সংখ্যা গুরুরা যখন সংখ্যা লুগু আর মুসলমান ভাসলেই বা কি, ডুবলেই বা কি?
লিখেছেন লিখেছেন সত্য নির্বাক কেন ২৮ মে, ২০১৫, ০৯:৫২:২৮ সকাল
বাসে আগুন লাগানো হইছে সবাই দৌড়ে নামছে ঘটনা দেইখা পুলিশও দৌড়ায়া আসছে। যাত্রীরা সব দৌড়ে পালাচ্ছে পুলিশ এক যুবকরে ধইরা বলে 'এই তুই বাসে আগুন দিছস, তুই শিবির।
যুবক বলে, ভাই আমি হিন্দু! পুলিশ বলে, তোর নাম কি?
#নয়ন_বাছার ! পুলিশ বলে, হিন্দুর নাম #নয়ন_বাশার হয় কি করে?
এই ল 'ঠুস!
আসলে ঢাকাইয়া উচ্চারণে #বাশারকে #বাছারই বলা হবে যেমন বড় আশা ছিলকে ঢাকাইয়ারা বলবে বড় আছা ছিল! নয়নের মা শিখা রাণী বলেন 'নয়নের বংশীয় উপাধি বাছার কিন্তু পুলিশ বাশার মনে করে তাকে পায়ে ঠেকিয়ে গুলি করেছে।
ঘটনাটা কৌতুককর হলেও সত্য।। পুলিশ অবশ্য হিন্দু পরিচয় নিশ্চিত হয়ে শিবিরের পরিবর্তে নয়নকে ছাত্রদল কর্মী বলে দাবি করছে।
নয়ন দলবদল করে করে ছাত্রদলে কিভাবে গেল আল্লাহ মালুম। তবে গেল যখন দলের পরিবর্তে লীগে গেলেই বরং ভাল করত। মামলাতো ডিসমিস হতোই পাশাপাশি বিরাট অংকের অনুদান সহ সংগ্রামী নেতা উপাধিও পেত।
তবে এখান থেকে একটা শিক্ষাও আমরা পাই। বোকা নয়ন নামের শেষে বাছার না বলে যদি কান্তি বা ধর জাতীয় কিছু বলত নিশ্চিত তাকে পুলিশ অক্ষত ছেড়ে দিত। নামের শেষে মুসলিমের মত লাগায় তাকে গুলি করা হয়েছে।
_______________________
হঠাৎই খবর এল সমুদ্রে হাজার হাজার মানুষ ভাসছে।
বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে এ অমানবিক কান্ড কিভাবে হতে পারে? বিশ্ব মানবতাও সাজ-সরন্জাম নিয়ে ছুটে গেল। কিন্তু পাড়ে দাঁড়িয়ে একটু খটকা লাগল, বোরকার মত কি জানি দেখা যায়! একজনকে নাম জিজ্ঞেস করে নিশ্চিত হওয়া গেল আরে-হ! এরাতো মানুষ না, এরা মুসলিম! ধুর এত চিন্তিত হওয়ার কি আছে?
কয়েকদিন ভাসুক শ-দুয়েক মরুক তারপর দেখা যাবে। এর মাঝে বিবৃতি বিবৃতি খেলা চলবে, ক্যামেরার সামনে করুণ মুখে দুঃখ উথলে পড়বে কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হবেনা। হাড্ডিসার ক্ষুধার্ত শরীরে কোটরাগত চোখে এরা অবাক তাকিয়ে দেখবে, মানবতা ছবি তুলছে! দেখে সবার অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে, এতটুকুই! অতঃপর এরা ভাসছে, মরছে।
কারণটা অভিন্ন।
নয়নের নামের মতই এদের নামেও বাশার আছে, রফিক আছে শুরুতে মুহাম্মাদ আছে অনেকের শেষে আবার ভয়ঙ্কর ইসলামও যুক্ত আছে।
সারাবিশ্বেই নিপীড়িত মুসলমানের ভোগান্তির থিওরি অভিন্ন। নয়ন বাছারকে তো শিবির না পাইরা ছাত্রদল বানাইছে।
সাগরে ভাসা বাঙ্গালি-রোহিঙ্গাদের পিছেও 'আই এস' লাগিয়ে তাদের সাহায্য না করার যৌক্তিকতা খোঁজা হচ্ছে। অর্থাৎ কোনমতে এদের জঙ্গি বানাতে পারলেই সাগরে না খেয়ে ডুবে মরলেও মানবতার বিন্দুমাত্র সমস্যা নাই।
আর এখনতো হজ্বের মওসুমও না, নাহলে মক্কায় কুরবানির বেঁচে যাওয়া কিছু মাংস খাদেমুল হারামাইন হয়তো পাঠিয়েও দিতেন। এটা ট্যুইন টাওয়ারের মত কোন ঘটনাও না, নাহলে আক্রান্ত 'গরীব' আমেরিকানদের মত এসব "আটকেপড়াদের" জন্যও সৌদীর কোন যুবরাজ শত কোটি ডলার সাহায্যের প্রস্তাব দিতেন।
এরা চক্রবর্তী, উইলিয়াম, মিখাইল, লিউ কিংবা রমেশ না এরা বাশার, হাবিব, আবদাল এরা মুসলমান। মুসলমান ভাসলেই বা কি, ডুবলেই বা কি?
বিষয়: বিবিধ
১৭৬০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন