কোন দিকে যাচ্ছে দেশ

লিখেছেন লিখেছেন ঝরাপাতা ১৭ মার্চ, ২০১৩, ০৬:৫০:২৩ সন্ধ্যা

প্রখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন হযরত মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ফাঁসির রায় পরবর্তী বিভিন্ন সংহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় দেড় শতাধিক লোকের জীবন গেল পুলিশের গুলিতে। মৃত্যূর এ মিছিল আরো দীর্ঘ হতে পারে বলে পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে। বাচ্চু রাজাকার ও জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার রায়ের পর জামায়াত শিরিব নেতা কর্মী ও সাধারন জনগণকে এতোটা ফাঁসিয়ে তোলেনি। কিন্তু মাওলানা সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর জামায়াত শিবিরের সাথে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমান কেন এতো বিক্ষোভে ফেটে উঠল? জামায়াত শিবির তো আরো আগ থেকে বলেই আসছিল সাঈদীর রায় বিপক্ষে গেলে তারা জীবন দিবে। দেশ অঁচল করে দিবে। কঠোর কঠোর সব আন্দোলন দিবে। সরকারের পতন ঘটাবে। আমার জানা মতে অনেক জামায়াত শিবির নেতা কর্মী ও সাধারন মানুষ আছেন যারা জামায়াতের অন্য সকল নেতার রায়ের ফলাফলে ততোটা মাথা ঘামান না। তবে সাঈদীর বেলায় সাধারন মানুষের বিশেষ দূর্বলতা আছে যা সকলের কাছেই সহজে অনুমেয়। তাই তো সাঈদীর রায়ের পর সবচেয়ে বেশি আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে এবং আরো হবে। অনেক সাধারন মানুষ আছেন যারা সাঈদীর ইসলাম প্রচারে অনন্য ভুমিকা পালন করায় তার একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে গেছেন। ফলশ্রুতিতে অন্য সকল নেতাদের তুলনায় সাঈদীর রায়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে দেশের সর্বত্র। দেশের অধিকাংশ মহিলা আছেন যারা মাওলানা সাঈদীর তাফসির শুনে ভক্ত হয়ে গেছেন। তাই আজ মহিলারাও সাঈদীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। নফল রোজা রাখছেন তার জন্য। অজোরে চোখের পানি ফেলছেন নামাজের বিছানায়। সন্তানদেরকে বিক্ষোভে পাঠাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুকে দেখলাম এক সাঈদীভক্ত লিখেছেন- æআল্লামা সাঈদীকে বাঁচাতে আমি শহীদ হতে প্রস্তুত। অামি এখন বাড়ি থেকে অনেক দুরে অবস্থান করছি সাঈদীর ফাঁসির রায় বাতিলের আন্দোলনে। এ আন্দোলনে যদি আমি শহীদ হই তবে আমার লাশটা আমার পরিবারের কাছে পৌছে দিও। পাশে দেয়া আছে পরিবারের মোবিইল নাম্বার।” একটি ব্লগে দেখলাম একজন লিখেছে তার মাকে উদ্দেশ্য করে- æআমি অল্লামা সঈদীকে বাঁচাতে বিগত কয়েকদির যাবত আমি বাড়র বাইরে । বাড়ি থেকে অনেক দুরে। প্রতিদিনই মা আমাকে ফোন করে। জানতে চান আমি কেমন আছি। ফোন করেই বাড়ি আসতে বলে। মা আমার কেন বলেনা বাবা তোকে আমি ইসলামের জন্য পাঠেয়েছি । তোকে শহীদদের কাতারে দেখতে চাই। মাকে উদ্দেশ্য করে তার জানতে চাওয়া- সহ আরো কতো কুরুন লেখা ফেসবুকে ও ব্লগে।”

যুদ্ধাপরাধী তথা মানবতা বিরোধীদের বিচার এ দেশের সকল সচেতন ও দেশ প্রেমিক নাগরিকই চায়। তবে তা হতে হবে স্বচ্চ ও আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত পন্থায়। হতে হবে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার। প্রহসনের বিচার কেহই চায় না। কিন্তু সরকার বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন কৌশলে যেবাবে জামায়াত নেতাদের গণহারে বিচার করছে তা কোন সভ্য দেশে কল্পনা করা যায় না। সরকার প্রধানসহ মন্ত্রী এমপিরা যেভাবে মহান আদালতের উপর প্রভাব বিস্তার অশুভ চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন, শাহবাগ চত্তরে যেভাবে আদালতের উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করেছিল, ফাঁসির রাময় আগে থেকেই বলা দেয়া হয়েছিল। তাতে কি রায়ের ফলাফল প্রভাবিত হয় নি। সাঈদীর রায়ের পর মহান আদালদে দাঁড়িয়ে এ দেশের শীর্ষ পর্যায়ের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কুত্তার বাচ্চা বলে যে খারাপ ভাষায় গালি দিলেন সাঈদীকে । সভ্য সমাজে তা সত্যিই শংকিত করে তোলে আমাদের মতো তরুনদের। আমরা কার কাছ থেকে শিক্ষা দীক্ষা নেব?

বিরোধী দলের অবস্থান যে স্থানেই থাকুক না কেন তারা দেশের বেশির ভাগ সময়ই ক্ষমতায় ছিলেন। বর্তমানে েপ্রায় চৌত্রিশ শতাংশ ভোটের প্রতিনিধিত্ব করছে দলটি। তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যতো গুলো আসনে যতো বার প্রার্থী হয়েছেন সবকটিতেই নির্বাচিত হয়েছেন। বিরোধী দল হিসেবে তাদের আন্দোলন করার অধিকার সংবিধান তাদের দিয়েছে। কিন্তু গত চারটি বছর তাদের কোন ভাবেই রাজপথে দাঁড়াতে দেয় নি সরকার। সংসদে গেলেও নানান ভাবে তাদের ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে। হামলা মামলা দিয়ে তাদের কোনঠাসা করে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন আগে তাদের প্রথম সারির দুই শতাধিক নেতার নামে মামলা দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রিয় অফিস তল্লাসি নাটক মন্থস্ত করেছে পুলিশ। দুই শতাধিক নেতাকে জেলে নেয়া হয়েছে। স্বভাবতই সরকারের শেষ বছরে এসে তারা জ্বলে উঠতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। অন্য দিকে জামায়াত শিবির কে তো বলতে গেলে নিষিদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাদের প্রায় লক্ষাধিক নেতা কর্মীকে জেলে নেয়া হয়েছে।

জামায়াত শিবির কে নিষিদ্ধ করলেই কি সমস্যা চুকে যাবে? আমার কাছে তা মনে হয় না। জামায়াত দেশের প্রতিটি নির্বাচনে মহান জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছে । বর্তমান সংসদেও তাদের দুইজন সাংসদ রয়েছে। বর্তমান সরকার মূলত তাদের প্রকাশ্য হতে না দিয়ে আন্ডার গ্রাউন্ডে ঠেলে দিয়েছে। তাদের দলীয় কায্যালয় গত চার বছর ধরে বন্ধ করে রেখেছে সরকার। শিবিরকে রাজনীতি শিখিয়েছে সরকার আওয়ামীলীগ। তাদের দেখানো পথেই চলছে জামায়াত শিবির। জামায়াত শিবির কি সরকারের শুরু থেকেই এমন হিংস্র ছিল? কিন্তু সরকারের দমন পীড়ন সইতে সইতে তারা বাধ্য হয়েছে হিংস্র হতে। গতো চার বছর ধরে প্রতিটি জামায়াত শিবির কর্মী নিজ বাড়িতে ঘুমাতে পারেন নি। খেতে পারেন নি। পরীক্ষা দিতে পারেন নি। ক্যাম্পাসে উঠতে পারেন নি ছাত্রলীগের তান্ডবে। কিন্তু তাদের দোষ কোথায়? তারা তো দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক শক্তি। তাদের কি রাজনীতি করার অধিকার নেই?যে সব নেতা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিতর্কিত ভূমিকা রেখেছিল তাদের স্বচ্চ বিচার করলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।

মনে হয় সরকার এ ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। জাতিকে স্থায়ী বাবে বিভক্ত রাখতে চায়। তা না হলে বাপের দোষে সন্তানকে দোষী দোষী করার মতো জামায়াত কে নিয়ে কেন উঠে পড়ে লেগেছে সরকার। জামায়াত শিবিরের রাজনৈতিক বৈধতা আছে বলেই তো তারা রাজনীতি করছে। এ দেশের ছাত্র জনতা কে তারা তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও কৌশল দিয়ে দলে টানছে। আদর্শ দিয়ে কর্মী সৃষ্টি করছে তারা। সরকার বা অন্যান্য দল জামায়াত শিবিরকে মোকাবেলা করুক। মাথার উপর যুদ্ধাপরাধ বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখে কেন বর্তমান প্রজন্মকে সংঘাত ও বিভক্তির দিকে ঠেলে দেয়া হবে জাতিকে। জামায়াত শিবিরের রাজনীতি করে তরা কেন শাস্তি পাবে?

আই শৃঙ্খলার ঘেরাটেপে শাহবাগে ফাঁসি চাই শ্লোগানের বিপরীতে জামায়াত শিবিরসহ বিএনপিকেও সমান সুযোগ দেয়া হোক। দেখা যায় গণ রায় কার পক্ষে যায়। উন্মুক্ত ময়দানে করা জেতে। সরকার সবচেয়ে বেশি ভুল করবে জামায়াত শিবিরকে নিষিদ্ধ করে। তারা যদি একরার আন্ডাগ্রাউন্ডে চলে যায় তাহলে দেশের ভবিষ্যত অন্ধকার ছাড়া অালোকিত হবে না। কেননা জামায়াত শিবিরের সমর্থক বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। বিপুল এ জনগোষ্ঠীকে জন বিচ্ছিন্ন করে আর যাই হোক সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ গড়া সম্ভব হবে না।

বর্তমান বিশ্ব দিন দিন সভ্য ও উন্নত হচ্ছে। যাচ্ছে উন্নতির শিখরে। রাজেনৈতিক সহাবস্থানের দিকে। পক্ষান্তরে আমরা যাচ্ছি তার উল্টো পথে। জাতিকে বিভক্ত করার উন্মদনায় মেতেছি আমরা। বিভিন্ন দেশে দেখা যায় যারা বা যে সব গোষ্ঠী আন্ডার গ্রাউন্ডে চলে যায বা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতো তাদেরকে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রধানরা কতো কৌশল প্রয়োগ করতেন। আর আমরা চাচ্ছি একটি মূলধারার দলকে জন বিচ্ছিন্ন করে দিতে। কি সব উদ্ভুদ নীতি আমাদের। স্বাধীনতার স্বপক্ষ বিপক্ষ ধোয়া তুলে জাতিকে স্থায়ী ভাবে বিভকত করার পাঁয়তারা করছি। আমরা সবাই কি স্বাধীনতার প্রশ্নে এক পক্ষ হতে পারি না? দল আলাদা আলাদা থাকুক কিন্তু দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আমরা এক দল। সবাই স্বাধীনতার স্বপক্ষের। একটি কুচক্রি মহল দেশের ভালো চায় না বলে জাতিকে এভাবে আজীবন বিভক্ত করে রাখতে চায়। এতে সংঘাত ছাড়া দেশ আর অন্য ‍কিছু পাবে না। তাই এ চক্র থেকে দুরে থাকুন । সতর্ক হোন।

নব্বই শতাংশ মুসলমানের দেশে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম থাকবে।সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকবে। পাশাপাশি থাকবে সকল ধর্মের সমান সুযোগ। সংবিধানে যতদিন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম চিলো কিংবা বিসমিল্লাহ ছিলো তখন তো কোন ধর্মের লোকই কোনরকম শংকাবোধ করেনি।ধর্মে ধর্মে হানাহানি ঘটেনি। সংবিধানের রাষ্টধর্ম ইসলাম কিংবা বিসমিল্লাহ ছিল তখন তো কোন ধর্মের লোকই এর বিরোধিতা করেনি।অযথা সরকার এগুলোতে হাত দিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। যে দেশে যে ধর্মের লোক সংখ্যা বেশি সে দেশে ঐ ধর্ম প্রাধান্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক।এটাই সকলে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের বেলায় কেন এসব নিয়ে বার বার ঘাটাঘাটি হয়? বিভেদ হয়? এতে কি অন্য কোন শক্তির অশুভ উদ্দেশ্যের কলকাঠি নাড়ছে । যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একজন মুসলিম হয়ে তার নিজ ধর্ম ইসলাম নিয়ে কেন বাড়াবাড়ি করবে। অন্য ধর্মের লোক যেটা করেনা সেটাই কেন করবে নিজ ধর্মের লোক? নিশ্চয় অশুভ কোন উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টা রয়েছে। সরকারই বা ইসলামকে অবমাননাকারী নাস্তিকদের পক্ষ নেবে প্রকাশ্যে-গোপনে।? সরকার কি নব্বই শতাংশ মুসলমানের সেন্টিমেন্ট বুঝতে অক্ষম? মনে হয় না সরকার এতোটা বোকা। তার পরেও হরহামেশায় ঘটছে এসব। যথাযথ ভাবে তদন্ত না করে, দায়ী ব্লগারদের শাস্তি না দিয়ে বরং ইসলামকে অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে । এ কোন অজব ঘটনা।

গতো কয়েকদিন ধরে চলা সহিংসতা বন্ধে সরকার কেন কোন ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি? বরঞ্চ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভিন্ন ভাবে উসকে দেয়া হচ্ছে। অপরাধ করলে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করবে। নিরুপায় হলে আস্তে আস্তে কঠোর হবে। একান্ত বাধ্য না হলে কোন নাগরিকের উপর গুলি চালাবে না । গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতি সরকারসহ সকল পক্সকে সমান শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। অন্যথায় আরো লাশ পড়বে। সহিংসতা বাড়বে। এ সময়ে সরকারকে নমনীয় হতে হবে। কিন্তু সরকার তো নমনীয় হচ্ছে না। দেশি বিদেশি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহবান মানছে না। আলোচনার মাধ্যমে এ সংকট কাটিয়ে উঠতে কোন ভাবেই রাজী নয় সরকার। বরঞ্চ প্রতিশোধের ভাষায় কথা বলে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে। মাওলানা সাঈদীর বিচার থেকে শুরু করে কোন জন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকার পাবলিক সেন্টিমেন্ট তোয়াক্কা করছে না। সরকার পক্ষকে মনে রাখতে হবে ক্ষমতা কোনদিনই চিরস্থায় নয়। তাদেরও একদিন বিরোধী দলে যেতে হতে পারে।

মাওলানা আদালতর রায় সাঈদীর বিপক্ষে গেলে দেশ এমন সংকটে পড়বে একথা জানত সবাই। এক্ষেত্রে সরকারকে আরো রয়ে সহে আগানোর দরকার ছিলো।সাঈদী ভক্তদের সেন্টিমেন্ট বোঝা উচিত ছিলো।বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় পঞ্চাশটিরও বেশি দেশে তিনি কোরআনের তাফসির করেছেন।তাই দেশ বিদেশে তাঁর অসংখ্য অনুসারী-অনুরাগী ভক্ত থাকবে এটাই স্বাভাবিক।সরকার এসব বিষেয় মাথায় আনেনি। বিভিন্নে দেশ যে তাঁর পক্ষে অবস্থান নেবে সে ব্যাপারেও সঠিক অবস্থান ছিলো না সরকারের। নাকি বুঝেও না বোঝার ভান করেছে ?

বর্তমান সময়ে জামায়াত শিবির এবং ধর্মপ্রান মুসলমানদের এ প্রতিরোধ প্র্রতিবাদ ও লাশের মিছিল থেকে মুক্তি চায় জনগণ। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্যাইবুনাল কে আন্তির্জাতিক মানদন্ডে গঠন, বিশ্বের কাছে গ্রহন যোগ্য করে রায়সর্মহ পর্নবিবেচনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে এ মর্মে আশ্বাস প্রদান। এছাড়াও প্রকৃত দোষী বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সকল পক্ষের প্রতি ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারে কোন পক্ষেরই প্রকাশ্য বা গোপেনে আদালতের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে পারবেনা। রাজনৈতিক ক্রোধের বশবর্তী হয়ে এ বিচার কাজ করা যাবে না। আর এসব পদ্ধতি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিলেই বর্তমান পরিস্থিতি থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অন্যথায় দেশের ভবিষ্যত্র ভয়াভহ ও সংঘাতময় হবে। গৃহ যুদ্ধের দিকে ধাবিত হতে পারে দেশ। আর সরকার এ সত্য উপলদ্ধি করতে যতো দেরি করবে তাতে তাদেরই বিপদের পথ তরান্বিত হবে। রাজনৈতিক সহাবস্থানের পথ সুদৃঢ় করতে সরকারকেই অগ্রনী ভুমিকা পালন করতে হবে খুব দ্রুত। তা না হলে রাজনৈতিক বিভাজন ও অস্থিরতা আমাদের কালের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবে। এ প্রকৃত সত্য বোঝার ক্ষমতা যেন আমাদের সবার হয় এ প্রত্যশায়।

---ঝরাপাতা

১০-০৩-২০১৩

বিষয়: বিবিধ

১৭০২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File