প্রয়োজনের তাগিদে সবাইকে উদ্যোগী হয়ে কাজ করা উচিত। তেমনি একটি ভাল উদ্যোগ ।
লিখেছেন লিখেছেন পথিক মুসাফির ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৮:৫০:৩৯ সকাল
ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নিতে জাতিসংঘে চিঠি
আমদের দেশে চলমান মানবতা বিরোধী কার্যক্রম এত বেড়েছে যে সর্বকালে চেয়ে ভয়াবহ। কারণ এক মহিলা তার ক্ষমতা বলে তার পোষ্য সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করে যাচ্ছে কোন কিছুর তোয়াক্কা করছে না। হিটলার, নমরুদ ফেরাউনের মতই আচরণ করছে ।
টক শো বিবৃতি মানব বন্ধন সেমিনার কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। তবে সব সময় কিছু না কিছু লোক সত্যের পথে নিজেদেরকে পেশ করে তেমনি এক ব্যক্তি যুক্তরাজ্য অল পার্টি পার্লামেন্টারি হিউম্যান রাইটস গ্রুপের সদস্য লর্ড কার্লাইল কিউসি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে নেওয়ার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
শুক্রবার তিনি এ চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। চিঠিতে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতিকে ‘হুমকির মুখে’ রয়েছে আখ্যায়িত করে তিনি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানান।
চিঠিতে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক দণ্ড প্রদানের কারণে বাংলাদেশে রাজপথে সহিংসতা বাড়ছে।’
জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার নেভি পিলে সম্প্রতি সিরিয়া, মিশর এবং ইরাকের উদ্বেগজনক মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে বাংলাদেশের নাম বাদ রাখায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন লর্ড কার্লাইল তার চিঠিতে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বর্তমানে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।’
বিচার হয়ে যাবার পর আইন সংশোধন করা এবং সে আইনের অধীনে দায়ের করা সরকার পক্ষের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন গ্রহণ করায় উদ্বেগ প্রকাশ করে লর্ড কার্লাইল বলেছেন, ‘এটি আন্তর্জাতিক আইনে ন্যায়বিচারের যে মানদণ্ড তা লঙ্ঘিত হয়েছে।’
লর্ড কার্লাইল তার চিঠিতে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে আমি এ জরুরি চিঠি লিখছি।’
তিনি বলেন, ‘গত ৭ জুন আমি বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি বিষয়ে লিখেছিলাম। আমি বিশেষভাবে জোর দিয়ে উল্লেখ করেছিলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মানের অবনতি বিষয়ে।’
চিঠিতে বলা হয়, ‘সরকারের সমালোচকরা এখানে নানাভাবে নিগ্রহের শিকার। পক্ষপাতদুষ্ট বিচারক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দণ্ড প্রদানের কারণে আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন সবাই সর্বসম্মতভাবে সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের।’
ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রাক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন অবশ্যই প্রয়োগের পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে আবদুল কাদের মোল্লা বিষয়ে যে রায় দেওয়া হয়েছে, তা আরো বিরক্তির বিষয়। সংশোধিত ভূতাপেক্ষ আইন এর অধীনে দায়ের করা মৃত্যুদণ্ডের আবেদন গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।’ আসামিকে পুনরায় কোনো রিভিউ আপিল আবেদন থেকেও বিরত রাখার কথা বলা হচ্ছে।
জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন আরবিট্রেরি ডিটেনশন থেকে গত বছর বাংলাদেশের এ বিচার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ বিচার প্রক্রিয়া স্বেচ্ছাচারমূলক এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। কিন্তু জাতিসংঘের এ উদ্বেগের বিষয়টি বাংলাদেশ পুরোপুরি অগ্রাহ্য করেছে।
আসামির পুনরায় রিভিউ আবেদনকে অস্বীকার করার মধ্য দিয়ে আবারো তারা আন্তর্জাতিক আইনি রীতিনীতি লঙ্ঘন করলো বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘আবদুল কাদের মোল্লার রায়ের বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এ মৃত্যুদণ্ডে ন্যায় বিচারের মানদণ্ড লঙ্ঘিত হয়েছে।বিচার হয়ে যাবার পর আইন সংশোধন এবং তাকে ভূতাপেক্ষতা প্রদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আইনে ন্যায় বিচারের মূলভিত্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে বলে তারা বলেছে এবং তাদের এ পর্যবেক্ষণ সঠিক বলে মনে করি আমি।’
লর্ড কার্লাইল তার চিঠিতে বলেন, দুই নেত্রীর প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির সংলাপের আহ্বানকে আমি স্বাগত জানাই। তবে শান্তি নিশ্চিত করতে হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে আনতে হবে। বাংলাদেশের এ সঙ্কটকে স্বীকার করে নেওয়া এবং এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আপনার মত হাইকমিশনের সর্বোচ্চ অফিসকে ব্যবহারে এগিয়ে আসতে হবে।’
বিষয়: বিবিধ
১৮৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন