“এ যেন এক বৃন্তে দুটি ফুল।। ”
লিখেছেন লিখেছেন সহিদুল ইসলাম ২৮ মার্চ, ২০১৩, ০৫:১৮:৫৯ বিকাল
“এ যেন এক বৃন্তে দুটি ফুল।। ”
মানুষ মাত্রই ভুল করবে, এটাই নিয়ম। ভুল করার পর যিনি ভুল বুঝতে পারে এবং অনুতপ্ত অনুশোচনা করেন তিনই প্রকৃত মানুষ। একজন মানুষ যখন অন্ধভাবে কোন কিছুকে বা কাউকে ভালবাসে তখন সে তার মধ্যে কোন ভুল খুজে পায় না, বরঞ্চ যদি কেউ তার ভুল ধরিয়ে দেয় উল্টো তাকে শত্রু মনে করে। এমনি একজন মানুষের মধ্যে, মাহমুদুর রহমান সাহেব আপনি একজন বললে অত্যুক্তি হবে না।
মাহমুদুর রহমান সাহেব আপনার পত্রিকায় আজকে একটি নিউজ দেখলামঃ
হাইকোর্টের আদেশের ১ বছর পর মনিটরিং সেলের কাজ শুরু : ধর্মদ্রোহী ব্লগাররা নয় টার্গেট আমার দেশ
সুত্রঃ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/03/28/193979#.UVQI8zcnzOk
এখানে আপনি বোঝাতে চেয়েছেন, আপনি একজন নিষ্পাপ লোক, সরকার শুধু শুধু আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইছে।
আপনাকে একটি হাদিসের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই, খুতবা দেয়ার সময় যদি কেউ কথা বলে সে তো অপরাধীই, যে তাকে থামতে (থামার জন্য কথা ) বলবে সেও অপরাধী। আপনি স্কাইপির কথোপথন এবং ব্লগের তথ্য পত্রিকায় প্রকাশ করে যে, কত বড় অপরাধ করেছেন তা প্রকাশ পরবর্তী দেশের বিশৃঙ্খলাই( মুসলিম নামধারী কিছু জানোয়ারের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড) বলে দেয়। আপনি আপনার অপরাধকে তো বুঝতেই পারছেনা বরঞ্চ জনগণকে আপনার পত্রিকার মাধ্যমে ভুল বার্তা দিচ্ছেন। আপনি বেশ কয়েকটি ধারায় অপরাধ করেছেন, নিন্মে আমি শুধু দুটি ধারা উল্লেখ করবঃ
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর ৫৬ ও ৫৭ ধারাঃ
৫৬৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি-
(ক)জনসাধারণের বা কোন ব্যক্তির তগতি করিবার উদ্দেশ্যে বা তগতি হইবে মর্মেজ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও এমন কোন কার্য করেন যাহার ফলে কোন কম্পিউটার রিসোর্সেরকোন তথ্য বিনাশ, বাতিল বা পরিবর্তিত হয় বা উহার মূল্য বা উপযোগিতা হ্রাসপায় বা অন্য কোনভাবে উহাকে তগতিগ্রস্ত্ম করে;
(খ) এমন কোনকম্পিউটার, সার্ভার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক সিস্টেমেঅবৈধভাবে প্রবেশ করার মাধ্যমে ইহার তগতিসাধন করেন, যাহাতে তিনি মালিক বাদখলকার নহেন;
তাহা হইলে তাহার এই কার্য হইবে একটি হ্যাকিং অপরাধ৷
(২)কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন হ্যাকিং অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দশ বত্সরকারাদণ্ডে, বা অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
৫৭৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিকবিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বাসংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলারঅবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তিক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতেপারে বা এ ধরনেরতথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷
(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দশ বত্সর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷
উপরের এই আইন ভঙ্গের কারনে কেন আপনাকে শাস্তি পেতে হবে না? কেন আপনি সরকারকে দুষারোপ করছেন? ভুল তো প্রধানমন্ত্রীও করতে পারে, বিরোধী দলীয় নেত্রীও করতে পারে অথবা যে কেও করতে পারে, সবার গঠনমূলক সমালোচনা করেন, তাহলে জাতি সেই সমালোচনা থেকে কিছু জানতে পারবে। ভুলকে শুধরে আমরা সকলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব, জাতি খুঁজে পাবে তার গন্তব্যের চরম শিখর।
দুঃখজনক হলেও চরম সত্য যে, মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রী যা বলেন আপনি (মাহমুদুর রহমান) সে কথাকে বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য যা যা করার দরকার তাই তাই করেন। আবার আপনি যা বলেন মাননীয় বিরোধী দলীয় নেত্রীও অন্ধের মত বিশাস করে তার পক্ষে বক্তব্য দিতে থাকেন।
এ যেন বিধাতার অপার মহিমায় আপনারা একে অপরের অজান্তেই এমনটি করে যাচ্ছেন। এ যেন এক বৃন্তে দুটি ফুল।
মোহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম
বিষয়: বিবিধ
১০০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন