হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সভায় তোপের মুখে মন্ত্রী ও ১৪ দলের নেতারা
লিখেছেন লিখেছেন পথিক মুসাফির ২৯ মার্চ, ২০১৩, ১২:১২:৫২ দুপুর
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতনে আ’লীগসহ প্রগতিশীলরাই বেশি দোষী বললেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্যপরিষদ নেতাদের তোপের মুখে পড়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দীরে ১৪ দলের নেতারা বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃস্টান ঐক্য পরিষদের নেতাদের সাথে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা নির্যাতনের বিষয়ে বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। উপস্থিত ছিলেন দলটির সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবীর নানক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মলিক, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূরূর রহমান সেলিম, গণআজাদী লীগের হাজি আবুস সমাদ, জাসদ নেত্রী শিরিন আক্তার, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের অসিত বরন বিশ্বাসসহ ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে সংগঠনটির নেতারা বিগত সরকার ও বর্তমান সরকারের সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ফিরিস্তি তুলে ধরে এ জন্য আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীলরাই বেশি দোষী বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তাদের অভিযোগ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আওয়ামী লীগের না বিরোধী দলের এই হিসাব নিকাশের জন্যই প্রতিনিয়ত হামলার শিকার হচ্ছে তারা। একদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনে করে সংখ্যালঘু মানেই তাদের লোক। আর এর ওপর যে কোনো হামলার জন্যই বিরোধী দল বা বিএনপি-জামায়াতই দায়ী। সব সময় এটা ঠিক নয় দাবি করে বাংলাদেশ পূজা উৎযাপন কমিটির উপদেষ্টা এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগের মিছিলে না যাওয়ায় ওই এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রত্যক্ষ নির্দেশে সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও স্থাপনায় হামলা হয়েছে। এ জন্য পরক্ষণেই বিরোধী দলের ওপর দোষ দেয়া হয়েছে।
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১১৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন