যে খবরে হতাশা এবং প্রত্যাশা ব্যক্ত হয় তেমনি একটি খবর!!
লিখেছেন লিখেছেন পথিক মুসাফির ০৭ জুন, ২০১৩, ১১:৪২:০৪ সকাল
বেশ কিছুদিন আগে এমন একটি খবর এসেছে যে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বৃটেন হবে মুসলিম প্রধান দেশ। সংবাদটি মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত সুখকর এবং পরম পাওয়ার এক মহা খুশীর।
গোটা ইউরোপ জুড়ে ইসলামের যে জাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে তাতে একথা নিশ্চিত করেই বলা যায় আগামীতে ইউরোপ তথা পশ্চিমা দেশ সমুহে ইসলাম যে ব্যাপক প্রসার পাবে তা বলাবাহুল্য।
এদিকে আমাদের দেশের দিকে নজর দিলে বিষয়টি উল্টো দেখি । আমরাতো ৯০% মুসলমান আছিই কিন্তু এই মুসলমানের দেশে কিছু নাস্তিক,মুশরিক, মুরতাদ ও মুনাফিক ধরনের মুসলমানদের দৌরাত্যে সরকার এখন তাদের পক্ষে চলে গেছে। অর্থাৎ এখন সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে ইসলামের সংকোচন নীতি, মুসলমান দমন নীতি।
যে দেশে কুরআনের আইনের বিকাশ হবার কথা সে দেশে চলছে কুরআন উৎখাতের অভিযান। মুসলমানের দেশে কুরআন পোড়ানোর সাহস দেখাচ্ছে সরকারের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু কুলাঙ্গার। রাসুল সাঃ কে অপমান গালাগালি করে অশ্রাব্য ভাষায় সোসাল মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়া এবং এমনকি ইলেকট্রনিক মিডিয়াতেও চলছে এমন কর্মকান্ড। সরকার এই কুলাঙ্গারদের ধরে জেলে আটকে রেখে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে এটাই সত্য কিন্তু তারাই তাদেরকে উসকানী দিতেছে। তাদেরকে শাস্তি না দিয়ে পুরুস্কৃত করছে। দেশে যারাই ইসলাম বিরোধী ও সন্ত্রাসের পক্ষে কাজ করছে সরকার তাদেরকেই সহায়তা করছে। যার জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে নাস্তিক্য ভাবধারা সংযোজন করেছে তাতে নতুন প্রজন্ম ইসলাম না জানার কারণে ইসলামের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে বাধ্য হবে কারণ তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করেছে এক রকম আর ইসলাম বলে অন্য রকম এই দ্বিধাদ্বন্দে তারা সঠিক পথ হারাবে এবং হারাচ্ছে ফলে অচিরেই আমরা এক বিভ্রান্ত জাতিতে পরিণত হব।
আমাদের সকলকে এর বিরুদ্ধে এক যোগে যে যেখানে যে অবস্থায় থাকি সে সেখানে সে অবস্থায় কলম ধরে হোক, বক্তৃতা দিয়ে হোক ঘরোয়াভাবে হোক মিছিল মিটিং করে হোক এই নাস্তিক্যবাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। তাহলে কাফের দেশে যেমন আগামী দশ বছরে মুসলমানদের প্রাধান্য পাবে তেমনি আমাদের দেশেও এই নাস্তিকদের যে দৌরাত্য তা ক্ষীন হয়ে আমাদের মুসলমানদের মর্যাদা ধরে রেখে ইসলামের প্রভাব বজায় রাখতে পারব ইনশা আল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১২৮২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন