ষও হয়ে গেছে।সরকারকে যারা এই অন্যায়ের জন্য সার্পোট করেছে তারা আবার সরকারের ভোটার না।তারা হল বাম গোষ্ঠি।তাদের এবং তাদের সমর্থকদের ভোট সরকার কোন দিনও পাবেনা।তাই সরকার নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারল।বরিশালের মেয়রদের বিতর্ক দেখছিলাম(Itv) সেখানে প্রত্যেক প্রার্থী দাবী করছেন হেফাজত তাদের পক্ষে।তারা বুঝে গেছে হেফাজতের সমর্থন নির্বাচনের ক্রাইটেরিয়া।বাতাসে খবর ভাসছে নির্বাচনের আগে হেফাজতকে খুশি করতে হাসিনা সরকার কিছু পদক্ষেপনেবে।লাভ কতটুকু হবে সেটাই দেখার বিষয়।

আগে ধর্ম পরে দেশ জাতীয়তাবাদ এক্সেটরা।ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক এমন কোন দেশীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করিনা করবো না।এর যৌক্তিক কারনও দেখাতে পারবো।

বিষয়: বিবিধ

১৪২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File