গল্পঃ বদনা শাহর কেরামতি !

লিখেছেন লিখেছেন মুহসিন আব্দুল্লাহ ২৩ মার্চ, ২০১৪, ০৭:৫৩:৪২ সন্ধ্যা

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষক কিংবা কর্মচারিদের মধ্যে বদনা শাহর মাজার চেনেনা এমন দুর্লভ প্রাণী সম্ভবত নাই । ক্যাম্পাসের পশ্চিম গেটের সাথে লাগোয়া বিশেষভাবে খ্যাত বদনা শাহর মাজার । সেখানে গেলেই আপনি দেখবেন শত শত বদনা ঝুলানো আছে । হরেক রকম বদনা । আপনার প্রয়োজন হলে আপনি এখান থেকে কিনতে পারেন । শুনেছি ভক্তরা মাজারে বদনা দান করেন । বদনা শাহর জীবনবৃত্তান্ত জানা না গেলেও তার কেরামতির আশায় অনেকেই লালসালুর ওপর তোহফা ঢালেন । এহেন মহান ব্যক্তির কেরামতি সম্পর্কে চমেকের সবার জানা দরকার বৈকি !

যাহোক আসল কথায় আসি । একদিন বদনা শাহর এক ভক্তের সাথে দেখা । মাজার নিয়ে কথা ওঠায় তিনি আমাকে বদনা শাহর কেরামতির এক চমকপ্রদ কাহিনী শোনালেন ।

সে অনেকদিন আগের কথা । চট্টগ্রামে একজন বুজুর্গ দরবেশ এলেন । তার নাম কেউ মুখে উচ্চারণ করতো না । পাছে আবার বেআদবি না হয়ে যায় এই ভয়ে । ফলে সাধারন মানুষ তাকে শুধু হুজুর বলেই ডাকতো । বহুদিন ধরে তিনি চট্টগ্রামে ধর্ম প্রচার করলেন । এরপর তিনি তার কিছু শিষ্যকে খুলনা অঞ্চলে পাঠালেন ধর্ম প্রচারের জন্য । শিষ্যরা নৌকায় রওয়ানা হলেন । কয়েকদিন পরে তারা খুলনায় পৌছলেন । তখনো ওই অঞ্চলে খুব বেশি বসতি ছিল না । সুন্দরবনের বাঘসহ অন্যান্য প্রাণীগুলো নির্বিঘ্নে ঘোরাফেরা করতো । হুজুরের শিষ্যরা ফাঁকা জায়গা দেখে তাঁবু খাটালেন । ভ্রমনের ক্লান্তিতে সবাই বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলেন । শেষ রাতে হঠাত্‍ বাঘের চিত্‍কারে ঘুম ভেঙ্গে গেল তাদের । তাঁবুর সামনেই চলে এসেছে বাঘ । এখন কী হবে ? সবাই প্রাণভয়ে আল্লাহর নাম জপতে লাগলো । এমন সময়ে হঠাত্‍ একটা আর্তচিত্‍কার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো বাঘ । সাহস করে বাইরে এসে শিষ্যরা তো হতবাক । একি ! হুজুরের বদনা এখানে ! হুজুরের বদনার আঘাতেই প্রাণ হারিয়েছে বাঘটা !

হুজুর ওইসময় চট্টগ্রামে বদনা হাতে ওজু করছিলেন । এমন সময় তিনি বুঝতে পারলেন যে তার শিষ্যরা বিপদগ্রস্ত । তখন তিনি তার হাতের বদনা ছুড়ে মারেন । সেই বদনার আঘাতে মারা যায় বাঘ ! আর বিপদ মুক্ত হন শিষ্যরা । শিষ্যরা পরে বদনাটি নিয়ে ফিরে আসেন ।

এই হলো বদনা শাহর কেরামতি !

পাদটীকা : এধরনের কাহিনী ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক । দয়া করে কেউ এসবে বিশ্বাস করবেন না ।

বিষয়: সাহিত্য

৩২২৬ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

196724
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ০৮:২৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই বদনা শাহ এর মাজা ঘিরে দৈনিক লাখখানেক টাকার বদনা এবং অন্যান্য জিনিস এর ব্যবসা হয়। সবচেয়ে মজার ব্যাপারটি হচ্ছে এখানের ব্যবসায়িদের মুলধন খরচ একবারই। কারন মাজারে দেয়া সামগ্রিগুলিই আবার দোকানে ফিরে আসে। এখানে আদেী কারো কবর আছে কিনা সেটাই প্রশ্ন সাপেক্ষ। যতটুক শুনছি পাকিস্তানআমলে প্রবর্তক সংঘের আশ্রমটা ছাড়া মেডিকেল কলেজ ও পাঁচলাইশ এর পুরা এলাকাটাই ছিল জঙ্গল।
২০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪০
171213
মুহসিন আব্দুল্লাহ লিখেছেন : হুম ।
196802
২৩ মার্চ ২০১৪ রাত ১০:৩২
ফেরারী মন লিখেছেন : Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Rolling on the Floor Big Grin Big Grin Big Grin ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪০
171214
মুহসিন আব্দুল্লাহ লিখেছেন : ধন্যবাদ ।
222956
১৮ মে ২০১৪ দুপুর ০১:১৪
অজানা পথিক লিখেছেন : হায়রে বদনার কারামতি!
২০ মে ২০১৪ রাত ০৮:৪০
171215
মুহসিন আব্দুল্লাহ লিখেছেন : হে হে

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File