ধর্মনিরপেক্ষতার দলিল ব্যবচ্ছেদ
লিখেছেন লিখেছেন মুহসিন আব্দুল্লাহ ১২ মে, ২০১৩, ০৪:৪০:০৮ বিকাল
ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ইসলাম বিদ্বেষীদের কুরআনের জ্ঞান কতটুকু ? তারা কুরআন শরীফ থেকে একটি আয়াত জানে । সেটি হলো সুরা কাফিরুনের আয়াত – ‘লাকুম দ্বীনুকুম অয়ালিয়া দ্বীন’ ।
তারা কথায় কথায় এই আয়াতের উদ্ধৃতি দেয় । এটা নাকি ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষে দলিল ! আমরা দেখি তাফসীরে ঐ আয়াতের কী ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে ।
সুরা কাফিরুনের প্রেক্ষাপটঃ
মক্কায় এমন এক যুগ ছিল যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইসলামী দাওয়াতের বিরুদ্ধে কুরাইশদের মুশরিক সমাজে প্রচণ্ড বিরোধিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু রসূলুল্লাহ (সা) কে কোন না কোন প্রকার আপোস করতে উদ্বুদ্ধ করা যাবে বলে কুরাইশ সরদাররা মনে করতো। এ ব্যাপারে তারা তখনো নিরাশ হয়নি। এ জন্য তারা মাঝে মধ্যে তাঁর কাছে আপোষের ফরমূলা নিয়ে হাযির হতো। তিনি তার মধ্য থেকে কোন একটি প্রস্তাব মেনে নিলেই তাঁর ও তাদের মধ্যকার ঝগড়া মিটে যাবে বলে তারা মনে করতো । হাদীসে এ সম্পর্কে বিভিন্ন ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেছেন , কুরাইশরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললো : আমরা আপনাকে এত বেশী পরিমাণ ধন- সম্পদ দেবো যার ফলে আপনি মক্কার সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি হয়ে যাবেন। যে মেয়েটিকে আপনি পছন্দ করবেন তার সাথে আপনার বিয়ে দিয়ে দেবো। আমরা আপনার পিছনে চলতে প্রস্তুত । আপনি শুধু আমাদের একটি কথা মেনে নেবেন --- আমাদের উপাস্যদের নিন্দা করা থেকে বিরত থাকবেন। এ প্রস্তাবটি আপনার পছন্দ না হলে আমরা আর একটি প্রস্তাব পেশ করছি। এ প্রস্তাবে আপনার লাভ এবং আমাদেরও লাভ। রসূলুল্লাহ (সা) জিজ্ঞেস করেন , সেটি কি ? এক বছর আপনি আমাদের উপাস্যদের ইবাদাত করবেন এবং আমরাও এক বছর আপনার উপাস্যদের ইবাদাত করবো। রসূলুল্লাহ (সা) বলেন , থামো ! আমি দেখি আমার রবের পক্ষ থেকে কি হুকুম আসে। * এর ফলে অহী নাযিল হয় :
“ ওদের বলে দাও , হে মূর্খের দল ! তোমরা কি আমাকে বলছো , আল্লাহ ছাড়া আমি আর কারো ইবাদাত করবো ? ” ইবনে আব্বাসের (রা) অন্য একটি রেওয়ায়াতে বলা হয়েছে , কুরাইশরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললো :“ হে মুহাম্মাদ ! যদি তুমি আমাদের উপাস্য মুর্তিগুলোকে চুম্বন করো তাহলে আমরা তোমার মাবুদের ইবাদাত করবো। ” একথায় এই সূরাটি নাযিল হয়। ( আবদ ইবনে হুমাইদ )
এর মানে এই যে , রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ প্রস্তাবটিকে কোন পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য তো দূরের কথা প্রণিধানযোগ্য মনে করেছিলেন । এবং ( নাউযুবিল্লাহ ) কাফেরদেরকে এ আশায় এ জবাব দিয়েছিলেন যে , হয়তো আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি গৃহীত হয়ে যাবে । বরং একথাটি আসলে ঠিক এমন পর্যায়ের ছিল যেমন কোন অধীনস্থ অফিসারের