মান্না ও সালওয়া’র রহস্য উন্মোচন।
লিখেছেন লিখেছেন সহিদুল ইসলাম ১০ এপ্রিল, ২০১৩, ০৫:৪১:০২ বিকাল
মান্না ও সালওয়া’র রহস্য উন্মোচন।
ফরিদপুর থেকে লংমার্চে আসা একজন আলেম সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়ার পথে অনেক কষ্ট করে আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সঙ্গে থাকা বস্তাভর্তি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য দেখিয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বললেন, সোবহানআল্লাহ, কোথা থেকে যে এত খাবার এসেছে, যেন মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত ‘মান্না ও সালওয়া’ দান করেছেন তাঁর অকৃপণ, দয়ালু হাতে। মধ্যবয়সী সেই আলেম খাবারের বস্তা থেকে আমাকে তবারকস্বরূপ প্লাস্টিকের এক বাক্সভর্তি তেহারি দিয়ে গেলেন। সে সময় অফিসঘরে আমার এক বাল্যবন্ধু, কয়েকজন সহকর্মী এবং অন্যান্য পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন। আমাকে বিরিয়ানির বাক্স উপহার দেয়ার দৃশ্যে নিজেকে সামলাতে না পেরে এদেরই একজন চশমা খুলে চোখ মুছলেন।
আবার, একই প্রতিবেদনে বলেছেন, উইলিয়াম হান্টার তার বিখ্যাত ‘দি ইন্ডিয়ান মুসলমান’ বইতে সেই মুসলিম বিদ্রোহের পটভূমি চমত্কারভাবে বিশ্লেষণ করেছেন। বইটি লেখার আগে তিনি এসব বিদ্রোহ, বিশেষ করে উত্তর পশ্চিম সীমান্তের যুদ্ধে দু’হাজার মাইল দূরবর্তী অঞ্চলের বাঙালি মুসলমানের অংশগ্রহণ নিয়ে বিশদভাবে অনুসন্ধান করেছিলেন। হান্টার বিষয়টি এভাবে বর্ণনা করেছেন, ব্রিটিশরা এদেশে আসার আগে দীর্ঘকাল মুসলমানরা বাংলা শাসন করেছে। মুসলিমশাসিত সমৃদ্ধিশালী বাংলা ব্রিটিশ দখলের পর চরম দারিদ্র্যে পতিত হয়। ব্রিটিশরা মুসলমানদের জমিজমা হিন্দুদের প্রদান করে। মুসলমানদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করার ফলে বিশাল জনগোষ্ঠী অশিক্ষার অন্ধকারে নিপতিত হয়।
তথ্যঃ http://www.amardeshonline.com/pages/details/2013/04/10/195828#.UWTHHUqdrkY
কথাগুলি কট্টর বিএনপি সমর্থক মাহমুদুর রহমান সাহেবের। মিথ্যা কখনো চাপা থাকেনা। মাহমুদুর রহমান সাহেবের ভাষায় , শাহবাগিদের সমর্থনকারী মিডিয়া এখন হন্যে হয়ে এই অফুরান খাবার সরবরাহকারীদের পরিচয় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কেন খুজবে না? কেন আপনার মান্না ও সালওয়ার নামে মায়াকান্নার কারণ খুজবেনা? আপনাদের কুকীর্তির তথ্য যে গোয়েন্দা সংস্থার নিকট ছিল। যার কারনে আপনারা ভয়ঙ্কর কিছু ঘটাতে পারেন নি। মিডিয়াতে অপনাদের বাণিজ্যের খবর এসেছে, জনগনের কাছে আপনাদের মান্না মান্না ও সালওয়ার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে,আজকের বিভিন্ন্ পত্রিকায় আপনাদের কুকীর্তির নিউজ এসেছে, নিন্মে একটি পত্রিকার আংশিক নিউজ তুলে ধরলামঃ
হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের নামে ভয়াবহ ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কোটি কোটি টাকা দিয়ে তাদের মাঠে নামানো হয়েছে। জেলখানায় আটক যুদ্ধাপরাধী আবদুল আলীমকে হত্যাসহ ৫০ জন মাদরাসার ছাত্রকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। কোরআন শরীফে আগুন দিয়ে মাদরাসার ৫০ ছাত্রকে হত্যা এবং কোরআন শরিফ পুড়িয়ে ও মাদরাসায় আগুন দিয়ে দেশে একটা অরাজক পরিবেশ তৈরির পরিকল্পনা ছিল। বিরোধী দলের হরতাল ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গতকাল রাজধানীর কাওরান বাজারে জাতীয় শ্রমিক লীগের এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। একটি জাতীয় দৈনিকে এই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের জন্য ৮০ থেকে ৮৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। শুধুমাত্র হেফাজতে ইসলামই নিয়েছে ৪৫ কোটি টাকা। টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে আমার দেশ পত্রিকার অফিসে বসে। বাকি টাকা কে কে নিয়েছে তা-ও প্রকাশ হয়ে গেছে। আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানও ৪ কোটি টাকা নিয়েছেন। এসব তথ্য যখন প্রকাশিত হয়, তখন ‘লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায়’।
তথ্যঃ http://www.mzamin.com/details.php?nid=NTAxOTI=&ty=MA==&s=MTg=&c=MQ==
বানোয়াট সব গল্প বানিয়ে পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত ‘মান্না ও সালওয়া’ এর সাথে তুলনা করে চোখের জল ফেলে কি লাভ।
আমি বলব, আহ্ম্মেদ সফি সাহেব লংমার্চের দিন আপনাদের কুকৌশল বুঝতে পেরে আপনাদের সাথে তাল মিলায়নি। বিএনপি এবং তার অনুসারী কিছু দল হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফার প্রতি শুধু সমর্থনই নয়, মঞ্চে গিয়ে একাত্ততা ঘোষণা করলেন। আমরাও ইসলামী আইনকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু যেহেতু এটা ১০০% ইসলামী রাষ্ট্র নয় এবং কখনো ছিলও না তাই ১০০% শরীয়া আইন এখানে চালু করা সম্ভব নয়। বিশ্বের আরও অনেক মুসলিম রাষ্ট্র আছে, তারাও তো ইসলাম পালন করছে, নাকি হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা না মানলে তাদেরও ঈমান থাকবেনা। ১৩ দফার প্রতি সমর্থন দিয়ে এখন তারা বিভিন্ন টকশোতে বলছে সব দফা বাস্তবায়ন সম্ভব না। তাহলে কি দাঁড়াল, মুখে এক কথা এবং কাজে আর এক, এটা কি মোনাফেকি নয়?
মুসলিমশাসিত সমৃদ্ধিশালী বাংলা ব্রিটিশ দখলের পর চরম দারিদ্র্যে পতিত হয়। ব্রিটিশরা মুসলমানদের জমিজমা হিন্দুদের প্রদান করে। মুসলমানদের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করার ফলে বিশাল জনগোষ্ঠী অশিক্ষার অন্ধকারে নিপতিত হয়। মাহমুদুর রহ্মান সাহেবের এটি একটি সত্য কথা। আর এই চরম সত্যের জন্যই তো মউদুদীবাদী ইসলাম নামক সর্পটি আমাদের দেশের সহজ সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দিকে বার বার ফনা তুলে আসে। আমার লেখায় বার বার একটি কথাই আসে যে, বাংলার মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক শিক্ষিত, এবং সে দিন অতি নিকটে যে দিন পুরু জাতি অশিক্ষার অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসবে। বাংলার মানুষ মউদুদীবাদী ইসলাম কে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবে, শান্তির ধর্ম ইসলামে মানুষ পুরোপুরি প্রবেশ করবে।
আল্লাহ্ আমাদের সকলকে শান্তির ধর্ম ইসলামকে পূর্ণ ভাবে বুঝার তৌফিক দান করুক, আমিন।
মোহাম্মাদ সহিদুল ইসলাম (সিঙ্গাপুর প্রবাসী )
(M.com _Management, N.U._BD._1998)
মেইল_
H/P_6584027281
বিষয়: বিবিধ
১৫০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন