সত্যায়ন বিড়ম্বনায় চাকুরী প্রার্থীরা

লিখেছেন লিখেছেন ঝরাপাতা ২১ এপ্রিল, ২০১৩, ১১:৪২:২৬ সকাল

সত্যায়ন বিষয়টি কে কবে কোথায় কেন আবিষ্কার করেছেন তা বিলিয়ন ঢলারের প্রশ্নও বটে। কাগজপত্র সত্যায়ন কতটুকু বাস্তব সম্মত কিংবা কতকুটুকু প্রয়োজনীয় জাতির বিবেকের কাছে প্রশ্ন।সত্যায়নে কার কতটুকু উপকার বা কাজে আসে বিষয়টা মাথায় ঢোকে না। সত্যায়ন নামের বিড়ম্বনায় পড়েননি এমন চাকুরি প্রার্থী অন্তত বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া কঠিন।বিভিন্ন ধরনের সনদ ও কাগজপত্র সত্যায়িত করা লাগে দরখাস্তের সাথে সংযুক্তি হিসেবে পাঠাতে।বর্তমানের তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে যেখানে এক ক্লিকেই জানা সম্ভব যে কারো রেজাল্ট বা অন্যান্য তথ্য সেখানে সত্যায়ন নামের বেহুদা প্যাঁচাল হাস্যকর নয় কি?বাংলাদেশের প্রথম শ্রেনির চাকুরীজীবী বিসিএস ক্যাডার রা সত্যায়িত করতে গেলেই সত্যিকারের ক্যাডারের মতো আচরন করেন। আমার নিজের ডিপার্টমেন্টের স্যার পর্যন্ত আমাকে কাগজপত্র সত্যায়িত করে দেননি মূল কাগজপত্র থাকার পরেও। চারিত্রিক সনদপত্রের বেলায় তো আরো ব্যাপক ঝামেলা। না চিনলেতো নয়ই চিনলেও দিতে চান না ।মানুষ তো কতো ভাবেই সত্যায়ন করে থাকে। আজকাল বিভিন্ন ধরনের সত্যায়ন সিল বাজারে কিনতে পাওয়া যায় একটু চোখ কান খোলা রাখলেই। চাকুরী প্রার্থীরা সত্যায়ন বিডম্বনায় আতিষ্ঠ হয়ে বেছে নিয়েছে এমন অনৈতিক পন্থা। মফস্বলের কতোজন মানুষেরই বা পরিচিত প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা আছেন যে তারা চাইলেই হাতের কাছে সত্যায়ন করতে পারবেন কোন প্রশ্ন ছাড়াই। তাছাড়া চাকুরির দরখাস্তের সাথে চারিত্রিক সনদেরই বা প্রয়োজন কি? আমার সম্পর্কে আমি ছাড়া আর অন্য কেউ বেশি জানবে কি করে? কেউ একজন একটা কাগজে স্বাক্ষর দিলেই কি আমার চরিত্রের সবটুকু ফুটে উঠবে? ভালো চরত্রের সনদ দিয়ে চাকুরিতে প্রবেশের পর প্রাণ ভরে ঘুষ খান, করেন নানান অপরাধ ও অনৈতিক কাজ। দরখাস্তের সাথে সাধারন ভাবে শুধু মাত্র ফটোকপি দিলেই তো হয়। নিয়োগ পাওয়া চূডান্ত হলেই কেবল সনদ ও বিভিন্ন কাগজ পত্র যাচাই বাছাইয়ের বিষয়টা আসতে পারে এর আগে নয়।

বিষয়: বিবিধ

১২৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File