হাওয়ার সাথে শত্রুতা!!

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০৩ আগস্ট, ২০১৭, ০৯:১৭:৪৬ সকাল



হজরত আলী রা: বুকে চড়ে বসলেন এক শত্রুর ! এখনই তলোয়ার চালাবেন শত্রুর বুকে!! ঠিক সেই মূহূর্তেই শত্রু তার ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ করতে তুতু নিক্ষেপ করলেন আলী রা: মুখে!! সাথে সাথেই আলী রা: তাকে ছেড়ে দিলেন! কি অবাক কান্ড!!যেইখানে আরো তিব্র বেগে আঘাত করে শত্রুর মাথা দিখন্ডিত করার কথা সেইখানে সম্পূর্ণ মুক্তি!!

শত্রু ও কম যায়না! সে ও মুক্তি পেয়ে দৌঁড়ে পালায় না! যে শত্রু মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জীবন ভিক্ষা না চেয়ে শত্রুর মুখে তুতু নিক্ষেপের মত মানষিক ক্ষমতা রাখে! সে ফিজিক্যালী ধরাশায়ী হলেও সে আদর্শিক চিন্তার দিক দিয়ে অনেক অনেক শক্তিশালী!

আর যিনি চরম ক্ষোভের মূহুর্তে ও নিজেকে সংযত রাখতে পারেন তার আদর্শ কিংবা চিন্তার ফরহেজগারী সমুন্নত রাখতে তার আদর্শ অনেক অনেক উন্নত সেটা বুঝতে ও শত্রুর সময় লাগেনি!!

প্রাণের শত্রু জিজ্ঞাসা করে আমাকে হত্যা থেকে বিরত হলে কেন?

আলী রাঃ উত্তর দেন তোমার সাথে আমার শত্রুতা আদর্শের, ব্যক্তিগত নয়! আমাকে তুতু নিক্ষেপের পর আমার ব্যক্তিগত জিগাংসা জেগে উঠেছে , তোমাকে হত্যা করলে আমার মনের খায়েশ পূর্ণ হত! আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিল হত না !!

সাথে সাথেই শত্রু ও বুঝে নিল এটি আমার আরাধ্য তাই কাল বিলম্ব না করেই পড়ে নিলেন কাল জয়ী আদর্শের কালেমা লা ইলাহা ইল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।।

কারণ এইখানে মূল বিষয় হল আদর্শের দ্বন্দ্ব..........

ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই মুর্ত বিমুর্ত দ্বন্দ্ব মাথার ভিতরে কিলবিল করছে! সেটা কি অসুস্থতা জনিত কারণে নাকি দার্শনিকদের নিয়ে ভাবনার কারণে জানিনা!

চিন্তা করছিলাম শিরোনাম দিব কি? "মূর্ত- বিমূর্ত দ্বন্দ্ব ও আমার ভাবনা! নাকি লিখবো হাওয়ার সাথে শত্রুতা!!

যা হোক সংক্ষেপে কথা হলো আমরা যে মারামারি করি ফিজিক্যালী তার প্রতিক্রিয়া তো স্পষ্ট তা খালি চোখে দেখা যায়, আহত হলে সেরে ও যায় দ্রুত!! কিন্তু আপনাকে ফিজিক্যালী মারার আগে বা তারও বহু আগে যে আপনাকে মারার বিমূর্ত কল্পনায় শত্রু যে শক্তি সঞ্চয় করে ফিজিক্যালী মারার! সেই বিমূর্ত চিন্তার বিকাশ হওয়ার পূর্বেই তার চিকিৎসা জরুরী!!

তার মানে হল একটি জন গোস্টির মাইন্ড সেট যদি আপনি পরিবর্তন করতে না পারেন তবে আপনি আপনার শত্রু আজীবনের জন্যে পুশে রাখলেন! সুপ্ত ব্যাকটেরিয়ার ন্যায় সে উপযুক্ত পরিবেশ পেলেই আপনাকে আক্রমণ করে বসবে! এই জন্যেই বিমূর্ত চিন্তার পরিশুদ্ধির প্রয়োজন সব কিছুর আগেই। যা মুসলমানদের হওয়া উচিৎ কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির মানসেই .....অর্থাৎ কাজের বাস্তব সাক্ষ্য হয়ে ,যে আদর্শ প্রচার করেন তার বাস্তব নমুনা হয়ে, দাওয়াতের মাধ্যমে একটি জন গোষ্টির মানসিকতার পরিবর্তন সবচেয়ে বেশী জরুরী। সেটি বিজয়ী অবস্থায় হোক কিংবা পরাজিত অবস্থায় হোক।।

বিষয়: বিবিধ

১২৬৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

383713
০৪ আগস্ট ২০১৭ রাত ০৪:৫০
আকবার১ লিখেছেন : চমৎকার ,
383715
০৪ আগস্ট ২০১৭ দুপুর ০৩:৫৭
হতভাগা লিখেছেন : হিজাব পরিহিতা দ্বীনি আপুজির ছবিটা দেখেই পোস্টে ঢুকলাম । আপনার পোস্ট সার্থক হয়েছে ।
385791
২০ আগস্ট ২০১৮ সকাল ১০:৫৩
আবু নাইম লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File