জামাত- শিবির অর্থ উৎসঃ........
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ০৪ জানুয়ারি, ২০১৬, ০১:০৩:৪৫ দুপুর
হঠাৎ একদিন বৌকে কল দিলাম, কোথায় তুমি?? বলে কি টঙ্গী বাজার । ওখানে কি? কাজে আসছি। কি কাজ? চাপাচাপি করাতে বলে কি স্বর্ণ বিক্রি করতে আসছে । পরে জানলাম জরুরী তহবিলে টাকা জমা দিতে এই বিক্রি!!
সাম্প্রতিক দেখতেছি জালেম সরকার ও মিডিয়া জামাত শিবিরের অর্থ উৎস নিয়ে অতি উৎসাহী ।আর জামাত সম্পত্তি মানে লোটপাটের লাইসেন্স দেওয়া আছে আর কি !
ছোট বেলা থেকে শুনে আসছি পাটি হিসেবে জামাত শিবিরের যত টাকা আছে অন্য সব গুলো পাটি মিলে ও তাদের তত পয়সা নেই , জামাত শিবিরের যত গাড়ী আছে তাদের তত সাইকেল ও নেই ।
কারণ হল আমরা সংগঠন কে মজবুত করার লক্ষ্যে আমাদের ব্যাক্তিগত মাসিক আয়ের ৫% থেকে বেশী দান করি সংগঠনের বায়তুল মালে । আমাদের শুভাকাংকীরা(এই শুভাখাংকী একজন রিকশাচালক ভাই ও হতে পারেন এবং আপনি ও হতে পারেন) আমাদের প্রতিমাসে নির্ধারিত হারে টাকা দেন। মজবুত সাংগঠনিক প্রকাশনা আছে,এবং তা বিক্রির মোনাফা ও বায়তুল মালের আয়ের উৎস।
এর পর এই সরকার আসার পর থেকে প্রতি বছর আমাদের এক মাসের আয়ের সম পরিমাণ বা তার বেশী এক বছরে জরুরী তহবিল নামে সকল জনশক্তি বিশেষ করে রুকন রা দিচ্ছে সংগঠনকে ভালবেসে ।
এইসব কারনে আমাদের রক্ত এবং মাংসের সাথে এই সংগঠন মিশে আছে।
আর এর অন্যতম কারণ হল আমরা মনে করি আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার দ্বায়িত্ব আমাদেরই , এ জন্য অর্থ ব্যয় আল্লাহর সন্তোস্টির জন্য করা হয় ।
তাই বলি সরকার তার চেলাদের অবৈধ অর্থের উৎস খোঁজ করুক । আমাদের রক্ত গাম করা প্রবিত্র অর্থের উৎস তারা না খুঁজলে ও চলবে ।
এইবার আসি হিসাব নিকাশে ! সারাদেশে আমাদের যদি ৭০ লক্ষ জনশক্তি ও থাকে এবং তারা যদি প্রত্যেকে প্রতিমাসে ৫ টাকা করে ও দেয় তা হলে জামাতে ইসলামীর প্রতিমাসের আয় কত??
আর বাস্তব সত্য উপরে যে লিখলাম সেই পরিমাণ দিলে জামাতের মাসিক আয় কত???
সুতরাং বলি আমরা আমাদের মাল এবং জান জান্নাতের বিনিময়ে আল্লাহর কাছে বিক্রি করে দিয়েছি উত্তম ব্যাবসার উদ্দ্যশ্যে , এই গুলা আল্লাহর সাথে আমাদের বাণিজ্য।
দুনিয়া পূজারীরা কি এর বরকতের উৎসের সন্ধান পাবে কোন দিন???
বিষয়: বিবিধ
১০৬০১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সত্যের বিজয় অনিবার্য,
মিথ্যার বিণাশ অবশ্যম্ভাবী
সত্যের সাথেই আছি,
আমরণ থাকবো ইনশাআল্লাহ..
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “দেশবাসী সকলেই জানেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী গণতান্ত্রিক দল। ইসলামী দাওয়াহ কার্যক্রম, সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ড ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জামায়াতের জনশক্তিগণ অর্থ প্রদান করে থাকেন। তাদের দেওয়া অর্থ দিয়েই দল পরিচালিত হয়। জামায়াতের আয়ের উৎস তাদের নিজস্ব জনশক্তি ও শুভাকাঙ্ক্ষীগণ। জামায়াতের এ আয় এবং ব্যয় দৃশ্যমান। জামায়াতের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা আছে।”
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “সরকার ২০১১ সাল থেকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় এবং মহানগরী অফিসসহ সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কার্যালয়সমূহ বন্ধ করে রেখেছে। সরকার একদিকে অফিস ব্যবহার করতে দিচ্ছে না, অপরদিকে কোথাও বসতেও দিচ্ছে না। জামায়াতের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যেখানেই বসে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে, সেখানেই পুলিশ হানা দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, “২০১৫ সালের শেষ প্রান্তে জামায়াতের জনশক্তি ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রদত্ত অর্থ সংগঠনের নিকট জমা হয়। সারা বছরে জনশক্তি ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রদত্ত অর্থের হিসাব-নিকাশ চূড়ান্ত করার সময় পুলিশ হানা দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের ৫ জন দায়িত্বশীলকে গ্রেপ্তার করে। এসময় জনশক্তি ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রদত্ত বাৎসরিক অর্থের পুরো অংশ নিয়ে যায়।”
তিনি আরও বলেন, “দেশবাসী নিশ্চয়ই জানানে, জামায়াতের জনশক্তি ও শুভাকাঙ্খীদের প্রদত্ত অর্থ কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়। জামায়াতের ইতিহাসে কোন ধরনের নাশকতা তো দূরের কথা, অবৈধ ও বেআইনি খাতে অর্থ ব্যয় করার কোন নজির নেই। রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নাশকতার কাজে অর্থ ব্যয়ের যে সব কথা অপপ্রচার করছে তা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা এ অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
জামায়াতের আয় থেকে সাংগঠনিক ও জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি জামায়াত অফিসের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের বেতনভাতাও এ অর্থ থেকে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, জামায়াতে ইসলামী সকল প্রকার নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডকে ঘৃণা করে। সরকার জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে।”
তিনি বলেন, “গতকাল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জামায়াতের জনশক্তি ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রদত্ত সারা বছরের অর্থই শুধু নেয়নি, অফিসের আসবাবপত্র ও জরুরি জিনিসপত্রও নিয়ে যায়। আমি সরকারের ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সকল অর্থ ও আসবাবপত্র ফেরত দেয়ার এবং গ্রেপ্তারকৃতদের এই মুহূর্তে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
মন্তব্য করতে লগইন করুন