অভিজ্ঞতার অভাবে সাউন্ড গ্রেনেডের পিণ খোলার সময় বিস্ফোরণ
লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক খান ০১ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:৪২:০১ দুপুর
রাজশাহী নগরীতে সংঘর্ষের সময় জামায়াত-শিবিরের মিছিলে ছুঁড়তে গিয়ে পিণ খোলার পর নিজের হাতে সাউন্ড গ্যাস গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়ে পিএসআই মকবুল হোসেনের দুই হাতের কব্জি উড়ে গেছে।
দুই হাতের কব্জি উড়ে গেলে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন পিএসআই মকবুল
দুই হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন হওয়া গুরুতর আহত পুলিশের পিএসআই মকবুল হোসেন প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। তার অবস্থার অবণতি হলে তাকে র্যাবের হেলিকপ্টারে করে এনে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডা. বি কে দাস বলেছেন, মকবুলের হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় আহত পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল উসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শিবিরকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় শিবির কর্মীরা। পাল্টা জবাবে পুলিশ শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে। এক পর্যায়ে পিন খুলে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করার সময় নগরীর মতিহার জোনের পুলিশের পিএসআই মকবুল হোসেনের নিজ হাতেই গ্রেনেড দুটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মুহূর্তে তার দুই হাতের কব্জি উড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সংঘর্ষ চলাকালে সাউন্ড গ্রেনেডের পিন খোলার পর দীর্ঘসময় হাতে রাখার কারনে পিএসআই মকবুল হোসেনের হাতেই সেটি বিস্ফোরিত হয়। এতে তার দুই হাতের কব্জি উড়ে যায়।
তবে পুলিশ সদস্যের কব্জি উড়ে যাওয়ার ঘটনা সম্পর্কে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের দাবি,পুলিশের কাছে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস রয়েছে। এর কোনোটিতেই হাত উড়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটার আশঙ্কা নেই। তিনি আরও দাবি করেন, জামায়াত-শিবিরের ছুঁড়ে মারা বোমার আঘাতে মকবুল হোসেনের দুই হাতের কব্জি উড়ে গেছে।
http://www.amadershomoy2.com/content/2013/04/01/news0317.htm
বিষয়: বিবিধ
১৫১৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন