বাংলাদেশের নব্য জগৎশেঠদের বলছি
লিখেছেন লিখেছেন আওয়াজ ২৪ মার্চ, ২০১৩, ০৩:১৪:২৩ দুপুর
১৭৫৭ সালে পলাশীর আম্রকাননে বাংলার শেষ নবাব সিরাদ্দৌলার মসনতচ্যুতির মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতার যে লাল সূর্য্য অস্তমিত হয়েছিল তার পেছনে ছিল ইতিহাস ধিকৃত মীর জাফর ও তার দোসর জগৎশেঠদের ঘৃনীত ভুমিকা ৷ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় এই জগৎশেঠরাই সেদিন দেশপ্রেমিক নবাব সিরাজদ্দৌলাকে উৎখাতের ষড়যন্তে অর্থ সরবরাহ করতো ৷আজকে কেন যেন মনে হয় বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃনধ জগৎশেঠদের ভুমিকায় নেমেছেন ৷শুধু পার্থক্য,সেদিন জগৎশেঠরা ভুমিকা রেখেছেন ক্ষমতাসীন দেশপ্রেমিক নবাবকে মসনতচু্ত্য করতে,আজ আমাদের এই নব্য জগৎশেঠরুপী বনিক শ্রেণীরা ভুমিকা রাখছেন বর্তমান ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী হাছিনা সরকারকে মসনদে টিকিয়ে রাখতে ৷বাংলাদেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃনধ-- এই প্রত্যয়টি আমি সামান্য অর্থে ব্যবহার করিনি,করেছি বিশেষ অর্থে অর্থাত যারা সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে বৃহৎ স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে হরহামেশাই সরকারের চামচামী করে নিজেদের আখের গোছাচ্চেন তাদেরকে ৷বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের শান্তিপ্রিয় কর্মসূচীতে ম খা আলমগীরের পুলিশবাহিনী যখন হায়নার মত ঝাপিয়ে পড়ে তাদের আহত করে,রক্তাক্ত করে এমনকি নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে তখন এই আজব শ্রেনীর ব্যবসায়ী মানুষগুলি চুপ করে বসে থাকেন ।ইলিয়াস আলীর মতো রাজনীতিবিদ যখন সরকারী বাহিনী কর্তৃক নিখোঁজ হন তখনো এরা মুখ খোলেন না,রাজনৈতিক সকল শিষ্টাচার পায়ে মাড়িয়ে সরকার প্রধান বিরোধীদলের মহাসচিব সহ সিনিয়র নেতাদের যখন হাস্যকর মামলার অজুহাতে গ্রেফতার করে দিনের পর দিন জেলখানায় বন্দি করে রাখেন তখনো এরা এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন না ৷ এরা মিডিয়ার সামনে এসে তখনো সরকারের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ জানানা যখন সরকারের নির্দেশে ম খার পুলিশ বাহিনী প্রধান বিরোধীদলের কেন্দ্রীয় অফিসে হাতুড়ি শাবল চালিয়ে গনগ্রেফতারের নাটক মঞ্চায়িত করে কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের ডান্ডাভেরী পড়ানো হয় ৷ এরা লজ্জার মাথা খেয়ে তখনো চুপ থাকেন যখন রাজপথে বিরোধীদলের চিপ হুইপ পুলিশ দ্বারা শারীরিক ভাবে নির্যাতিত হন ৷এরা কখন সরব হন --- যখন বিরোধীদল নিরোপায় হয়ে রাজনীতির শেষ হাতিয়ার হিসাবে হরতাল আহ্ববান করেন ৷এই নব্য গোষ্ঠীদের বলছি জগৎশেঠদের পথ থেকে ফিরে এসে জনতার কাতারে দাঁড়ান নয়লে ইতিহাস আপনাদের কোনদিন ক্ষমা করবে না ৷
বিষয়: বিবিধ
১০৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন