আলুর আলোয় আলোকিত ব্যাচেলর জীবন
লিখেছেন লিখেছেন ঝরাপাতা ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৪২:০১ বিকাল
আমাদের ম্যাসের বুয়া। খালা ডাকলে মাইন্ড করেন। বুয়া ডাকলেই খুশি!!! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি তিনি দীর্ঘ ষোল বছর ধরে এ ম্যাসে রান্নার কাজ করছেন। তিনি বিশ্বাস করেন তাঁর মতো বুয়া আর দ্বিতীয়টি নেই মাইজদী শহরে।
হঠাত করেই গত কাল রেগে মেগে আগুন। আলু কুচাতে পারবেন না আর। এ ম্যাসে নাকি দৈনিক কেজি পাঁচেক আলু লাগে বিশজনের জন্য। আলু কুচাতে কুচাতে এখন নাকি আলুর গন্ধও শুকতে পারেন না বুয়া। তিনি নাকি আলু খান না বছর পাঁচেক হবে।
সব তরকারিতেই আলুর সংমিশ্রন। গোস্তে, ভাজিতে, মাছে, শিমে, বেগুনে, কপিতে, ভর্তায়, শাকে মোরগে সবর্ত্রই কেবল আলু সহযাত্রী। আলু ছাড়া তরকারি কল্পনাও করা কঠিন। জয়তু আলু।
ম্যাস জীবনে আলু ডিম খাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবেনা। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে আলু আর ম্যাস জীবন একে অপরের প্রধান পরিপূরক। আলু ছাড়া আমাদের চলেই না। ওরে আমার আলু রে!!!
আলু খেলে গ্যাস্ট্রিক হয়- সেটা অবশ্য মায়ের হাতের ঘরোয়া রান্নার বেলায়। ম্যাসে এমন ভাবনা ভাবাও দুঃসাধ্য। কিসের রোগ বালাই!! গোগ্রাসে গিলছি আলু। আলুই আলুই আলোকিত চৌকির তলা থেকে কিচেন রুম। সহজ সরল তরকারি হিসেবে আলু ব্যাচেলরদের প্রধান ও একমাত্র পছন্দ।
ম্যাস লাইফে আলু আর পাতলা ডালকে ডিনাই করা নিজেকে বিসর্জন দেয়ার মতো। সেই নিত্যপ্রয়োজনীয় আলু, আমাদের বিপদের একান্ত সরঞ্জাম এই আলু নাকি বুয়ার অখাদ্য!! ডিমের গন্ধ শুকলেই নাকি তার বমি বমি ভাব হয়!!
ম্যাস লাইফে তেলাপিয়া মাছ হয় আমাদের জাতীয় মাছ। খাচ্ছি তো খাচ্ছিই!!! তাও বুয়াকুলের অপছন্দ। কোন দিকে যাই।
সরি বুয়া!! তোমরা যে গুলো দেখলে নাক সিটকাও সেগুলোই আমরা খাই পরম আদরে। ক্ষুধা তাড়াই। জীবন পাড়ি দিই। তোমার মতো পৃথীবির বহুজনের অখাদ্য গুলোই আমাদের তিনবেলার সুখাদ্য।
ব্যাচেলর বলে বাধ্য হয়ে খাই। বাড়িতে হলে হয়তো ভিন্নতা থাকতো আমাদেরও। এখানেই তো জীবন বোধের রহস্য।।
এবার আলু নিয়ে কৌতুক: আলু দিয়ে বারো পদের তরকারি রান্নার পর ভাগিনাকে উদ্দেশ্য করে মামির সপ্রভিত উক্তি, ভাগিনা যা আসলি আনসিজনে। আলুর দিনে তো আসলি না..... !!!
বিষয়: বিবিধ
১৪৭১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন