জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন
লিখেছেন লিখেছেন অপ্টিমিস্ট রোকন ৩০ জুন, ২০১৩, ০৪:৩৮:৫০ বিকাল
কোন রকম দ্বীধা ছাড়াই একখান সত্য কথা কইবার চাইতেছি। কথাখান যদিও আমার বর্তমান মিত্রের বিপক্ষে যাইতেছে, এবং আমার পাঠককূলের একটা বিরাট অংশ আমার কথার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করার যথেষ্ট আশঙ্কা আছে, তবু কথাখান যেহেতু সত্য এবং যেহেতু সত্য প্রকাশে ভয়-শঙ্কা ঝাইড়া ফেলাই উত্তম, সেহেতু কথাখান না কইয়া থাকবার পারলাম না।
খালেদা জিয়া ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসের ৩০ তারিখ দি ওয়াশিংটন টাইমসে একটা নিবন্ধ লিখেছেন। গতকাল সংসদে ঐ লেখা নিয়া তুমুল বিতর্ক উঠলে আজ নেট ঘাইটা লেখাটা বাইর করলাম। আমি চাষা-ভূষা মানুষ, ইংরেজি কম বুঝি, তবু যতটুকু বুঝসি তাতে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে বাধ্য হইসি। যাই হোক, আমি তার পুরো লেখাটার মধ্যে চারখান বানী এইখানে তুইলা ধরতেছি।
বানী-১: The United States and its allies, such as Great Britain, have the influence to insist that a caretaker government is instituted so the views of the voters are respected. To ensure this, their words and actions must be much stronger, to keep Bangladesh from slipping away from democracy.
বানী-২: They also must explain to Ms. Hasina that general preferences for trade will be withdrawn if those who support workers’ rights and have political views opposed to those of the prime minister are not now allowed to express their beliefs.
বানী-৩: The Western powers should consider targeted travel and other sanctions against those in the regime who undermine democracy, freedom of speech and human rights. They should say and do these things publicly, for all our citizens to see and hear. This is how the United States can ensure that its mission to democratize the world continues.
বানী-৪: It is time for the world, led by America, to act and ensure that democracy is saved in Bangladesh.
হুবহু অনুবাদ করার সময় ও যোগ্যতা কোনটাই নাই আমার। তাই উপরের বানী চারখানের মোদ্দাকথাগুলো আমার ভাষায কইতেছি। প্রথম বানীতে খালেদা কইতে চাইতেছেন, বাংলাদেশে তত্বাবধায়ক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য আম্রিকা ও বৃটেনের উচিৎ হইবো ইনসিস্ট করা। ইনসিস্টের সোজা বাংলা বোধ হয় জোরাজুরি করা, জিদ করা, বাধ্য করা ইত্যাদি। দ্বিতীয় বানীতে তিনি বলসেন, আম্রিকা ও বৃটেনের উচিৎ হইবো হাসিনারে বলা যে তুমি যদি তোমার মতের বিরোধীদের কথা বলতে না দাও, তাইলে তোমরা ব্যবসা-বানিজ্যে যে সুবিধাগুলো পাও সেইগুলা হারাইবা। তৃতীয় বাণীতে বলা হইসে, পশ্চিমাগো উচিৎ হইবো যারা গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে আন্ডারমাইন (এর বাংলা করতে পারলাম না, স্যরি) করে, তাদের ওখানে টারগেটেড ট্রাভেল (এটাতে তিনি কী বুঝাইতে চাইসেন আল্লাহই জানেন) এবং অন্যান্য স্যাংকশন (স্যাংকশনের মানে কী হইতারে বুইঝা লন) এর ব্যাপারে বিবেচনা করা। এবং এই বলা ও করাটা হইতে হইবো পাবলিকলি যাতে সবাই ব্যাপারটা দেখতেও পায়, শুনতেও পায়। চতুর্থ বাণীতে খালেদা কইসেন বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আম্রিকার নেতৃত্বাধীন বিশ্বকে কাজ করতে হইবো এক্ষুনি।
এখন জাতির বিবেকের কাছে অপ্টিমিস্ট রোকনের প্রশ্ন হইলো, একটি দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার নিজ দেশে হস্তক্ষেপের জন্য এবং নিজ দেশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অন্য একটি দেশের কাছে এরকম নতজানু ভাষায় ধর্ণা দেয়াটা কতটা সম্মানজনক হইসে?
বিষয়: বিবিধ
১৬০৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন