ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগানোর কত বড় সুক্ষ চাল!
লিখেছেন লিখেছেন সহিদুল ইসলাম ১২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৮:৩৬:১৫ রাত
অনেকে বলে সাহসী কলম সৈনিক, সত্য প্রকাশে নির্ভীক। আমি বলব এটা কোন সাহসের পরিচয় নয় এটা হল দুঃসাহস। যার খেসারৎ তাকে দিতেই হবে। তার দুঃসাহস এবং অপসাংবাদিকতার সামান্য কিছু নিচে তুলে ধরছিঃ
০১। উত্তরায় আরটিসান সিরামিকস কোম্পানির (নিজ কোম্পানি) কার্যালয়ে ২০০৬ সালের ২৪ নভেম্বর রাতে পুলিশসহ জনপ্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বৈঠকে বসেন তিনি। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে বৈঠকে যোগ দেওয়া অনেক কর্মকর্তা মুখ ঢেকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াত জোটকে আবারো ক্ষমতায় বসাতেই ওই গোপন বৈঠকের ব্যবস্থা করেন মাহমুদুর। ঘটনাটি সে সময় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
০২। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা থাকার দিনগুলোতে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য বহুবার সংবাদপত্রের শিরোনামে আসেন মাহমুদুর।
০৩। বিনিয়োগ বোর্ডের চাকরিতে থাকা অবস্থায়ও মাহমুদুর বেক্সিমকো থেকে বেতন গ্রহণ করতেন।
০৪। মাহমুদুর রহমানের সাংবদিকতার কোনো অভিজ্ঞতা না থাকলেও বিভিন্ন সময়ে আমার দেশের প্রথম পাতায় বিভিন্ন মন্তব্য প্রতিবেদন (কমেন্ট্রি) লেখা শুরু করেন তিনি। সেসব লেখায় তার বিভিন্ন বক্তব্য এবং আমার দেশের সাংবাদিকতার মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন ওঠে।
০৫। গত জানুয়ারি মাসে কাবা শরীফে ‘যুদ্ধাপরীধের বিচারের বিরুদ্ধে মানবন্ধন’ শিরোনামে আমার দেশের অনলাইন সংস্করণে একটি ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রকাশের পর তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে সংবাদটি প্রত্যাহার করা হয়।
০৬। গত বছরের শেষ দিকে ব্রাসেলসভিত্তিক আইন বিশেষজ্ঞ আহমেদ জিয়াউদ্দিনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রধান নিজামুল হকের কথিত স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশ করে দৈনিক আমার দেশ। ব্যক্তিগত কথোপকথন পত্রিকায় প্রকাশ এটি কোন অপরাধ নয়?
তথ্যঃ http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article612484.bdnews
একটি-দুটি নয়, অপসাংবাদিকতার এরকম হাজার হাজার প্রমাণ আছে। অনলাইনে খুঁজলে আপনারা দেখতে পারবেন।
মাহমুদুর রহমান গ্রেফতার হবার সময় নাকি দুরাকাত নামাজ পড়তে চেয়েছিলেন। এখানেও কত বড় সুক্ষ চাল! তিনি জানেন তার গ্রেফতার পত্রিকায় আসবে এবং যখন সাধারন মানুষ শুনবে তাকে নামাজ পরতে দেওয়া হয়নি, তখন সব মানুষ তার মুক্তির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে। অথচ সুন্নতের কোন চিহ্ন তার মুখমণ্ডলে নেই। এমন চালবাজি সাইদী গ্রেফতারের সময়ও করেননি।
আমার দুঃখ হয়, কিছু আইন বিশেষজ্ঞ আছেন, তারা মাহমুদুর রহমানের এই কর্মগুলিকে বৈধতা প্রদানের জন্য মন্তব্য করেছেন যে, মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার সংবিধান ও আইনের পরিপন্থী । আমি আপনাদের মত বিশেষজ্ঞদের বলব ছখে ঠুলি পড়ে বসে না থেকে প্রকৃত সত্য মানুষের কাছে তুলে ধরুন, জনগনকে বিভ্রান্ত করবেন না।
মোহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম (সিঙ্গাপুর প্রবাসী )
(M.com _Management, N.U._BD._1998)
মেইল_
বিষয়: বিবিধ
২৬৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন