জিয়ার প্রশাসনিক দক্ষতা ও সাংগঠনিক দূরদর্শিতা - পর্ব ১
লিখেছেন লিখেছেন বিমুগ্ধ রজনী ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১১:৫৫:৩৩ রাত
দেশনেতা একদিন আলাপকালে বলেছিলেন, “আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের সংকট ও সম্ভাবনা সমর্পকে আমার ধারণা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ঔপনিবেশিক আমলের অনেক অব্যবস্থা ও অনৈতিক জটিলতা সব স্বাভাবিক উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা। সঠিক স্থানে সঠিক মানুষ উপস্থাপন বা যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব। আমি প্রতিদিন মাঠ থেকে বাস্তব ঞ্জান নিচ্ছি শিক্ষানবিসের মতো। অভিজ্ঞতা প্রতিদিন আমার বাড়ছে। সত্যি বলতে কি, আমাদের প্রশাসন ও উৎপাদনের বিভিন্ন সেক্টরে মন্ত্রী, সচিব, নেতা বা আমলার কোন প্রয়োজন নেই। সব কিছু সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য প্রতিটি সেক্টরে প্রয়োজন দক্ষ ম্যানেজার বা ভালো ব্যবস্থাপক। ধীরে ধীরে আমাদের এ বাস্তবতার দিকেই এগুতে হবে”।
জটিল আমলাতান্ত্রিক ফাইল ওয়ার্ক ও লাল ফিতার দৌরাত্ব বন্ধের জন্য তিনি প্রশাসনিক সংস্কার ও প্রশাসন আধুনিকায়নের ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছিলেন। জনগণের ভোগান্তি কমাতে এবং প্রশাসনিক কাঠামো সেবা নন্দিত করতে তিনি ফাইল ওয়ার্ক সংক্ষেপ এবং স্পট ডিসিশন দেয়ার ব্যবস্থা করতে একটা ছকও তৈরি করেছিলেন। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মূল রূপরেখা দেশনেতা জিয়ার। গণচীনে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরের পর দেশ নেতা জিয়ার চোখ খুলে যায় গতিশীল প্রশাসনের চীনা ছক দেখে।
প্রেসিডেন্ট জিয়া সম্পর্কে লিখতে গিয়ে আরো অনেক কিছু মনে পড়ছে। বিভিন্ন সভা- সভাবেশ ও জনসংযোগে তিনি বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য তাৎক্ষনিক নোট নিতে একান্ত সচিব এবং এডিসিদের বলতেন। তিনি নিজেও অনেক স্পট কমিটমেন্ট করতেন ও তা স্বল্প সময়ে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতেন। বিএনপির তৎকালীন প্রথম কাতারের প্রভাবশালী সংগঠক ও উপপ্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুওদুদ আহমদকে ‘ইস্ট ওয়েস্ট ইন্টার কানেকটর’ প্রকল্পে অনিয়ম ও অস্বচ্ছতার একটি ঘটনার কারনে তাতক্ষিক বরখাস্ত করেন। সেদিন তিনি হাতের কাছের ইংরেজী খবরের কাগজ অবজারভারের উপরের দিকের সাদা কোনা ছিঁড়ে লিখেছিলেন – ‘কেবিনেট সচিব, উপপ্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুওদুদ আহমদকে বরখাস্ত করা হল। নির্দেশ জারি করুন --- জিয়া’। এর উপর তাৎক্ষণিক ভাবে নির্দেশ জারি হয়েছিলো। এটাও স্পট ডিসিশনের মতোই ঘটনা।
তথ্য সূত্রঃ দেশনেতা জিয়াকে দেখেছি--- আহমেদ মীর্জা খবির
বিষয়: রাজনীতি
২৩৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন