প্রয়োজনীয় সবটাই প্রয়োগ করেও শেষ রক্ষা হলো না ।
লিখেছেন লিখেছেন পথিক মুসাফির ০৭ জুলাই, ২০১৩, ০৬:১৮:৫০ সন্ধ্যা
চারটি বড় ধরনের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সরকার একেবারে নাস্তানাবুদ হয়ে গেছে। রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা একযোগে শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছেন।
কোথায়ও কোথায়ও ভোটের ব্যবধান প্রায় লাখ ছুঁয়েছে। ওই চারটি সিটি করপোরেশনে ভোটারের সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে ১২ লাখের সামান্য কিছু বেশি।
কিন্তু গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটার সংখ্যা একাই ১০ লাখের ওপরে। ফলে এই নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে তাহলে বলতে পারবে ওই চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হারলেও জিসিসিতে জিতলে প্রমাণিত হবে যে, ভোটের এমন কোনো হেরফের হয়নি। ১০ লাখ ভোটারের সিটি করপোরেশনে তারা জয় লাভ করেছে। দাবিটি খুব সঙ্গত।
সারা দেশে গাজীপুর সিটি করপোরেশন (জিসিসি) নির্বাচন নিয়ে তোলপাড় চলছে। আওয়ামী লীগের জন্য যেন হঠাৎ করেই এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তাই এ নির্বাচন প্রভাবিত করার জন্য হেন কোনো কাণ্ড নেই যা সরকার করছে না। আর ঠুঁটো জগন্নাথ নির্বাচন কমিশন দু’চোখে ঠুলি পরে চুপচাপ বসে আছে। নির্বাচনের ফল আওয়ামী লীগের দিকে নেয়ার জন্য ৩৯২ জন রিটার্নিং অফিসারের সবই নিয়োগ দেয়া হয়েছে দলীয় লোকদের।
এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের ৯ জন প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকার সমর্থক পত্রিকার রিপোর্টেও বলা হয়েছে, প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্বে আছেন সাবেক ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতা। এসব অফিসারের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ১০১ জনকে, যার মধ্যে ৯০ জনই আওয়ামী লীগ নেতা। আর ভিন্ন ভিন্নভাবে মাঠে আছেন আওয়ামী লীগের অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয় নেতা ও ৭০ জন সংসদ সদস্য।
ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন মো: মজনু মিয়া। তিনি এখন গাজীপুরের নাম বদলকৃত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার। আর হাজী দানেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: শাহাদাত হোসেন ও টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য খাদ্যমন্ত্রীর ভাগ্নেও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার। তারা তিনজনই জিসিসি নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পেয়েছেন।
কালের কণ্ঠ পত্রিকা নিজস্ব অনুসন্ধানে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। অর্থাৎ জালভোট, কেন্দ্র দখল, বুথে আগুন, ব্যালট বাক্স ছিনতাই এমনি সব কূট আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এত কিছুর পরও ভোটারের মন গলেনি কোনোভাবে। এবং শেষ রক্ষা হলো না । জনবিচ্ছন্ন যাকে বলে । এদেরকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।
ইসলাম, ইসলামী ব্যক্তিত্ব, দাড়ি টুপির অপমান, বাতি বন্ধ করে রাতের আধারে নিরীহ আলেমদেরকে হত্যা,পবিত্র কুরআনের অবমাননা এবং সর্বোপরি সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে কটুক্তি কারীদের সাজা না দিয়ে তাদের পক্ষাবলম্বন করা ও সংসদে তাকে জাতীয় বীর ও শহীদ ঘোষণা করা বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা কোনমতেই মেনে নিতে পারেনি। আর যার সামান্যতম ঈমান আছে সে মেনে নিতে পারে না।
কিন্তু মিথ্যাবাদীদের এতেও কি টনক নড়বে না পুর্বের ন্যায় ইসলাম ও মুসলিমদের উৎখাতের চেষ্টাই করে যাবে?
বিষয়: বিবিধ
৯৪৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন