ব্রেকিং নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথার জবাবে ডা. ইমরান বলেছেন, কারো রক্তচক্ষু বা নির্দেশে গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ হবে না।

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক খান ০২ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:৩২:২৭ সন্ধ্যা

কারো রক্তচক্ষু বা নির্দেশে গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ হবে না বলে জানিয়েছেন এই মঞ্চের সমন্বয়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাগের জাগরণ মঞ্চে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। নতুন বার্তা ডটকম।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার “ সরকারের স্পর্ধা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস গণজাগরণ মঞ্চ পায় কোথায়?” এবং আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের, “ধর্ম অবমাননাকারী যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।” এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ইমরান সরকার আরও বলেন, “কারো পরামর্শ বা নির্দেশে গণজাগরণ মঞ্চ হয়নি। তাই কারো নির্দেশে তা বন্ধ হবে না।”

উল্লেখ্য যে গত রোববার রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের কার্যক্রম ভেঙে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। এই মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারের দেওয়া একটি বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

গত ২৬ মার্চ শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের দাবির ব্যাপারে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মনে হচ্ছে সরকারের টনক নড়েনি, তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, যা প্রকারান্তরে শাহবাগের দাবিকে উপেক্ষা করার শামিল। এ দাবি উপেক্ষা করে সরকার যে স্পর্ধা দেখিয়েছে, তা নজিরবিহীন।’

ইমরানের এ বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে দলের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বক্তব্য রাখেন। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের স্পর্ধা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সাহস গণজাগরণ মঞ্চ পায় কোথায়? তাদের বক্তব্য কারা লিখে দেয় খুঁজে বের করেন। এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, অনেকে মনে করেন আমি তাদের বক্তব্য লিখে দিই। আসলে তা সত্য নয়। আমিও মনে করি, এখন আর এই মঞ্চ রাখা ঠিক নয়। মানবজমিন অনলাইন

এদিকে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও ব্লগে ইসলামের অবমাননার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন সংশোধন ছাড়াও সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, ধর্ম অবমাননাকারী যেই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, অবমাননাকারীদের চিহ্নিত করার জন্য সরকার যে কমিটি করেছে তাতে দুজন আলেমকেও যুক্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে তিনজন ব্লগারকে এই অভিযোগে আটক করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, বাকি যেসব ব্লগারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে তাদের বিরুদ্ধেও তদন্ত হচ্ছে।

ব্লগে ইসলাম ধর্ম ও মহানবীকে নিয়ে কুরুচি পূর্ণ লেখালেখির কারণে তিন ব্লগারকে গ্রেফতারের বিষয়টি নজিরবিহীন দাবি করে ইমরান সরকার বলেন, “এভাবে মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করা কতটা সংবিধানসম্মত তা প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং উস্কানির বিষয়ে সরকারের ধারণা কতটুকু স্বচ্ছ তাও প্রশ্নের বিষয়।”

গ্রেফতার ব্লগাররা গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান সরকার বলেন, “তারা সরাসরি গণজাগরণ মঞ্চের সঙ্গে জড়িত না, তবে তারা এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।”

নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা, আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা দেশের সচেতন নাগরিক সমাজ ও আলেম সমাজ স্বাগত জানিয়েছে।
সবাই আশা করছেন সরকারের এই উদ্যোগ সবসময় বজায় থাকবে। সাথে সাথে সচেতন নাগরিক সমাজ ও আলেম সমাজ মানবতা বিরোধী বিচার কাজ দ্রুত শেষ করারও আশা করেছেন।

“অনুগ্রহ করে হিজরারা (নাস্তিক) মন্তব্য করে নিজেদের হিজরাগিরি প্রকাশ করবেন না। আপনারা দোকানে দোকানে গিয়ে চাঁদা নেন। এখানে না। হিজরা মুক্ত ব্লগ চাই, হিজরা মুক্ত সোনার বাংলাদেশ চাই।”

বিষয়: বিবিধ

১৫১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File