সামনে কোন অবাস্তব দাবী পেশ করা হয় এবং তিনি জানেন সরকারের পক্ষে এ ধরনের দাবী গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কিন্তু এ সত্ত্বেও তিনি নিজে স্পষ্ট ভাষায় অস্বীকার করার পরিবর্তে দাবী পেশকরীদেরকে বলেন , আমি আপনাদের আবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি , সেখান থেকে যা কিছু জবাব আসবে তা আপনাদের জানিয়ে দেবো। এর ফলে যে প্রতিক্রিয়াটি হয় সেটা হচ্ছে এই যে , অধীনস্থ অফিসার নিজে অস্বীকার করলে লোকেরা বরাবর পীড়াপীড়ি করতে ও চাপ দিতেই থাকবে , কিন্তু যদি তিনি জানিয়ে দেন , ওপর থেকে কর্তৃপক্ষের যে জবাব এসেছে তা তোমাদের দাবীর বিরোধী তাহলে লোকেরা হতাশ হয়ে পড়বে।
আবুল বখতরীর আযাদকৃত গোলাম সাঈদ ইবনে মীনা রেওয়ায়াত করেন , অলীদ ইবনে মুগীরাহ , আস ইবনে ওয়ায়েল , আসওয়াদ ইবনুল মুত্তালিব ও উমাইয়া ইবনে খালফ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে সাক্ষাত করে বলে : “ হে মুহাম্মাদ ! এসো আমরা তোমার মাবুদের ইবাদাত করি এবং তুমি আমাদের মাবুদদের ইবাদাত করো। আর আমাদের সমস্ত কাজে আমরা তোমাকে শরীক করে নিই। তুমি যা এনেছো তা যদি আমাদের কাছে যা আছে তার চেয়ে ভালো হয় তাহলে আমরা তোমার সাথে তাতে শরীক হবো এবং তার মধ্য থেকে নিজেদের অংশ নিয়ে নেবো। আর আমাদের কাছে যা আছে তা যদি তোমার কাছে যা আছে তার চাইতে ভালো হয় , তাহলে তুমি আমাদের সাথে তাতে শরীক হবে এবং তা থেকে নিজের অংশ নেবে। ” একথায় মহান আল্লাহ এ আল কাফেরুন সূরাটি নাযিল করেন। ( ইবনে জারীর ও ইবনে আবী হাতেম । ইবনে হিশামও সীরাতে এ ঘটনাটি উদ্ধৃত করেছেন। )
ওহাব ইবনে মুনাব্বাহ রেওয়ায়াত করেন , কুরাইশরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলে , যদি আপনি পছন্দ করেন তাহলে এই বছর আমরা আপনার দীনে প্রবেশ করবো এবং এক বছর আপনি আমাদের দীনে প্রবেশ করবেন। ( আবদ ইবনে হুমাইদ ও ইবনে আবী হাতেম ।)
এসব রেওয়ায়াত থেকে জানা যায় , একবার একই মজলিসে নয় বরং বহুবার বহু মজলিসে কুরাইশরা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে এ প্রস্তাব পেশ করেছিল। এ কারণে একবার সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন জবাব দিয়ে তাদের এ আশাকে চিরতরে নির্মূল করে দেয়ার প্রয়োজন ছিল। কিছু দাও আর কিছু নাও -- এ নীতির ভিত্তিতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে দীনের ব্যাপরে তাদের কোন চুক্তি ও আপোশ করবেন না , একথা তাদেরকে জানিয়ে দেয়া একান্ত জরুরী ছিল।
প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণঃ
সূরাটি উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে বিশ্লেষণ করলে জানা যাবে , আসলে ধর্মীয় উদারতার উপদেশ দেবার জন্য সূরটি নাযিল হয়নি। যেমন আজকাল কেউ কেউ মনে করে থাকেন । বরং কাফেরদের ধর্ম , পূজা অনুষ্ঠান ও তাদের উপাস্যদের থেকে পুরোপুরি দায়িত্ব মুক্তি এবং তার প্রতি অনীহা , অসন্তুষ্টি ও সম্পর্কহীনতার ঘোষনা দেয়া আর এই সাথে কুফরী ধর্ম ও দীন ইসলাম পরস্পর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং তাদের উভয়ের মিলে যাবার কোন সম্ভাবনাই নেই একথা ঘোষণা করে দেয়ার জন্যই এ সূরাটি নাযিল হয়েছিল। যদিও শুরুতে একথাটি কুরাইশ বংশীয় কাফেরদেরকে সম্বোধন করে তাদের আপোষ ফরমূলার জবাবে বলা হয়েছিল কিন্তু এটি কেবল এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং একথাগুলোকে কুরআনের অন্তর্ভূক্ত করে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে কিয়ামত পর্যন্ত এ শিক্ষা দেয়া হয়েছে, যে কুফরী ধর্ম দুনিয়ার যেখানেই যে আকৃতিতে আছে তার সাথে সম্পর্কহীনতা ও দায়িত্ব মুক্তির ঘোষণা তাদের কথা ও কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করা উচিত। কোন প্রকার দ্বিধা - দ্বন্দ্ব ছাড়াই তাদের একথা জানিয়ে দেয়া উচিত যে ,দীনের ব্যাপারে তারা কাফেরদের সাথে কোন প্রকার আপোস বা উদারনীতির আশ্রয় গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয় । এ কারণেই যাদের কথার জবাবে এ সূরাটি নাযিল হয়েছিল তারা মরে শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এটি পঠিত হতে থেকেছে। যারা এর নাযিলের সময় কাফের ও মুশরিক ছিল তারা মুসলমান হয়ে যাওয়ার পরও এটি পড়তে থেকেছে। আবার তাদের দুনিয়ার বুক থেকে বিদায় নেবার শত শত বছর পর আজো মুসলমানরা এটি পড়ে চলেছে। কারণ কুফরী ও কাফেরের কার্যকলাপ থেকে সম্পর্কহীনতা ও অসন্তুষ্টি ঈমানের চিরন্তন দাবী ও চাহিদা ।
ঐ আয়াতের ব্যাখ্যাঃ
‘তোমাদের দীন তোমাদের জন্য এবং আমার দীন আমার জন্য ৷’
অর্থাৎ আমার দীন আলাদা এবং তোমাদের দীন আলাদা । আমি তোমাদের মাবুদদের পূজা - উপাসনা - বন্দেগী করি না এবং তোমরা ও আমার মাবুদের পূজা - উপাসনা করো না। আমি তোমাদের মাবুদদের বন্দেগী করতে পারি না এবং তোমরা আমার মাবুদের বন্দেগী করতে প্রস্তুত নও। তাই আমার ও তোমার পথ কখনো এক হতে পারে না। এটা কাফেরদের প্রতি উদারনীতি নয় বরং তারা কাফের থাকা অবস্থায় চিরকালের জন্য তাদের ব্যাপারে দায়মুক্তি , সম্পর্কহীনতা ও অসন্তোষের ঘোষণাবাণী । আর আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি যারা ঈমান এনেছে তারা দীনের ব্যাপারে কখনো তাদের সাথে সমঝোতা করবে না ------ এ ব্যাপারে তাদেরকে সর্বশেষ ও চূড়ান্তভাবে নিরাশ করে দেয়াই এর উদ্দেশ্য। এ সূরার পরে নাযিল হওয়া কয়েকটি মক্কী সূরাতে পর পর এ দায়মুক্তি , সম্পর্কহীনতা ও অসন্তোষ প্রকাশের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সূরা ইউনুসে বলা হয়েছে : " এরা যদি তোমাকে মিথ্যা বলে তাহলে বলে দাও , আমার কাজ আমার জন্য এবং তোমাদের কাজ তোমাদের জন্য । আমি যা কিছু করি তার দায় - দায়িত্ব থেকে তোমরা মুক্ত। " ( ৪১ আয়াত ) এ সূরাতেই তারপর সামনের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলা হয়েছে। : " হে নবী ! বলে দাও , হে লোকেরা , যদি তোমরা আমার দীনের ব্যাপারে ( এখানে ) কোন রকম সন্দেহের মধ্যে থাকো তাহলে ( শুনে রাখো) , আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের বন্দেগী করছো আমি তাদের বন্দেগী করি না বরং আমি শুধুমাত্র সেই আল্লাহর বন্দেগী করি যার কর্তৃত্বাধীনে রয়েছে তোমাদের মৃত্যু। " ( ১০৪ আয়াত ) সূরা আশ শু'আরায় বরেছেন : " হে নবী ! যদি এরা এখন তোমার কথা না মানে তাহলে বলে দাও , তোমরা যা কিছু করছো তা থেকে আমি দায়মুক্ত।" (২১৬ আয়াত ) সূরা সাবায় বলেছেন : এদেরকে বলো , আমাদের ত্রুটির জন্য তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে না এবং তোমরা যা কিছু করে যাচ্ছো সে জন্য আমাদের জবাবদিহি করতে হবে না। বলো , আমাদের রব একই সময় আমাদের ও তোমাদের একত্র করবেন এবং আমাদের মধ্যে ঠিকমতো ফায়সালা করবেন।" ( ২৫-২৬ আয়াত ) সূরা যুমার - এ বলেছেন : " এদেরকে বলো , হে আমার জাতির লোকেরা ! তোমরা নিজেদের জায়গায় কাজ করে যাও। আমি আমার কাজ করে যেতে থাকবো । শীঘ্রই তোমরা জানতে পারবে কার ওপর আসছে লাঞ্ছনাকর আযাব এবং কে এমন শাস্তি লাভ করছে যা অটল। " (৩৯-৪০ আয়াত ) আবার মদীনা তাইয়েবার সমস্ত মুসলমানকে ও এই একই শিক্ষা দেয়া হয় । তাদেরকে বলা হয় : তোমাদের জন্য ইবরাহীম ও তার সাথীদের মধ্যে রয়েছে একটি ভালো আদর্শ । ( সেটি হচ্ছে তারা নিজেদের জাতিকে পরিষ্কার বলে দিয়েছে , আমরা তোমাদের থেকে ও তোমরা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যে সব মাবুদদের পূজা করো তাদের থেকে পুরোপুরি সম্পর্কহীন । আমরা তোমাদের কুফরী করি ও অস্বীকৃতি জানাই এবং যতক্ষণ তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনো ততক্ষণ আমাদের ও তোমাদের মধ্যে চিরকালীন শক্রতা সৃষ্টি হয়ে গেছে । " (আল মুমতাহিনা ৪ আয়াত )
কুরআন মজীদের একের পর এক এসব সুস্পষ্ট বক্তব্যের পর তোমরা তোমাদের ধর্ম মেনে চলো এবং আমাকে আমার ধর্ম মেনে চলতে দাও -"লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন "- এর এ ধরনের কোন অর্থের অবকাশই থাকে না । বরং সূরা যুমার - এ যে কথা বলা হয়েছে , একে ঠিক সেই পর্যায়ে রাখা যায় যেখানে বলা হয়েছে : "হে নবী ! এদেরকে বলে দাও , আমি তো আমার দীনকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে তাঁরই ইবাদাত করবো , তোমরা তাঁকে বাদ দিয়ে যার যার বন্দেগী করতে চাও করতে থাক না কেন ।" ( ১৪ আয়াত )
( তাফহীমুল কুরআন, সুরা কাফিরুনের তাফসির থেকে । )
মা’রেফুল কুরআনে ‘লাকুম দ্বীনুকুম অয়ালিয়া দ্বীন’ এর তাফসীরে বলা হয়েছে – ‘এর অর্থ এই নয় যে , কুফর করার অনুমতি বা কুফরে বহাল থাকার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে বরং এর সারমর্ম হলো ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ । ( মা’রেফুল কুরআন , অষ্টম খন্ড , পৃ- ৮৮২ )
তাফসীরে ইবনে কাসীরে বলা হয়েছে – ‘এই মুবারক সুরায় আল্লাহ তায়ালা মুশরিকদের আমলের প্রতি তাঁর অসন্তুষ্টির কথা ঘোষণা করেছেন এবং একনিষ্ঠভাবে তারই ইবাদাত করার নির্দেশ দিয়েছেন’ । ( তাফসীরে ইবনে কাসীর, ১৮ খন্ড, পৃ-৩০১ )
আমরা কার ব্যাখ্যা গ্রহণ করবো ? আলেমদের করা তাফসীরের নাকি ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী মুর্খদের ? এরপরেও যদি কেউ এই আয়াতকে ধর্মনিরপেক্ষতার দলিল হিসেবে তুলে ধরতে আসে , তাহলে তার জন্য আফসোস করা ছাড়া আর কী করার থাকবে ?
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন