ব্লগ ও ইন্টারনেটে নাস্তিক ধর্মবিদ্বেষীদের অপতৎপরতা (নাস্তিকমনা গ্রুপ সদস্যদের প্রবেশ নিষেধ)
লিখেছেন লিখেছেন ফজলে রাব্বী ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:৪৩:৫৭ সন্ধ্যা
দিন যতই এগিয়ে চলেছে মানুষ ততই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে। এই প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় মানুষ সবকিছুকেই সহজ করে নিতে শিখেছে এবং প্রতিনিয়ত শিখেই চলেছে। পন্ঞ্চাশ বছর আগেও মানুষ সাধারণ মোবাইলের কথা কল্পনাও করতে পরেনি, এখন সেটা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীতে দেখা দিয়েছে। কম্পউটারের কথাই ধরা যাক, যার মাধ্যমে মুহুর্তেই আমরা যে কোন ধরনের হিসাব মেলাতে পারছি চোখের পলকেই। এটাও সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রযুক্তির বদৌলতেই।
প্রযুক্তি (Technology) বলতে কোন একটি প্রজাতির বিভিন্ন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপদান প্রয়োগের ব্যবহারিক জ্ঞানকে বোঝায়। নিজের প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে প্রজাতিটি কেমন খাপ খাওয়াতে পারছে এবং তাকে কিভাবে ব্যবহার করছে তাও নির্ধারণ করে প্রযুক্তি। মানব সমাজে প্রযুক্তি হল বিজ্ঞান এবং প্রকৌশলের একটি আবশ্যিক ফলাফল। অবশ্য অনেক প্রাযুক্তিক উদ্ভাবন থেকেই আবার বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের অনেক জ্ঞানের ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। মানব সমাজের প্রেক্ষিতে প্রযুক্তির সংজ্ঞায় বলা যায়, "প্রযুক্তি হল কিছু প্রায়োগিক কৌশল যা মানুষ তার প্রতিবেশের উন্নয়নকার্যে ব্যবহার করে।" যেকোন যন্ত্র এবং প্রাকৃতিক উপাদান সম্বন্ধে জ্ঞান এবং তা দক্ষভাবে ব্যবহারের ক্ষমতাকেও প্রযুক্তি বলা হয়।
আমরা যে পৃথিবীতে বাস করি তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্যই আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করি। প্রযুক্তি হল জ্ঞান, যন্ত্র এবং তন্ত্রের ব্যবহার কৌশল যা আমরা আমদের জীবন সহজ করার স্বার্থে ব্যবহার করছি।
বোঝা যায় ইন্টারনেটও একটি প্রযুক্তি যার মাধ্যমে মানুষ হর হামেশাই উপকৃত হচ্ছে। সাধারণ কেনা-বেচা, পড়া-শুনা, বিশ্বের খবরা-খবর, একে অপরের সাথে যোগাযোগ ইত্যাদি বিষয়গুলি সবই সম্ভব হচ্ছে ইন্টানেটের বদৌলতে। শুধু এসব কাজেই নয়; এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর মানুষ নিজ নিজ ভ্রান্ত আক্বীদা, ভ্রান্ত মতবাদ, নাস্তিকতা, ধর্ম বিরোধিতা ছড়িয়ে দিচ্ছে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। যার দ্বরুন মানুষ খুব সহজেই গোমরাহ ও বিভ্রান্ত হচ্ছে। অন্যান্য ধর্মালম্বিরা ইসলামের পথে তো আসা তো দূরের কথা উল্টো ইসলামকে তারা সন্ত্রাসবাদী ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
ইন্টারনেটে একে অপরের সাথে যোগাযোগের জন্য দেশি বিদেশি প্রচুর সাইট রয়েছে। এই ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে বলা হয় সোস্যাল নেটওয়ার্ক। তন্মধ্যে ফেসবুক, গুগল প্লাস, টুইটার, লিঙ্কেড ইন, অরকুট, মাই স্পেস, ডিগ, হাই ফাইভ, ট্যাগট ইত্যাদি আরোও অনেক সাইট রয়েছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর অধিকাংশ লোকই এসব নিয়মিত ব্যবহার করে থাকে।
বর্তমান ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা:
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ এখন সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। সুইডেনের ট্রাফিক সাইট পিংডম-এর সাম্প্রতিক এক জরিপের ফল বলছে, বিশ্বে এখন ২১০ কোটি মানুষ সক্রিয়ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। পিংডম এর জরিপ বলছে, ২০০০ সালে বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ছিলো সাকুল্যে ৩৬ কোটি। কিন্তু মাত্র ১ যুগ না পেরোতেই তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১০ কোটিতে। মহাদেশের হিসেবে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে এশিয়ায়। এ মহাদেশে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ৯২ কোটি ২০ লাখ। দ্বিতীয় অবস্থানটি ইউরোপ-এর। এ মহাদেশে রয়েছে ৪৭ কোটি ৬০ লাখ আর তৃতীয় হিসেবে উত্তর আমেরিকায় ২৭ কোটি ১০ লাখ সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।
বাংলাদেশেও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যা কম নয় বরং অবাক হওয়ার মত।বাংলাদেশের মত অনুন্নয়নশীল গত চার বছরে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা সাতগুণ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৪ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
এ থেকেই বোঝা যায় কি ব্যাপকহারে মানুষ এসব ব্যবহার করছে আর দিনের কতটা সময় এর পিছনে ব্যয় করছে। এই ফাঁকে কিছু মানুষ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সেখানে বিভিন্ন পেজ,গ্রুপ, ওয়েব সাইট ও ব্লগ তৈরি করে নিজেদের বা অন্যান্য ভাষাভাষী মানুষের কাছে তাদের দাওয়াতী কার্য্যক্রম চালাচ্ছে অনায়াসেই। আহলে হাদীস ফেৎনা থেকে শুরু করে মাজার পুজারী, নাস্তিক-মুরতাদরা বেশ ভালভাবেই এই জায়গাগুলো দখল করেছে। বলতে গেলে নাস্তিক ও ধর্ম বিদ্বেষীদের ছাড়াছড়ি। ইন্টারনেট জগতের বর্তমান সবচেয়ে ভয়ংকর প্লাটফর্ম হচ্ছে ব্লগ ও সোস্যাল নেটওয়ার্ক। প্রথমেই জেনে নেয়া যাক ব্লগ কাকে বলে-
ব্লগ:
ব্লগ শব্দটি ইংরেজ Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ, যা এক ধরণের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি Blog শব্দটি আবার Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যে ব্লগ লেখে তাকে ব্লগার বলে।
ডিসেম্বর, ২০০৭-এর হিসেবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন টেকনোরাট্টি প্রায় এগারো কোটি বার লাখেরও বেশি ব্লগের হদিস পেয়েছে।
আর বাংলা ভাষায় প্রায় শ'খানেক সক্রীয় ব্লগ রয়েছে যেখানে একজন ব্লগার ফ্রি এ্যাকাউন্ট খুলে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল লিখছে। এমনি জনপ্রিয় কিছু ব্লগ হল: সামহোয়ারইনব্লগ, সোনার বাংলাদেশ ব্লগ, আমারব্লগ, সচলায়তন, মুক্তমনা, নবযুগ, সদালাপ, প্রথম আলো ব্লগ, বিডিনিউজ২৪ ব্লগ ইত্যাদি ইত্যাদি।
ব্লগে যা হচ্ছে:
গত কিছুদিন আগের জাতীয় দৈনিকের হেডলাইটগুলো ছিল চোখে পড়ার মতো। এই সমস্ত নাস্তিক ব্লগাররা দীর্ঘদিন ধরে ব্লগ আর ইন্টারনেটে ধর্মকে উপলক্ষ্য করে চরম ঔদ্ধতপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করে আসছে। কিন্তু তা নিতান্তই লোকচক্ষুর আড়ালে। বিগত কয়েকবছর ধরেই চলছিল তাদের এই ভয়ঙ্কর কার্যক্রম। ব্লগার রাজীবের মৃত্যুর পরই একের পর এক ব্লগারদের কুকর্মগুলো জনসম্মুক্ষে প্রকাশ হতে থাকে। গুটিকয়েক ধর্মবিদ্বেষী উগ্রপন্থীদের আসল চেহারা ফাঁস হলেও বিটিআরসিসহ প্রশাসন ছিল একদম নিরব! এই ব্লগকে ঘিরে নাস্তিকতার যে চরম মুখরতা বিরাজ করছে তা আমাদের জন্য দুঃখজনক বৈ কিছুই নয়। ৯৫% মুসলমানের দেশে মুষ্টিমেয় কিছু নাস্তিক তারা যে ইসলাম নিধনের তৎপরতা চালাচ্ছে তা আমাদের আজ অজানা নয়।
তাদের এই দুঃসাহস দেখে থমকে যেতে হয়। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ বেড়ে যায়।
তবে অবিশ্বাস্য হলে এসব কিছুই সত্যি।
প্রিয় পাঠক! ব্লগকে পুঁজি করে যারা প্রতি মুহুর্ত ইসলাম ধর্মকে হেয় প্রতিপন্ন করছে নিচে এমন কয়েকটি সাইটের পরিচয় তুলে ধরা হল।
নাস্তিকতা ও ধর্ম বিদ্বেষী সাইট বলতে প্রথমেই যার কথা বলতে হয় তা হল ধর্মকারী।
ধর্মকারী:
সাইটটির ঠিকানা হল-ধর্মকারী.নেট। আমার দেখা ইসলাম বিদ্বেষীদের এটাই সবচেয়ে জঘন্য সাইট। যেখানে বিভিন্ন ধর্মসহ ইসলামকে তাদের মূল টার্গেট বানিয়ে কুৎসিৎ জঘন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেখানে পবিত্র ইসলাম ধর্ম, মহানবী মুহাম্মদ সা., হিজাব, দাড়ি-টুপি, হাদীস-কুরআনসহ ইসলামের বিভিন্ন বিষয়গুলো নিয়ে কটাক্ষ করে কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র, ভিডিও ও বই পাওয়া যায়। শুধু ইসলাম ধর্মই নয় হিন্দু,বৌদ্ধ, খৃষ্টানসহ বাদ যায়নি কোন ধর্মই। সাইটটিতে ঢুকলে যে কোন ধর্মালম্বীদের মাথা নষ্ট হওয়ার জোগার হয়। ঈমান বিধ্বংসীমূলক এই সাইটে স্যাম বাসিলের 'ইনোসেন্স অব মুসলিম' নামক নবী সা. কে নিয়ে ব্যঙ্গ মুলক ছবিটার ভিডিওসহ মহানবী সা. ও ধর্মীয় আক্বীদা সম্পর্কে ব্যঙ্গচিত্র ও ভিডিও রয়েছে। কিছুদিন আগে মুহতারাম মনোয়ার সাহেবের নিকট সাইটটি বন্ধ করে দেওয়ার কথা শুনেছিলাম কিন্তু আজকেও সাইটটিতে ঢুকে দেখলাম সাইটটি এখনো পরিপূর্ণ বন্ধ হয়নি।
মুক্তমনা ব্লগ:
এ সাইটটি ধর্ম বিদ্বেষীদের অভয়ারণ্য বললেও ভুল হবেনা। কারণ সাইটটি শুধুমাত্র বাংলার নাস্তিক ও মুরতাদদের মিলনমেলা। সাধারণ কোন ব্লগারের এখানে লেখালেখির কোন সুযোগ নেই বললেই চলে। যারা আছেন তারা বাংলাদেশের স্বঘোষিত নাস্তিক। এখানেও প্রতিনিয়ত ইসলাম ধর্মকে নানা ভাবে কটাক্ষ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে নব উদিত হুমায়ুন আজাদ ব্লগার আসিফ আসিফ মহিউদ্দীনের মত কট্রোরপন্থী নাস্তিকরা এখানে লেখেন। এতে প্রায় পাঁচশতাধিক ব্লগার রয়েছে যারা সবাই নাস্তিকতার কালো ধোয়া সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। যেসব ই-বুক রয়েছে সেগুলোতেও কোরআন ও মহানবী সা. এর চরিত্র সম্পর্কে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ ও অশ্লীল কটুক্তিতে ভরা। এ সাইটটির ব্যাপারেও উপরওয়ালাদের কোন মাথাব্যাথা নেই।
নবযুগ ব্লগ:
সাইটটির জন্মই যেন হয়েছে ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করতে। সাইটটি হিটের দিক থেকে মুক্তমনার চেয়ে কম হলেও ধৃষ্টতার দিক থেকে মোটেই কম নয় নয় বরং বেশি। ইসলামি রীতিনীতি, দাওয়াত ও তাবলীগ, জিহাদ, নবী সা., কুরআন-হাদীস ও স্বয়ং আল্লাহ সম্পর্কে চরম উস্কানিমূলক পোস্ট রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত করেই চলেছে। কিছু পোস্টে কিংবা মন্তব্যে নোংরা গালিগালাজের চিত্রও পাওয়া যায়। ইদানিং তাদের পায়তারা খুব প্রকট আকার ধারণ করেছে। এসব পোস্ট দেখতে খুব বেশিদূর যেতে হয়না প্রথম পেজে ঢুকলেই পোস্টগুলো পাওয়া যায় যা একজন মুসলিম হিসেবে পড়তে চোখ বেয়ে পানি পরা ছাড়া আর কোন ভাষা খুঁজে পাওয়া যায়না। সাইটটিকে আপাদমস্তক একটা ধর্মবিদ্বেষী সাইট বললে মোটেই ভুল হবেনা।
সামহ্যোয়ারইন ব্লগ:
২০০৬ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ব্লগের ধারণা নিয়ে আসে সামহোয়্যারইন ব্লগ। ব্লগের মালিক বাংলাদেশের নাগরিক গুলশান আরা জানা এবং নরওয়ের নাগরিক আরিল।
বাংলা ভাষায় প্রথম ব্লগ হওয়ার সুবাদে এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এই জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে ধর্মবিদ্বেষের কাজে সাইটটি অন্য সব সাইট থেকে এগিয়ে। কাজী আবুল কালাম সিদ্দিক ভাইয়ের একটি পোস্ট থেকে জানা যায়, সাইটটি চালাতে প্রতিমাসে ৮-১০ লক্ষ্য টাকা খরচ হয় কিন্তু সাইট থেকে তাদের কোন উল্ল্যেখযোগ্য আয় নেই। এতে রয়েছে লক্ষ লক্ষ কনটেন্ট। ব্লগে নাস্তিকদের তৎপরতাও চোখে পড়ার মত। গুগল.কম.বিডি-তে নাস্তিক কিংবা এ ধরণের অন্য কোন কী ওয়ার্ড লিখে সার্চ দিলে অধিকাংশ রেজাল্ট সামহোয়্যারইন ব্লগ থেকেই দেয়। সাইটটিতে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ অনেক পোস্ট ও মন্তব্য বিদ্যমান। কিন্তু এ ব্যাপারে সামু ব্লগ মডারেটরদের কোন ভ্রক্ষেপ নেই। আরো আশ্চর্যের বিষয় সামহোয়্যারইন ব্লগের নীতিমালায় ৩ঞ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘বাংলাদেশ অথবা যে কোনো স্বীকৃত জাতি বা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস, ধর্মবিষয়ক সত্যকে অস্বীকার করে, বিরুদ্ধাচরণ করে, অসম্মান করে অথবা সত্যের অপলাপ বা অর্থহীন পোস্ট মুছে ফেলা যেতে পারে এবং ব্লগারের ব্লগিং সুবিধা সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে স্থগিত কিংবা বাতিল করা যেতে পারে।''
কিন্তু তীব্র নিন্দা ও তুমুল বিরোধিতার ঝড়ের পরেও এখনো অনেক আইডি ও পোস্ট বহাল আছে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই।
আমারব্লগ:
অন্যান্য সাইটগুলোর ন্যায় এই সাইটটিও কম যায়না। ব্লগে নির্দ্বিধায় নিজের আসল নাম কিংবা ছদ্মনামে ইসলামের ধর্মের বিরুদ্ধে লিখে চলেছে। থাবা, আরিফুর রহমান, প্রশ্নোত্তর, নাস্তিক দীপ, গরীব মানুষ, পুরো কবি, দেশি পোলা, শারফুদ্দিন,করতোয়া, রীতা রায় মিঠু, মহসিনা খাতুন এরকম আরো বিভিন্ন নামে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইসলামের উপর তারা আঘাত হানছে।
উপরোক্ত সাইটগুলো ছাড়াও সচলায়তন,নাগরিকব্লগ, নির্মানব্লগ, সদালাপ, বাংলা লিরিক সহ আরোও অনেক সাইট রয়েছে। যেখানে নাস্তিক-মুরতাদদের সরব উপস্থিতি সত্যিই অবাক করে দেয়। এছাড়া ফেসবুকে সার্চ দিলেও কিছু পেজ বা গ্রুপের সন্ধান মেলে। বাংলা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট http://bn.wordpress.com/tags/ -এ গিয়ে নাস্তিক, নাস্তিকতা, ধর্ম এ ধরনের ট্যাগগুলোতে প্রচুর পোস্ট পাওয়া।
এই হল ভার্চুয়াল জগতের অনুক্ত কিছু কথা। ইসলাম ধ্বংসের কী ভয়ংকর পায়তারা যা সাধারণ মুসলমানদের আজও কল্পনার বাহিরে। গত কয়েক বৎসর ধরেই চলছে তাদের এই খেলা। আমাদের একেবারেই অগোচরে। দিনরাত সার্বক্ষণিক হাজার হাজার পাঠক হুমড়ি খেয়ে পড়ছে তাতে। ঘুমিয়ে আছি শুধু আমরা। এ ঘুম যেন ভাঙবার নয়। সাইটগুলো ইসলাম বিরোধিতার কাজে এতটাই এগিয়ে যে এই মুহুর্তে যথাযথ প্রস্তুতি নিলেও তাদের প্রতিরোধ করতে পাঁচ-দশ বছর লেগে যেতে পারে।
এর কারণ মূলত একটাই। সাহিত্য-সংস্কৃতি, প্রযুক্তি কিংবা মিডিয়া এসবের সাথে আমাদের সম্পৃক্তি একেবারে নেই বললেই চলে। অনেকেই তো এসবকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়ে একধাপ এগিয়ে থাকতে চায়। তবুও সচেতন কিছু আলেম-ওলামা এগিয়ে চলেছে এই ময়দানে।
ওহে আহলে ইলমের ধারক বাহকরা!
প্রকট শীতের রাত্রে মধ্যরাতে লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকার আর যেন সময় নেই। এ ঘুম আমাদের জন্য নয়। উঠতে হবে, সামনে চলতে হবে, যেতে হবে বহুদুর। এখনই সময় জাগবার, অন্যকে জাগাবার।
বি. দ্র. প্রায় বছর দেড়েক আগে যখন কুলাঙ্গার ব্লগার রাজীবের কুকীর্তি ফাঁস হয় তখন মনের একান্ত গহীনে লুকিয়ে থাকা নীরব ক্ষোভ থেকে কোন এক পত্রিকায় দেয়ার জন্য লেখাটির লিখেছিলাম। লেখাটি মূলত দ্বীনের ধারক বাহক তথা আলেম সমাজকে উদ্দেশ্য করে লেখা। আজ হঠাৎ লেখাটি দেখে পুরোনো ব্যথাটা আবারও জেগে উঠল। নাস্তিকমনা গ্রুপের কেউ ব্যথা পেলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
বিষয়: বিবিধ
১৮৭৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন