হে আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত দান কর।
লিখেছেন লিখেছেন শান্তি চাই ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৬:৪৯:১৩ সন্ধ্যা
আজ সকাল বেলা আমি আমার এক বন্দুর অফিসে যাই,সেখানে আমাদের লাইনের একজন ব্যবসায়ী আগে থেকে উপস্থিত ছিলেন।তার বাংলাদেশ ও দুবাইতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।অফিসে প্রবেশের সাথে সাথে আমার বন্দু তার সাথে পরিচয় করে দিল।সালাম কলামের মাধ্যমে সৌজন্য কথাবার্তা শেষ হলো।এক পর্যায় আমার বন্দুটি আমাকে জিজ্ঞাসা করল আপনার মনে হয় মন খারাপ।আমি উত্তরে বল্লাম মাহমুদুর রহমান সাহেবকে গ্রেপ্তারের খবর পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেছে।
আমার বন্দুটি বলল কখন গ্রেপ্তার হয়েছে।আমি বল্লাম এইতো একটু আগে।আমার মুখের কথা শেষ না হতেই সে বল্ল জানিনা দেশটায় কি হতে চলছে।আমাদের পাশে বসা দুবাইয়ের ব্যবসায়ী বলে উঠল ভালো হয়েছে "যত গন্ডোগেলের মুল মাহমুদুর রহমান"।আমি ওনার কথা শুনে হতভম্ব হয়ে গেলাম।
আমি বলে উঠলাম বাদ দেন এ সব ,আমরা ব্যবসার কথা বলি।এর ভিতরে চা নাস্তার ব্যবস্থা হল।ইতো মধ্যে আমাদের আর দু জন ব্যবসায়ী বন্দু হাজির হল।এর মধ্যে একজন মাহমুদুর রহমান সাহেবের বেশী ভক্ত।আর একজন ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগ করলেও বর্তমানে আওয়ামিলীগের কর্মকান্ডের কারনে আর আওয়ামিলীগ পছ্ন্দ করে না।কিন্তু সে বঙ্গবন্দুর ভক্ত। এ বাপারে আমি তাকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম তুমি লীগ ছেড়েছ কিন্তু বঙ্গবন্দুর ভক্ত এর কারন কি।উত্তরে সে বলল এখন আর বঙ্গবন্দুর আওয়ামিলীগ নাই। আওয়ামিলীগে এখন নাস্তিকের যায়গা বেশী।আমরা সবাই বসে চা খাওয়া সেরে নিলাম।হঠাৎ করে দুবাইয়ের ব্যবসায়ী বন্দুটি বলে উঠল "দেশের কট্টর হুজুররা যা শুরু করেছে তাতে আমাদের ব্যবসা বন্দ হয়ে যাবে"।আমি জানতে চাইলাম কেন?
সে উত্তরে বলল হেফাজতের ১৩ দফা দাবিতে যা বলছে তাতে মেয়েরা গার্মেন্টস এ কাজ করতে পারবেনা,রাস্তায় চলা ফেরা করতে পারবে না,তাদের কোমরে আলকাতরা লাগানো হবে ইত্যাদি ইত্যাদি।আমি তাকে চ্যালেন্জ করে বললাম হেফাজতের ১৩ দফা দাবিতে এমন কিছু নাই।বরং লেখা আছে প্রকাশ্যে ব্যবিচার বন্দের ও নারীদের অবাদ বিচরন নিষিদ্ধের আইন করতে হবে।সে আমাকে জানতে চাইল অবাদ বিচরন বলতে কি বুঝানো হয়েছে।তখন আমার আর এক বন্দু বলল আপনি ঢাকার টি,এস,সি তে গেলে অবাদ বিচরন কি দেখতে পারবেন।তখন সে রেগে মেঘে বলল ইসলামে কি প্রেম করা নাজায়েজ? এর সাথে আরো অনেক কথা বলে ফেলল যা আর লেখা সম্ভব হল না।
আমি ঢাকাতে তেমন যাই নাই,লেখা পড়াও তেমন করি নাই। কিছু দিন আগে আমি ব্যবসায়িক কাজে এখানে উপস্থিত এক বন্দুর সাথে ঢাকা যাই।সে বন্দুটি অনেক লেখাপড়া করেছে । রাত্রে আমাকে বলল চলেন টি.এস.সি তে যাই ও খানে আমার অনেক বন্দু আছে তাদের সাথে দেখা হবে।আমি তার সাথে চলে গেলাম এবং সেখানে যা দেখলাম তা হয়ত আর লেখার প্রয়োজন পরে না। আসার সময় আমার বন্দুটি আমাকে বলল চলেন হেটে হেটে যাই তা হলে আপনার আরো অনেক অভিজ্ঞতা হবে।হাটতে হাটতে একটা যায়গায় এসে একটা লেখা চোখে পড়ল "এ খানে স্কুল কেলেজের পোশাকে আপ্ত্তি কর অবস্থান নিষেদ"।আমি বার বার আমি লেখাটা পড়লাম।এখান থেকে আমি যা বুঝলাম তা হল স্কুল কেলেজের পোশাক ছাড়া অন্য পোশাকে আপত্তি কর অবস্থানে বাধা নেই এবং এ অবস্থান অনুমোধিত।আমি ঐ ব্যবসায়ীকে এ ঘটনাটাও বললাম আর বললাম এটা প্রকাশ্যে অবাদ বিচরন।সে বলল এটা অন্যায় হবে কেন ? একজন একজনকে ভাল বেসে জড়িয়ে ধরতে পারে এটা অন্যায়ের কি?আমরা আর কথা না বাড়িয়ে ও খান থেকে চলে এলাম।
নিতি নৈতিকতা বলতে তো একটা কথা আছে।মানুষ ভুলে না যেনে অন্যায় করতে পারে তাই বলে কি আপত্তিকর অনস্থানকে লিখিত ভাবে অনুমোধন দেওয়া যায়? এমুহুর্তে আমাদের আল্লাহর হেদায়েত অত্যন্ত প্রয়োজন।তাই আমি আল্লাহর কাছে হেদায়েতের জন্য প্রাথনা করছি।হে আল্লাহ তুমি আমাদের হেদায়েত দান কর।
বিষয়: বিবিধ
১২৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন