বিচারকদের এখনকার মানবতাবিরোধী রায়ের রেফারেন্স যদি ভবিষ্যতে টানা হয় তাহলে এই তিনজনের ফাঁসি নিশ্চিত।
লিখেছেন লিখেছেন পথিক মুসাফির ১৬ জুলাই, ২০১৩, ০৩:২২:০৮ দুপুর
~মানবতাবিরোধী অপরাধে সরাসরি কোন involvement না থাকার সুস্পষ্ট প্রমানের পরও শুধুমাত্র ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে supreme command responsibility বা অপরাধে নেতৃত্বের মিথ্যা অভিযোগ এনে সম্পুর্ন অন্যায়ভাবে গোলাম আজমকে ৯০ বছর কারাদন্ড দিল সরকারের আজ্ঞাবহ ট্রাইবুনাল।
আর এভাবেই আওয়ামী লীগের নিজের অজান্তেই তৈরী হল তাদের জন্য একটা মরনফাদ।আজ হোক , কাল হোক এই মরনফাদে একদিন তাদের অনেককেই পড়তেই হবে।
~~~তিনজন ব্যক্তির উদাহরন দিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,
জাহাঙ্গীর কবির নানক
এবং মির্জা আযম।
গত সংসদ নির্বাচনের আগে আন্দোলনের এক পর্যায়ে
আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কর্মী বাহিনীকে লগি বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আসার নির্দেশ দেন। তারি ধারাবাহিকতায় ২৮ শে অক্টোবর আওয়ামী কর্মীরা লগি বৈঠা দিয়ে সাপের মত পিটিয়ে মানুষ মারে। এর প্রমান এবং ভিডিও দুটোই আছে। এই ঘটনায় অপরাধ সংগঠনের নির্দেশদাতা হিসেবে supreme command responsibility সুনিশ্চিতভাবেই হাসিনার উপর বর্তাবে।
আবার একিভাবে নানক ও আজমের নির্দেশে যে হরতালে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারা হয়েছে তাও সত্য। আর এই সত্যটা সেনাবাহিনীর জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে স্বীকার করেছেন শেখ সেলিম,যার ভিডিও ইউটিউবে আছে। এখানেও পুড়িয়ে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে supreme command responsibility নানক ও আজমের উপর বর্তাবে।
তাই আজকের মানবতাবিরোধী রায়ের রেফারেন্স যদি ভবিষ্যতে টানা হয় তাহলে এই তিনজনের ফাঁসি নিশ্চিত।
মানুষ যখন ঔদ্ধত্য ও অহংকারে লিপ্ত থাকে তখন সে ভাল-মন্দের হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর ভুলে যায় তার ভবিষ্যত পরিণিতি। আর এভাবেই সে নিজের অজান্তেই তৈরী করে মরনফাদ যেখানে হয়তো তাদেরও একদিন পড়তে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন