বক্তৃতাবাজ রিবোধীদল

লিখেছেন লিখেছেন ঝরাপাতা ০৯ মে, ২০১৩, ০১:৪৫:২৩ দুপুর

কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নাই। বর্তমান রিরোধীদলের অবস্থাও ঠিক কাজীর গরুর মতো। সংসদের বাহির কিংবা ভেতরে কোন স্থানেই তারা জোরালো ভূমিকা নেই। রাজপথে নেই কোন জোরালো আন্দোলন। তারা প্রায়শই বলে থাকেন কঠোর আন্দোলন ঘোষনা করা হবে। আর এই কঠোর আন্দোলন সর্বোচ্চ দুই দিনের হরতাল। তারা হরতাল দিলে রাস্তায় গাড়ি চলে, অফিস আদালত খোলা থাকে। কেন্দ্রিয় নেতারা ইচ্ছা করে দলীয় কার্যালয়ে বন্দী থাকেন হরতালের সময় । রাজপথে দেখা যায় না তাদের কোন নেতা কর্মীকে। মিছিল মিংটিং হয় লোক দেখানো কিংবা মিড়িয়া টায়াল এর মতো। দেখা যাচ্ছে বিএনপি হরতাল দিলেও শিবির মাঠে থাকছে আবার জামায়াত-শিবির দিলেও শিবির মাঠে থাকছে এবং হতাহত হচ্ছে। একই পরিস্থিতিতে বিএনপি কর্মীদের ব্যাপক গা ছাড়া ভাব দেখা যায়।সভা সমাবেশেও ঠিক একই চিত্র। বিগত দিনের হরতাল গুলোতে বিএনপির কয়টা কর্মী হতাহত হয়েছে আর জামায়াত শিবিরের কয়টা হতাহত হয়েছে তার হিসাব দেখলেই এর বাস্তব চিত্র পাওয়া যাবে। এ সরকার প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেও তারা তা তুলে ধরতে পারেনি। জনগনের মনোবাসনার সাথে তারা একাত্ম হতে পারেনি।

দেশের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি তার যথাযথ দায়িত্ব পালনে সব ক্ষত্রে সর্বাত্মক ব্যর্থ হয়েছে। অথচ সভা সেমিনার আর সাংবাধিক সম্মেলনে বেবাক কথা বলতে পারেন আমাদের বর্তমান বিরোধীদল। এসব সভা সেমিনারে অনেক নেতার চেহারা মুবারক দেখা গেলেও রাজপথে তারা কোথায় যেন হারিয়ে যান। দুরবীণ দিয়েও তাদের খোঁজ মেলেনা। মিড়িয়াতে চেহারা দর্শন করাতে পারলেই যেন তারা বেশ খুশি।

বিরোধীদলের রাজনৈতিক পাঠ নেয়া উচিত বর্তমানের আওয়ামীলীগ সরকার এর কাছ থেকে। সরকারে থাকলে কিভাবে দেশ পরিচালনা করতে হয়, কিভাবে মিড়িয়াকে সামেলাতে হয়, কিভাবে তথাকথিত সুশীল সমাজকে নিজেদের করে নিতে হয় এর সবকটি পদ্ধতি তারা এ সরকার থেকে শিখে নিতে পারে। প্রসাশন, বিশ্ববিদ্যালয় এর ভিসি, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান কিভাবে নিজেদের গোলাম করতে হয় এ সরকারই সবচেয়ে বেশি জানে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রায় ত্রিশ হাজার পুলিশ নিয়োগ দিয়েছে বিশেষ কিছু জেলা থেকে বাছাই ছাত্রলীগ নেতা কর্মীকে। যারা এখন ঢাকার রাজপথ নিয়ন্ত্রনে বেশ জোরালো ভূমিকা পালন করছে। অথচ বর্তমান বিরোধীদল বিএনপি শিবির নেতাকর্মী ঢুকে পড়বে এই ভয়ে প্রসাশনে কোন জনবল নিয়োগ কো করেই নি এমনকি নিজেদের কর্মীদেরও ঠকিয়েছে। যার ফলাফল এখন তারা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছে, ভবিষ্যতেও পাবে বলে মনে হচ্ছে।

খালেদা জিয়া নির্দেশ দেয়ার পরেও হেফাজতের সহায়তার জন্য তাদের কোন নেতাকর্মীকে মাঠে কিংবা শাপলা চত্তরে দেখা যায় নি। খালেদা জিয়া ও তাদের আগামীর নেতা তারেক রহমানকে নিয়ে অনবরত মিথ্যাচার ও ব্যাপক গালিগালাজ চললেও তাদের নেতাকর্মীদের গা জ্বলে না। গণহারে নেতা কর্মীদের জেলে নিলেও তাদের কিছুই করার থাকেনা। সমসাময়িক সময়ে ইসলামপ্রেমীদের গণজোয়ার এর সুদুরপ্রসারী ফলাফল তারা তাদের পক্ষে নিতে পারেনি। পরগাছী নেতা ইনু খালেদা জিয়া সেই শুরু থেকে রাজনীতির ছবক দিয়ে যাচ্ছে কেই টু-শব্দটিও করছে না। অথচ খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেত্রী, সব বার সকল আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর মতো বিশাল এক নেত্রীকে ছিটকে নেতারা জ্ঞান দিলেও তাদের মাথা ঠান্ডা থাকে। এর আগে ক্ষমতায় থাকতে বিএনপির সকল নেতা কর্মী কেবল খাই খাই করছে। প্রয়োজনের সময় তাদের কেই মাঠে নেই। তারা কেবল ঘরে শুয়ে শুয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার রঙিন স্বপ্ন বোনে।বিনা কষ্টে কেষ্ট চায়।এমন ব্যর্ত বিরোধীদল আমরা কোন কালেই চাইনা।

বিষয়: বিবিধ

১০০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File