ভালবাসা কারে কয়?

লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০২ মে, ২০১৭, ০৭:৫০:৩১ সন্ধ্যা

সকালে অফিসের গাড়ীতে আসতে আসতে ভাবতে ছিলাম মে দিবসের রোজ নামছা লিখলে কেমন হয়?

আত্ন-প্রচারনা হয় ? লাইফ রিক্স হয়ে যায়? আমল নষ্ট হয়ে? খোদার খাতায় শুন্য উঠে যায়? আর ও কত কি ?

আচ্ছা লিখলে কি শিরুনাম দেওয়া যায় ?

আমার দেখা মে দিবস! নাকি কেমনে কাটে দিবস ও রজনী !নাকি ভালবাসা কারে কয়? সবকিছুতে কেমন যেন রবীন্দ্র দার গন্ধ !!

আসলে কি লিখা হবে নির্ভয়ে আমার কাটানো দিন গুলোর বর্ণনা?? বাংলাদেশে কি মানুষের সেই স্বাধীনতা আছে? নাকি আছে নিরাপত্তা??

আগের দিন রাতে মে দিবসের র্যা লীর দাওয়াত দিতে রিক্সা গ্যারেজে গিয়ে দেখি মিলাদ চলছে,কিয়াম হচ্ছে, হল আল্লাহ আল্লাহ জিকির মাথা ঝাকিয়ে বাকিয়ে কন্ঠ উচু নিচু নামিয়ে,সমাপ্তিতে মোনাজাতের আগে আমকে কথা বলার চান্স ও দিল পূর্ব পরিচিতির কারনে ও তাদের সুখে দূঃখে পাশে দাড়ানোর কারণে , রিক্সা ওয়ালাদের পাইলেই আমি একটা কমন ওয়াজ করি আর সেইটাই বললাম...

ভাই গরীবের জন্য যে বেহেস্থ , বড় লোকের জন্য ও একই বেহেস্থ । যারা টাকা পয়সা ওয়ালা, যাদের অধীনে অনেক কর্মচারী আছে তাদের আল্লাহর কাছে জবাব দিহিতা বেশী ।

আপনি তো কেবল রিক্সা চালান আপনার তো আল্লাহর কাছে হিসাব নিকাশ কম , আপনি যদি বৌকে না কিলান! গালী না দেন! অন্তঃত ফরজ ওয়াজিব হালাল হারাম মেনে চলেন , তাহলে তো আপনি খুব সহজেই জান্নাতে চইলা যাইতে পারেন আল্লাহ্‌রে খুশি কইরা । আল্লাহ তো আপনার কষ্ট বুঝেন।

আর হ্যা আপনি রিক্সা রেখে নামাজ পড়তে ভয় পান রিক্সা চুরি হওয়ার তাই না ?

তো আপনি একটা কাজ করতে পারেন , আপনার সিটের নিচে তো অনেক খালি যায়গা আছে, ওখানে একটা দুই লিটার পানির বোতল রাখতে পারেন,রাখতে পারেন একটা গামছা । রিক্সা সামনে রেখে বা রিক্সায় বসে হলে ও অন্তঃত ফরজ টুকু আদায় করতে পারেন! কি বলেন ভাই??? গ্যারেজ মালিকের নাম কবির ভান্ডারী, সেই এই মিলাদের আয়োজন করে প্রতিমাসের শেষ রবিবারে।

সবার মাঝে ধর্মীয় আবেগ প্রবল দেখলাম। সাথে যারা সহযোগীতা করে তারা স্থানীয় চেয়ারম্যানের ১৩৫ গোন্ডা বাহিনীর একজন পরিচয় দিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে । বলে কি আমাদের রাত নেই দিন নেই যখনই ডাকে আমরা হাজীর । ভালমন্দ বুঝি না , মাসে ২০০০০ টাকা ত আর বসে বসে এমনে দেয় না!!

তাদের রান্না করা বিরানী খুবই আন্তরিকতার সাথে রিক্সা ওয়ালাদের সাথে একই পাত্রে খেলাম ।

মিলাদ শেষ হতে না হতেই প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি ! বসে বসে শরীয়ত মারেপতের আলোচনা । সে নাকি টাইটেল পাস করা , কোন মসজিদের ঈমাম ছিল সে । এখন কিভাবে সে মারেফাতের নামে অন্ধকার গলিতে কিভাবে আসে সে আমারে বুঝাতে চায় রহস্য তৈরী করে । এই সময়ে রেল লাইনের ধারে রিক্সা গ্যারেজে রাত ১১ঃ৩০ টা গা চমচম করত অন্য সময় হলে । এখন ক্যামনে যে তাদের সাথে কাটাই দ্বায়িত্বর কাতিরে , জীবনের মায়া ভূলে , আবেগের অতিশয্যে !!

মনে পড়ে যায় আমার ভার্সিটির নোবেল জয়ী ড. ইউনুস স্যারের কথা ,তিনি জোবরা গ্রামে তেভাগা মোড়ে রিক্সা ওয়ালাদের সাথে মিশে তাস খেলে খেলে মাইক্রো ক্রেডিটের প্রজেক্ট হাতে নিয়ে সফল হন । এবং নোবেল পান , যদি ও সুদী কারবার তবুও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তো নিশ্চয় । আর আমরা তো আল্লাহকে খুশি করার জন্য কাজ করি , আমাদের জন্য তো সবার সাথে মিশা কোন ব্যপার হওয়ার কথা নয়! শুনেছি শহীদ হাসানুল বান্না মদ জোয়ার আসরে গিয়ে ও দাওয়াতী কাজ করতেন! আর আমাদের প্রিয় রাসুল (সাঃ) তো ৩৬০ মূর্তি থাকা স্বত্বেও কাবার আঙিনায় সালাত আদায় করেছেন । ওকাজ মেলায় গিয়ে দাওয়াত দিয়েছেন ! আর আমরা কোন চ্যাঁই !!

ঘরে আসি অনেক রাত্রে সকালে উঠতেই কষ্ট , তবু ও জামায়াতে ফজরের নামাজ পড়েই বের হয়ে পড়লাম এক ভাইকে নিয়ে । পরিচিত এক মোয়াজ্জিন কে কল করলে তিনি অসুস্থ বলে জানালেন , বললাম ভাই আপনাকে দেখতে আসতেছি আপনি একটু বাহির হন । গেলাম সরকার বিনা কারণেই বস্থী গুলো ভেঙ্গে দিয়েছে । মানুষের মৌলিক অধিকার বাসস্থান, তারা কষ্টে শিষ্টে কোন রকম পতিত জমিত মাথা গোঁজার ঠাই বানান , আর সরকার বাহাদুর দুষ্ট লোকদের পরিচালনায় তা ভেঙ্গে গুড়ূ করে দিয়ে তার ক্ষমতার প্রকাশ ঘঠান!!

ওই বস্থিতে বেশ কয় বছর পূর্বেই গরীব অসহায়দের পানি খাওয়ার জন্য একটি সাব মার্সিবলের ব্যাবস্থা করে ছিলাম। সেটি এখন আওয়ামী পান্ডার বাণিজ্যিক অবলম্বন ,তিনি অসহায় লোকদের কাছে পানি বিক্রি করেন, আমাদের বিনা মুল্যের টিউবওয়েল থেকে ।

একভাইকে কল দিচ্ছিলাম অনেক্ষন ধরে ,রিসিভ হচ্ছে না দেখে উনার বাসায় গেলাম, নাম তার যেমন রফিক তেমনি গরীবের বন্ধু ! কয় বছর আগে রমজানে বস্তিতে ইফতার সামগ্রী দিতে গিয়ে গ্রেফতার হন । ভাবী ৪০ হাজার টাকার গহনা বিক্রি করে তার মুক্তির জন্য অসহায় অবস্থায় আওয়ামী পান্ডাদের হাতে টাকা তুলে দেন ,লক্ষ টাকার ইফতার সামগ্রী পুলিশ দিয়ে লোট করায়! যেমন শুনেছি মুক্তি বাহিনী করত!!

যা উনাকে পেয়ে বুকে জড়িয়ে ধরি ! কৌশলাদী বিনিময়ের পর র্যা লীর দাওয়াত দিই !রাজি হয় এবং অংশ গ্রহণ ও করেন । বস্তী থেকে বাহীর হতে না হতেই হাজী রুহুল আমিন ভাই অনেক দূর থেকে এসে পড়েন পরে ওই বস্তির দ্বায়িত্ব উনার হাউলা করে দিয়ে অন্য স্পটে চলে যাই , এইভাবে ১২- ১৩ টি স্পটে গণ সংযোগ করে, লিপলেট বিতরণ করে ,শ্রমিকের অধিকার নিয়ে কথা বলে বলে র্যাদলীর দাওয়াত দিই। ঐ দিকে শ্রমিকদের জন্য অর্ডার করা নাস্তার জন্য প্রিয় মিজান ভাইকে পাঠাই। আমি আর মেহেদী ভাই রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি।, যেখানেই শ্রমিকদের জটলা সেইখানেই সেই খানেই আমাদের দাওয়াত ও প্রচারনা । সকাল আটটা স্পটে মাত্র তিনজন , সবার আসার কথা ৭ঃ৩০ টা থেকে ৮ঃ০০ টার মধ্যে , বেহাল অবস্থা একে কল দিই , ওকে কল দিই কেউ ধরে তো বেশীর ভাগই ধরে না । অনেকে স্পট ভাল বুঝতে পারেনি । অনেকে আমাকে স্পটে না দেখে চলে গেছে। আমি তো আছি দৌড়ের উপর! আমার অনুপস্থিতে অনেকে এজতিহাদ করে কাউকে কাউকে পাটিয়ে দেন র্যা।লীর জন্য নির্ধারিত স্থানে । সময় এখন আমাদের প্রতিকুলে , ভালকথা বললেই জামাত শিবির । পুলিশ ভ্যান চলে এসেছে আমাদের স্পটে । অজনা শঙ্কা অনেকের মনে । থানা আমীর এওতক্ষন ছিলেন ছায়ার মত । তিনি ও চলে গেলেন। এইভাবেই এক সময় আমাদের সকালের নাস্তার সত্তর প্যাকেট শেষ হয়ে যায়। আলহামদুলিল্লাহ ১০০ টার্গেট থাকলে ও এই দুঃসময়ে ছোট্ট থানায় ৭০ জন পাওয়া গেল । অনেক রিক্সা ওয়ালা ও বাসা বাড়ির দারোয়ান এসেছেন শ্রমিকদের র্যা লীতে অংশগ্রহণ করার জন্য । একভাই কল দিলেন দক্ষিণ খানের গাড়ীতে যেতে পারেন আপনারা তাদের গাড়ী খালী আছে , না চাইতেই পাওয়া ! আমরা চলে গেলাম নির্দিষ্ট স্পটে নির্দিষ্ট সময়ে ! যাওয়ার সাথে সাথেই মিছিল শুরু । দুনিয়ার মজদুর এক হও ,লড়াই কর! মিছিলে কিছুটা গ্যাপ পরিলক্ষিত হয় নির্দেশনার অভাবে । কেউ অন্যদের মিছিলকে নিজেদের মিছিল মনে করে তাদের সাথে মিশে চলে যায় । শ্রমিক ফাংশান এমনি , এ তেমন ব্যাপার না । মিছিল যেখানে শেষ করা হয় সেখানে প্রচুর ডিবি পুলিশ! অবৈধ সরকার হলে তারা সবসময় আতংকে থাকে । আমরা এখন আর ভয় পাই না । মৃত্যু এদেশে ছেলে খেলা , সব অন্যায়ই গা সওয়া হয়ে গেছে । ভাবছিলাম , যারা মরে যায় তাদের ও মা বাবা ভাই বোন স্ত্রী পরিজন থাকে তাদের ভাবনা কয়জনে ভাবে? আমি ও যদি মরে যাই আমাকে কি এই দুনিয়ার মানুষ মনে রাখবে? পরক্ষনেই ভাবী আমরা তো আল্লাহকে খুশি করার জন্য কাজ করি, আমাদের প্রভু আমাদের ক্ষমা করলেই চলবে।

আসার পথেই কল দিলেন আলমগীর ভাই ! ভাই আমি তো আপনার সামনের গাড়িতেই আমাদের শ্রমিকদের নিয়ে কখন করবেন?মাহফুজ ভাইকে সাথে নিয়ে ফিরছিলাম ।মোটর সাইকেল জোরে টেনে বিমান বন্দরের সিগন্যালে আমাদের লোকজনের বহন করা গাড়ীতে মাহফুজ ভাইকে তুলে দিয়ে আলমগীর ভাইকে আমার সাথে পাঠিয়ে দিতে বললাম। পরে দেখি ওই গাড়ীতে আলমগির ভাই নেই ! সিগন্যাল পার হতেই দেখি ! ৫-৭টা পিকাপে লাল ফিতা বাঁধা শ্রমিকরা মিছিল দিচ্ছে! আমি প্রত্যেকটা গাড়ীর সাথে কিছুক্ষণ করে শ্লোগান ধরি মোটর সাইকেল গাড়ীর সাথে চালিয়ে । সবাই উতপুল্ল হয়ে আমার সাথে শ্লোগান ধরেন ,শ্রমিকরা এমনই হঠাত নরম হঠাত গরম, কয়টা শ্লোগান দেওয়াতেই তারা খুশী ! সকালে অর্ডার করা নাস্তার টাকা দিতে আমি একটু জুরে ড্রাইভ করে হোটেলের কাছাকাছি আসতেই দেখি শ্রমিকরা নেমে হোটেল খোলা রাখার অপরাধে দোখান ভাঙচুর করে। হিমালয় নামের হোটেল ভাঙ্গছিল তখন । আমার গায়ে ও ইট পাটকেল পড়তে পারত তবু ও হোটেল ম্যানেজারকে সেইফ করার চেষ্টা করলাম। এতিমধ্যেই মাথা ফেটে দিয়েছে । দৌড়ায়ে দৌড়ায়ে পিঠাচ্ছে শ্রমিকরা , যেন ছাত্রলীগ শিবির ভেবে বিশ্বজিতকে পিঠাচ্ছে ।মায়া লাগল শ্রমিকের সাথে সাথে গিয়ে তাদের থামালাম , ম্যানেজারকে বললাম ঐ বিল্ডিঙয়ের সিঁড়ি বেয়ে দৌতলায় উঠে যান । আমি ভঁয়ে ছিলাম উভয় দিক থেকে শ্রমিকরা অথবা মালিকরা উভয় দিক থেকে ফেঁসে যেতে পারতাম । যাক শ্রমিকরা তো ছত্রলীগ না যে বিশ্বজিতের মত মেরে ফেলবে? একটু আগের মিছিল দিয়ে তৈরী করা সম্পর্ক এত তারাতাড়ি কাজে লাগবে ভাবিনাই। ইতি মধ্যে তারা বনফুল বেকারীতে ও হামলা করল তারা । আমি তাদের নেতাকে বুঝালাম আপনি গাড়ি থামাবেন না । মালিক তো আর দোখানের সাঁটার বন্ধ করে না ,এটি করে তো আমার আপনার ভাই শ্রমিক তারে মারলে তো নিজেদেরই মারা হয়! সে বুঝল ! আর ভাঙচুর করতে দেখলাম না !

এদিকে শ্রমিকদের জন্য আয়োজিত ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং মেডিক্যাল চেকাপ করার কথা শ্রমিকদের! দুইবার গেলাম মেডিক্যালে ডাক্তার পেলাম না !

অবশেষে ৪ নং সেক্টরে সকাল 11:00 টায় দুইটি স্পটে সাধারণ শ্রমিকদের নিয়ে ফল চক্র করা হয়। সকাল 11:45 এ আট নং সেক্টর এ বস্তির 50 জন শিশু নিয়ে শিশুশ্রম বন্ধ কর তাদের ও পড়াশোনার অধিকার রয়েছে এই বিষয়ে আলোচনা শেষে তাদের মাঝে নাস্তা বিতরণ করা হয়। এবং প্রায় একই সময়ে আট নং সেক্টর ভ্যান চালকদের নিয়ে ফল চক্র করা দুপুর 2 টায় 6 নং সেক্টর জয়নাল মার্কেট রিক্সা স্ট্যান্ড. এ রিক্সা শ্রমিকদের নিয়ে ফল চক্র ও আলোচনা অনুষ্ঠান করা হয়। বিকাল 3:00 টায় 6 নং সেক্টর 10 no রোড এ প্রায় 30 জন নির্মাণ শ্রমিক নিয়ে ইসলামী শ্রমনীতি ও শ্রমিকের অধিকার নিয়ে আলোচনা শেষে ফল ফলাদি বিতরণ করা হয়। সন্ধ্যা 7:00 সেক্টর কল্যাণ সমিতির প্রায় 37 জন গার্ডদের নিয়ে ইসলামী শ্রমনীতির উপর আলোচনা রাখেন ঢাকা মহানগরী সভাপতি জনাব লস্কর তাসনিম আলম। আলোচনা শেষে বিরানীর প্যাকেট বিতরণ করা হয়। রাত আটটায় গৃহকর্মী সমাবেশে ও সন্মানিত মেহমান আলোচনা রাখেন ও তাদের মাঝে ও খাবার বিতরণ করা হয়। মহিলা বিভাগ ও অনুরূপ আয়োজন করেন। রাত নয়টায় মসজিদের পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও ঈমাম মোয়াজ্জিনদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।যখন মসজিদে যাচ্ছিলাম তখন প্রচন্ড বজ্রপাত সহ বৃষ্টিপাত চলছিল। কিন্তু ওয়াদাকৃত খাবার বিতরণ এখন ও শেষ হয়নি,কিন্তু খাবার শেষ! আবার কল দিলাম হোটেল মালিককে আরো দশ প্যাকেট বিরানী দেওয়ার জন্য একটু পরে কনফার্ম করলে প্রচন্ঠ ঝড়ে ছুটে গেলাম আমি আর মেহেদী ভাই রেইন কোড পড়ে! কিন্তু যে বৃষ্টি তাতে কি রেইন কোটে কাজ হয়?তবু ও ছোটে চলা ওয়াদা রক্ষার্থে ! যাদের জন্য করলাম তারা কক্ষনো জানবে না তাদের জিন্য কত রিস্ক নিয়ে তাদের কল্যানে কাজ করি! কিন্তু তিনি জানেন যার কাছে আমরা প্রতিদানের প্রত্যাশা করি, তিনিতো জ্বররা জ্বররা হিসাব করে দিবেন এবং আরো বহু গুণে বাড়িয়ে দিবেন উনার রহমত।উনার কাছেই তো আমরা ফিরে যাব। উনিই তো আমাদের প্রিয় মুনিব, ক্ষমাশীল মহা দয়াময়। রাত 10:00 টায় প্রতিবেশী আটজন গৃহ কর্মী ও দারোয়ানের মাঝে খাদ্য বিতরণের মাধ্যমে শ্রমিক দিবসের কার্যক্রম সমাপ্ত করে যখন নীড়ে ফিরি তখন মেহেদী ভাইয়ের পায়ে লাথি খায় নীড় হারা বৃষ্টি ভেজা প্রান যায়যায় একটি ছড়ুই পাখি ! আমি উনার হাত থেকে নিলাম পরম মমতায়! বৌকে জরুরী ডেকে কিছেন টিস্যু দিতে বললাম। বউ আমাকে বলে কি তুমি দেখি শ্রমিক কল্যাণ ছেড়ে এবার পাখি কল্যাণ শুরু করেছ? আর আমার বড় মেয়ে বলে কি আব্বুর অনেক মায়া । আমি বললাম এত মায়া থাকলে আমি কি আর তোমাকে পিঠাই? হাঁসতে হাঁসতে বৌ আরেক দাপ এগিয়ে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে পাখিকে শুকিয়ে খাবার দিয়ে ডেকে রাখে । সকালে উঠে দেখি পাখি বেঁচে আছে কিনা ঝুড়ি খুলতেই চম্পট ! এদিকে আমার টেনশান যায় বেড়ে ! তাড়াহুড়া করে প্যান বন্ধ করি যেন বাড়ি খেয়ে আবার মারা না যায় । ভারি মুশকিলে পড়লাম! বৌ উঠে পাখি ঘর থেকে বাহীর করে দেয়! আফিস থেকে বাহীর হওয়ার পথে সে ডাকছে। কাছের দেয়াল টপকে যেতে না পারায়! আবার ধরলাম ছেড়ে দিতে! কিন্তু আমার হাত থেকে আবার চম্পট মেরে বাড়িতে প্রবেশ করে ! তারপরের ইতিহাস এখনো অজানা! অফিসের গাড়ি অপেক্ষা করছে.. আর দাড়ানোর সময় নেই...........

বিষয়: বিবিধ

১৪৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File