বাহ!! উন্নয়নের জোয়ার এখন বিল বোর্ডে ।
লিখেছেন লিখেছেন পথিক মুসাফির ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ০২:২৮:৩৪ দুপুর
এই বিল বোর্ড সংস্কৃতি থেকে আমার একটা গল্প মনে পড়ে গেল ।
এক লোক খুব কষ্ট করে টেনেটুনে বিএ পাশ করেছে। তার নাম গোরা চাদ মল্লিক। সে এক অভিনব পন্থা আবিষ্কার করে নিজেকে জাহির করত। পন্থাটা হলো তার নাম বা তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে সে নাম বলার সাথে বিএ শব্দটা লাগিয়ে জবাব দিতেন। বলতেন আমার নাম গোরা চাদ মল্লিক বিএ । তার মানে সে যে বিএ পাশ করেছে তা মানুষদেরকে বুঝানোর জন্য চেষ্টা। সে এই আওয়ামীর মতই এতই গর্দভ প্রকৃতির ছিল যে সে বিএ পাশ করার মত ছেলে ছিল না।
তবে যখন মানুষ জানত যে এই লোক বিএ পাশ তাহলে তার দিয়ে কিছু কাজ করিয়ে নিই। তাই তার কাছ থেকে যে যেভাবে পারে সুবিধা নিতে চাইত কিন্তু আশ্চর্যে বিষয় ছিল যে সে তো কিছই পারত না তাই সে সব সময় অপারগতার জন্য একট না একটা অজুহাত দিয়ে মানুষদের কাছ থেকে পাশ কাটিয়ে যেতো। একদিন তার এক বোনের জামাই তাকে বল্ল যে তার একটি দরখাস্ত লিখে দিতে কিন্তু সে তা লিখে দিতে আপরগতা প্রকাশ করল এবং যথাযথ কারণও বলে দিল । তখন তার দুলা ভাই তাকে বল্ল তোর বিএ পাশের যখন এই অবস্থা তাহলে তোকে আমার শশুর বিএ না পড়িয়ে যদি ঐ টাকা দিয়ে একটি গাভী কিনে রাখত তাহলে সেই গাভী বছরে একটি করে বাচ্চা দিত এবং দুধ দিত নিয়মিত সেখান থেকে শশুর সাবে অনেক উপকার পেত।
এখন আওয়ামী লেগের অবস্থা ঠিক তেমনি হয়েছে । মানুষ তাদের ৫ বছরের (শেয়ার মার্কেট, হলমার্ক,ব্যাংক জালিয়াতি টেন্ডার বাজি, চাদা বাজি হত্যা খুন গুম বিরোধী দল নিপিড়ন এবং মহান আল্লাহর দেয়া ধর্মকে বিসর্জন দেয়ার ব্যবস্থা করা নবী করীম সাঃকে কটুক্তি ব্যঙ্গ করা এবং সরজমিনে পান্না মাস্টার, পরিমল জয়ধর, সেঞ্চরী মানিক, ইম্রাণ এইডস আর জমির চাচাদের) উন্নতির জোয়ারে যখন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তখন এই অভিনব পদ্ধতি। তাদের কিশোর যৌবন সবই কেটেছে মানুষের রক্তে আর এখন বলছে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
এটাও তাদের জন্য বুমেরাং হবে । এই ঔদ্ধত্যপরায়ণ, দাম্ভিক, হিংস্র, স্বার্থপর, দুর্নীতিগ্রস্ত, ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী আওয়ামী সরকার বাংলাদেশকে পুরোপুরি উন্মাদ, বিকারগ্রস্ত, প্রতিশোধপরায়ণ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। জনগণের কাছে বুলেট না থাকলেও ব্যালটে তার প্রতিফলন দেখিয়ে তাদের মস্তিস্ক বেশ ধোলাই করেছে এতেও যদি তারা জনমুখী না হন এই বিলবোর্ডেই তাদের আটকে যেতে হবে এবং চরম পরিণতি বরণ করতে হবে যা তারা ভাবতেও পারছে না । নিজেদের কল্পিত সাফল্যের এই মিথ্যাচার চালানোর জন্য অতি নিম্নমানের বিলবোর্ডে রাজধানী ঢাকার এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্ত পর্যন্ত ছেয়ে ফেলেছে তার সরকার। বলা হচ্ছে, কম করে হলেও ৬০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে এসব বিলবোর্ডের জন্য।
বিষয়টি পাকিস্তানের ‘লৌহমানব’ আইয়ুব খানের ‘উন্নয়ন দশকের’ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে—অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে যে দশকটি উদযাপন করার ক’দিনের ব্যবধানেই গণঅভ্যুত্থানের প্রচণ্ড চাপে আইয়ুব খানকে বিদায় নিতে হয়েছিল
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন