এমন অবিকল সত্যটি এমন সুন্দর ভাবেই প্রকাশের প্রয়োজন ছিল ।

লিখেছেন লিখেছেন পথিক মুসাফির ০৪ জুন, ২০১৩, ১১:৩৫:১১ সকাল

বহু মানুষ শুধু মানসিক বিকলঙ্গতা নিয়ে জন্মায় না। জন্মের পর, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ডিগ্রি নিয়েও বহু মানুষ পাগল হয়। আওয়ামী লীগে এমন অপ্রকৃতস্থ পাগলের সংখ্যা কি কম; বরং এ আওয়ামী পাগলদের পাগলামিটা ভিন্ন মাত্রার। কোনো বদ্ধপাগলও কি কখনও বলবে, কিছু মানুষের ঝাঁকুনিতে একটি নয়তলা বিশাল বিল্ডিং ধসে পড়বে? অথচ যিনি বলেছেন, তিনি সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী এবং পিএইচডি ডিগ্রিধারী। আর তার নাম মহীউদ্দীন খান আলমগীর।

ডাকাত দলে একজনও সুস্থ মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না, তেমনি পাওয়া যাবে না আওয়ামী লীগেও। কারণ সুস্থ মানুষের সুস্থতার সবচেয়ে বড় গুণটি হলো ডাকাতিকে ঘৃণা করা। তাই ডাকাত দল গড়ে ওঠে শতভাগ অসুস্থ ও চরিত্রহীন মানুষ দিয়ে। এ অসুস্থতা দৈহিক নয়, বরং নৈতিক। তেমনি কোনো স্বৈরাচারী শাসকের দলেও কোনো সুস্থ ও চরিত্রবান মানুষ পাওয়া যায় না। মূর্তিপূজারি কাফেরদের মন্দিরে ঈমানদার খুঁজে পাওয়ার মতো সেটিও এক অচিন্তনীয় ব্যাপার। কারণ সুস্থ ও চরিত্রবান মানুষ দিয়ে তো আর ফ্যাসিবাদী দল গড়া যায় না এবং তাদের দিয়ে বাকশালি স্বৈরাচার ও হাজার হাজার মানুষ হত্যার নীতিকে সমর্থন করিয়ে নেয়া যায় না।

রাজনৈতিকভাবে নির্মূল হওয়ার ভীতি আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের মনে যে কতটা প্রকট, সেটিরই উত্কট প্রকাশ ঘটেছে গত ১৮/০৫/১৩ তারিখে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিকে’ দেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাতের একটি সাক্ষাত্কারে।

প্রশ্ন, ?



আবুল বারকাত লেখাপড়া করেছেন সোভিয়েত রাশিয়ায়। ভারতীয় লবির অতি কাছের লোক তিনি। ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী মহলের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ইসলামের বিরুদ্ধে আজ বিশ্বব্যাপী যে কোয়ালিশন, তার প্রায় সবার সঙ্গেই তার গভীর সম্পর্ক। চাকরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও তার আসল কাজটি অন্যত্র। গবেষণা ও ইভলিউশনের নামে তার একটি এনজিও আছে। সে এনজিও’র সূত্র ধরে তিনি প্রচুর অর্থ পান পশ্চিমা দাতা সংস্থাগুলো থেকে। সেই সঙ্গে আওয়ামী শাসনামলের অতিসুবিধাভোগী ব্যক্তিও। জনতা ব্যাংকের তিনি একজন কর্ণধার। আবুল বারকাতের মূল কাজটি হলো, বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের নির্মূলে অন্যদের উসকানি দেয়া। তার গবেষণা ও লেখালেখির বিষয় মূলত দুটি—এক. কী করে বাংলাদেশের মাটিতে হিন্দু ও হিন্দুস্থানের স্বার্থকে বৃদ্ধি করা যায়; দুই. কী করে বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেয়া যায়।

ইসলামের বিরুদ্ধে তার দুশমনি ও প্রতিহিংসার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ইসলামের শত্রুপক্ষের তিনি একজন প্রথম সারির সৈনিক। তার লড়াই বুদ্ধিবৃত্তির ময়দানে। তার কাছে শাহবাগের নাস্তিক ব্লগার ও আয়োজকরা হলো তার নিজের ভাষার আলোকিত সৈনিক।

ফলে তারা যে তার খুব কাছের লোক, সেটি তিনি গোপন রাখেননি। তার মেয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ইসলামের বিরুদ্ধে তার মতো তার মেয়ের আক্রোশও অধিক। সম্প্রতি তার মেয়ে সে আক্রোশের প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন সপ্তাহের আর সব দিন বাদ দিয়ে জুমার নামাজের সময় ছাত্রদের পরীক্ষার আয়োজন করে। অবশেষে ছাত্রদের প্রতিবাদের মুখে তার সে ষড়যন্ত্র বানচাল হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশকে তারা যে কোন দিকে নিতে চান—সেটি কি এর পরও গোপন থাকে?

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৪১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File