মাহমুদুর রহমান- এক অকুতোভয় কলম সৈনিক
লিখেছেন লিখেছেন ঝরাপাতা ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:৩৭:২১ দুপুর
জীবনের সবটুকু ভালোবাসা বিলিয়ে দিয়ে দেশকে আপন করে নিয়ে নিজের জীবনকেই বারবার অনিশ্চয়তায় ফেলে দেয়া এক অসাধারন মানুষ স্যার মাহমুদুর রহমান। বিদেশী মতাদর্শ কে কোলে পিঠে করে লালন করা দেশের বেশিরভাগ মিড়িয়া যখন উন্মুক্ত দলবাজী কিংবা হলূদ সাংবাদিকতায় মত্ত। ঠিক সেরকমই এক অন্ধকার সময়ে মাহমুদুর রহমানের আগমন সংবাদ জগতে। সাদাকে সাদা আর কালো কে কালো বলার যে সত সাহস তা দেখিয়েছেন সেই সেনা সমর্থিত সরকারের আমল থেকে। ব্যক্তিগত জীবনের অনেক পাওয়ার হাতছানি ঠেলে দিয়েছেন সত্য বলতে গিয়ে। সত্য ধারন করার অপরাধে বারবার অত্যাচারিত হয়েছেন নানান পদে। উচ্চ স্তরের সরকারি আমলা হয়েও আজ জেলের ঘানি টানছেন দেশের এ এলিট শ্রেণীর সাংবাদিক তথা সম্পাদক। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে জাপান থেকে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন সিরামিক বিজ্ঞানে। দায়িত্ব পালন করেছেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদ্। ছিলেন বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান। দুর্নীতি নামের বিষবিক্ষ তাকে কোন কালেই ছঁতে পারেনি। বাংলাদেশের সিরামিক শিল্পে তাঁর অবদান অনেক।অ নেকটা তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশে এ শিল্পের যাত্রা। দীর্ঘ দিন ধরে লেখালেখি করেছেন নয়াদিগন্ত সহ বেশ কয়েকটি পত্র পত্রিকায়। তুখোড় বক্তা ছিলেন টিভি টকশো গুলোতে।এক এগার সরকারের সময় সেনা সরকারের বিরুদ্ধে কলা বলে এসেছেন প্রাদ প্রদীপের নিচে। তাঁর লেখনিতে আছে তত্ত্ব ও তথ্যের প্রাঞ্জল উপস্থাপনা ও ক্রমাগত লেখার ধারাবাহিকতা। ব্যক্তিগত জীবনে নির্মোহ এ মানুষটিকে আদর্শ দিয়ে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করছে সরকার। বাক স্বাধীনতার অধিকার সর্ম্পূর্ণ ভাবে হরণ করে তাকে হেয় করা হচ্ছে প্রতি পদে পদে।
দেশের একটি পরিচিত ও বহুল প্রচারিত প্রথম শ্রেণির জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক কে সরকার নানা ভাবে নানান সময়ে বিভিন্ন ভাবে নাজেহাল করছে অথচ তাঁরই স্বজাতিরা মুখে আঙ্গুল চেপে হাসছে কিংবা হাত তালি দিচ্ছে। দেশের তথা কথিত বুদ্ধিজীবীরাও যেই লাউ সেই কদু। কিন্তু সবাইকে মনে রাখতে হবে সময় হয়তো সবার জন্য আসবে। আজ যার দুর্দিনে আপনারা হাততালি দিচ্ছেন আগামীতে আপনাদের বেলায়ও এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
মাহমুদুর রহমান স্যার, আপনী ভয় পাবেন না, কুলাঙ্গাররা যতই মুখ চেপে হাসুক না কেন দেশের কোটি জনতা আপনার পাশে আছে। আপনার কোন ক্ষতি তারা হতে দেবেনা। এর আগেও জনগন আপনার সাথে ছিল আর এখনও থাকবে ইনশাআল্লাহ্। আল্লাহ যেন আপনাকে সত্য কে ধারন করার আরো বেশি তৌফিক দান করেন। ন্যায়ের পথে লিখে যেতে পারেন। মনে রাখবেন, জেল খানার চৌকাঠে মানুষের দেহকে বন্ধি করে রাখলেও সত্যকে ধামাচাপা দেয়া যায়না স্যার। অথচ আমরা নির্বোধরা এ সত্যটি উপলব্ধি করতে পারিনা সব সময়। ভিন্নমত কে দলন করতে গিয়ে আমরা ভুলে যাই সত্য মিথ্যার তফাত।
একবিংশ শতাব্দীর এ যুগে এসে আমরা সমালোচনাকে ভয় পাই যা আমাদের দেউলিয়ত্বেকে প্রকাশ করে। আপনার প্রস্থান কিংবা অনুপস্থিতিতে কারো হয়তো তেমন কোন ক্ষতি হবেনা। হয়তো জেলাখানার অন্ধকারের চার দেয়াল আপনাকে চিরে চিরে খাবে । আপনার শূণ্যতা হয়তো এ পৃথিবীতে কোন অঘটন ঘটাবেনা। কিন্তু জাতি হিসেবে আমারা কি জবাব দেবো সত্যের প্রশ্নে?
বিষয়: বিবিধ
১৮৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন