ইসি’র উদ্ভট সব নির্বাচনী প্রতিকে হাস্যরস: এবং আমার উদারতা

লিখেছেন লিখেছেন ঝরাপাতা ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:১০:২০ বিকাল

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রতীক খুঁজে পাচ্ছে না। বিশেষ করে স্থানীয় নির্বাচন গুলোতে অদ্ভুদ ও উদ্ভট প্রতীক বরাদ্ধ করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ইতিমধ্যে। আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে পুতুল, ফ্রক, চকলেট, চুড়ি, ইত্যাদি প্রতীক বরাদ্ধ করায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

আবার প্রতিক বরাদ্ধে পুরুষ মহিলা বিভাজনের মতো দৃষ্টিকটুতাও লক্ষ্য করা গেছে। পুরুষ প্রার্থীদের বেলায় একটু ভালো এবং মহিলাদের বেলায় দৃষ্টিকটু উচ্চারনের প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতো কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী প্রতিকের সাথে সাথে প্রার্থীর নামও তা হয়ে গেছে। যেমন লেবু আপা, পুতুল আপা ইত্যাদি।

আমি এ অধম নির্বাচন কমিশনের জন্য বেশ কয়েকটি প্রতিকের নাম প্রস্তাবনা করছি। যেগুলো পুরুষ মহিলা প্রার্থী বিভাজন না করে নি:সন্দেহে বরাদ্দ দেয়া যেতে পারে। এ প্রতিক গুলো দেশের শিল্প সং®কৃতি ও দেশীয় ইতিহাস ঐতিহ্যর সাথে দারুন ভাবে জড়িত। উচ্চারনেও বেশ সাবলীল। ভোটাররাও চিনতে খুব সহজ হবে।

সংসদ নির্বাচন (সংসদ সদস্য) :::::

নৌকা, ধানের শীষ, দাড়িপাল্লা, নাঙ্গল, মশাল, হাতপাখা, বটগাছ, মিনার, তারা (স্টার), টুপি, হারিকেন, ছড়ি, কুলা, রিকসা, গামছা, কাস্তে, হাতুড়ি, পদ্মফুল, ইত্যাদি।

স্থানীয় নির্বাচন: (উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান):::::

ছাতা, দেয়াল ঘড়ি, দোয়াত কলম, চেয়ার, মাছ, আনারস, কাঠাল, তালা চাবি, চশমা, টেলিভিশন, টেবিল, টেলিফোন, মই, গ্লোব, ঠেলাগাড়ি, কাপপিরিচ, আম, চাকা, মোমবাতি, গরুর গাড়ি, হরিন ইত্যাদি।

স্থানীয় নির্বাচন: (উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, পৌর কাউন্সিলর, মেম্বার)::::::

ধনুক, পানিরকল, কলম, আলমিরা, ফ্যান, চাঁদ, তারা, মগ, পানপাতা, জগ, গ্লাস, ফুলদানি, চক ডাস্টার, বাস, বাঘ, সিংহ, দালান, খেজুরগাছ, তালগাছ, বালতি, ডালিম, জাহাজ, বই, মোবাইল ফোন, ঢোল, ঢেঁকি, ক্যালকুলেটর, মাইক, জবা ফুল, উটপাখি, সেলাই মেশিন, টি শার্ট, কুঁড়েঘর, ডাব, ঘুড়ি, একতারা, দোতারা, অনুবীক্ষন যন্ত্র, পাঞ্জাবী, লাটিম, নাটাই, নোঙ্গও, রেল লাইন, মাটির ব্যাংক, বাটখারা, দোয়েল পাখি, কুবতর, বেলুন, ছরকি, রেলগাড়ি, হাঁস, ক্যামেরা, ব্যাটারী (ড্রাইসেলস), মোরগ, কলস ইত্যাদি।

উল্লেখ্য যে, প্রয়োজন হলে প্রতিক গুলোর এদিক সেদিক অর্র্থ্যাৎ শ্রেনি বিন্যাস পরিবর্তন করে ব্যবহার করা যেতেও পারে।

বিষয়: রাজনীতি

১৫৪১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

353081
০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৬
সাইফুল ঈদগাহ কক্স লিখেছেন : বর্তমানে ৪০টি নিবন্ধিত দলের জন্য ৪০টি প্রতীক নির্ধারিত। এর বাইরে সংসদ, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, সিটি কর্পোরেশন ইত্যাদি প্রত্যেকটির জন্য কিছু প্রতীক নির্ধারিত। এ ভাবে দেখা যায় অনেক প্রতীক নির্ধারিত হয়ে গেছে, যা অন্য কোথাও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এমতাবস্থায় নতুন নতুন প্রতীকের খোঁজে ইসি হয়রান। এখন কী করা যায়?
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫১
293120
ঝরাপাতা লিখেছেন : যে দল পর পর তিনটি নির্বাচনে প্রার্থী দিতে না পারবে তার প্রতিক বাতিল করতে পারে। তাছাড়া দেশে সংক্ষিপ্ত নাম ও সাবলিল উচ্চারনের প্রতিকের কমতি নেই। কেবল খুঁজে নিতে হবে। ধন্যবাদ ভাই
353089
০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:১৪
শেখের পোলা লিখেছেন : কেন ভাই, পুতুল আপা,চুড়িভাবী, হাঁড়ী চাচী,পাতির বুবু, কাজল খালা,খুন্তী ফুফু,আলতা মামী খারাপ কি৷ ওরাতো এখনও প্যান্টি ব্রাতে হাত দেয়নি৷
আপনার পরামর্শকে স্বাগত জানাই৷ ফান করলাম আর কি৷
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫২
293121
ঝরাপাতা লিখেছেন : ----- হাত দিতেও পারে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
353122
০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ রাত ১০:১৭
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : সিটি কর্পোরেশন এ তো মুলা আর টিস্যু ছিল! এখনও অন্তর্বাস বাকি আছে!
০৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:৫৩
293122
ঝরাপাতা লিখেছেন : মূলা আর গাজর তো একই রকম দেখতে। এ দুটিও প্রতিক। ঠিক বলেছেন...... ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File