মুমীনের জন্য শয়তানের সর্বোচ্চ হাতিয়ার
লিখেছেন লিখেছেন মুসাফফা ১২ মার্চ, ২০১৩, ০১:০১:২৬ দুপুর
সেদিন অল্প সময়ের জন্য সফরে এলেন বিখ্যাত মেডিকেল স্কলার ও ইসলামী পন্ডিত প্রফেসর ওমর হাসান কাসুলী। তিনি আধুনিক বিশেষ শিক্ষার ইসলামায়নের একজন বাস্তব রুপায়নকারী। প্রথম সাক্ষাতেই তিনি তাঁর জন্য অপেক্ষমান সব বাংলাদেশী বন্ধুকে বললেন তোমরা কি জানো মুমীনের জন্য শয়তানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র কি? উত্তরে সবাই নিরব থাকায় তিনি নিজেই বললেন, মুমিনের জন্য শয়তানের বড় অস্ত্র হচ্ছে তার অন্তরে ভয় ধরিয়ে দেয়া। যদি শয়তানের তান্ডবে মুমীন ভয় পেয়ে যায় তবেই শয়তান তার উপর চেপে বসে। আর যদি মুমীন তার অন্তর থেকে ভয়কে ঝেরে ফেলে তবে শয়তান ঐ বান্দাকে ছেড়ে অন্য কোন বান্দাকে ভয় দেখবার জন্য খুঁজে। তিনি আরও বলেন যে, ২০০৬-৭ সালে যখন গাজা উপত্যকায় হামাস সরকার গঠন করে তখন ইসরাইল ৩ সপ্তাহ ধরে সেখানে বিমান যোগে বর্বরোচিত বোমা হামলা চালায়। এত বোমা ফেলা হয়েছিল যে সেখানকার সকল জনবসতি জনসম্পদ নির্মূলের জন্য তা যথেষ্ঠ ছিল তারপর ও হামাস সরকার ইসরাইলের কাছে নতি স্বীকার করেনি। ইসরাইল নিজেই তার একতরফা যুদ্ধ বন্ধ করে। এবার ২০১২ সালে ইসরাইল আবারও হামলা করতে গিয়ে মাত্র দুদিনেই হামাসের পাল্টা হামলার মুখে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য হয়। প্রচন্ড শক্তিধর দাপুটে ইসলাইলের মোকাবেলায় খালিদ মিশালের একটাই অস্ত্র দিল আর তা হচ্ছে ছয় ঈমান এবং প্রচন্ডতম সাহস। বাংলাদেশে বর্তমানে ইসলামে আস্থাবান জনগোষ্ঠি ইতিহাসে কঠিনতম অধ্যায় অতিক্রম করছে। ভয়কে উপেক্ষা করে নিজেদের বিলিয়ে ইতিমধ্যে তারা সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে। মিডিয়ার নেতিবাচক প্রচারণা সাহসী আর ত্যাগী মানুষের কোরবানীর রক্তে ধুয়ে মুছে গেছে। বিশ্বের মানুষের মমতা এখন এই মার খাওয়া লাশের মিছিলের দিকেই। শুধুমাত্র ঈমানও সাহস নিয়ে ময়দানের আর কয়েকটি সপ্তাহ টিকে থাকলেই শয়তান বাংলাদেশ থেকে তার মিশন গুটিয়ে অন্যত্র চলে যাবে।
বিষয়: বিবিধ
১২২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন