আওয়ামীলীগ যে কারনে জামায়াত নিষিদ্ধ করতে পারছেনা কিংবা করবে না
লিখেছেন লিখেছেন Bhabsi ki Hote Pare ২৮ মে, ২০১৩, ১২:১৩:৫০ রাত
প্রথমত,জামায়াত একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল।আ'লীগ চাইলেই জামায়াত নিষিদ্ধ করতে পারে না।যুদ্ধের কৃতকর্মের জন্য জামায়াত নিষিদ্ধ করা যায় তবে সেক্ষেত্রে দেশের অধিকাংশ জনগনের রায় নিতে হবে।আ'লীগ তো দুই তৃতীয়াংশ গন রায় নিয়েই ক্ষমতায় এসেছে তাহলে তারা কি আইন করে জামায়াত নিষিদ্ধ করতে পারে না?
এর উত্তর আ'লীগের নির্বাচনি ইসতেহার যেটার উপর ভিত্তি করে জনগন আ'লীগকে ভোট দেয় সেটাতে জামায়াত নিষিদ্ধের কথা উল্লেখ নেই।তাই দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়ে যেমন বিএনপিকে নিষিদ্ধ করা যাবে না তেমনি জামায়াতও সরকার নিষিদ্ধ করতে পারছে না।
এরপর আসি শিবির প্রসঙ্গে।শিবির জামায়াতের অন্যতম অংশ।শিবিরে যারা আছে তারা এ প্রজন্মের তরুন।যুদ্ধের সময়কার ঘটনার কোন দায় তাদের দেওয়া যায়না।তারা কেন রাজাকারদের সাপোর্ট করবে এই কারন দেখিয়ে তাদের দোষারোপ করা যায়।এই দোষ তাদের ঘাড়ে দেওয়ার আগে রাজনৈতিক দল গুলোকে এর দায় নিতে হবে।রাজনৈতিক দল গুলো কেন তাদের আদর্শ হতে পারল না।কেন রাজাকার দায় বহন করা একটি দল তাদের আদর্শ হল?
শিবিরের অতীত এবং সাম্প্রতিক তান্ডবের কারনে যদি তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় তবে সেক্ষেত্রে ছাত্রদল ছাত্রলীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।কারন তান্ডবের মাপ কাঠিতে কেউ কারো চেয়ে কম নয়।তাই শিবির জটিলতাও সরকারকে দেখতে হচ্ছে।
আসল কথাঃ দেশে জামায়াতের কিছুটা হলেও সমর্থন রয়েছে।আর শিবিরের কল্যানে জামায়াতের সমর্থন বাড়তে পারে।আ'লীগ সেই ফায়দাটাই লুটতে চাই।বিএনপি কে ক্রমাগত বলে যাচ্চে জামায়াত ছাড় জামায়াত ছাড়।যুদ্ধাপরাদের কারন দেখিয়ে বিএনপিকে জামায়াতের আন্দোলনে সমর্থনও দিতে দিচ্ছেনা।যেগুলোতে নৈতিক কারন দেখিয়ে বিএনপি সমর্থন দিচ্ছে সেগুলোর জন্যেও নিজস্ব বুদ্ধিজীবি দ্বারা বিএনপিকে হেনস্তা করছে।আর বিএনপি জামায়াত ছাড়ছেনা।তারা বলছে আগে নিষিদ্ধ কর পরে ছাড়াছাড়ি।বিএনপি সম্ভবত আ'লীগের মনের কথা বুঝতে পেরছে তাই তাদের এই কৌশল।আ'লীগের কৌশলটা এরকম হতে পারে বিএনপি থেকে জামায়াতকে আলাদা করে ভিন্ন নামে কিংবা যে ভাবে হোক তারা আবার জামায়াতের সাথে জোটবোদ্ধ হবে।তবে এ কৌশলটার বাস্তবতা খুব একটা দেখছিনা কারন বিএনপিকে জামায়াত ছাড়তে বললেও সরকার জামায়াতের সাথে ভাল ব্যবহার করছেনা।চিরশত্রুর মত আচরন করছে।
যাইহোক রাজনীতিবিদদের মতি গতি তারা নিজেরাও বুঝতে পারে না।আমরা আমজনতা কি করে বুঝব।
অনেকে জামায়াত নিষিদ্ধের জন্য গণভোট আয়োজনের কথা বলছে।আমার মতে গণভোটই সর্বত্তোম পন্থা।আ'লীগ বামদের কথায় নয় দেশের জনগণের রায়ে জামায়াত নিষিদ্ধ হলে সেটা হবে সর্বোত্তম এবং সর্বগ্রহনযোগ্য।
তবে আমি একথাটি পরিষ্কার বুঝতেছিনা জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ করে দেশের কি লাভ।আজ নিষিদ্ধ করা হবে পরদিন তারা ভিন্ন নামে আরেকটি দল বানাবে।এতে কার কি লাভ।নাকি জামায়াত নামটা নিয়ে সমস্যা।যদি নাম নিয়ে সমস্যা হয় তবে বলছি নাম পরিবর্তন করে কিচ্ছু হবে না।বরং যেসব ব্যক্তি রাজাকার বা দেশদ্রোহীতার কাজে লিপ্ত ছিল তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা যেতে পারে।
.
.
পুনশ্চঃ"হেফাজতে ইসলাম যে কুরআন পোড়ায়নি তার ব্যাখ্যা"এই শিরোনামে আমার আগের লেখাটি প্রকাশ করি।লেখাটি চতুমার্ত্রিকে যখন প্রকাশ করি তখন তারা আমার সদস্যপদ বাতিল করে।এতে আমি অবাক হয়নি।কারন চতুর কতৃপক্ষ ভিন্ন মতকে সহ্য করতে পারেনা।চতুরের মডারেটর এতই একপক্ষপাতিত্ব করছে যে অচিরেই ব্লগের গ্রহনযোগ্যতা হারাবে।
বিষয়: রাজনীতি
১৬০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন